সুচেতনা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : “সুচেতনা” কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের “বনলতা সেন’ (১৯৪২) কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে। “সুচেতনা” জীবনানন্দ দাশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা । এ কবিতায় সুচেতনা সম্বোধনে কৰি তীর প্রার্থিত, আরাধ্য এক চেতনানিহিত বিশ্বাসকে শিল্লিত করেছেন।
কবির বিশ্বাসমতে, সুচেতনা দূরতম দ্বীপসদৃশ একটি ধারণা, যা পৃথিবীর নির্জনতায়, যুদ্ধে, রক্তে নিঃশেষিত নয় । চেতনাগত এই সত্তা বর্তমান পৃথিবীর গভীরতর ব্যাধিকে অতিক্রম করে সুস্থ ইহলৌকিক পৃথিবীর মানুষকে জীবনায় করে রাখে । জীবনুক্তির এই চেতনাগত বুকে অনন্ত সূর্যোদয়কে প্রকাশ করবে ।
সুচেতনা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ :
“অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ,
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা;
যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই প্রীতি নেই করুণার আলোড়ন নেই
পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া ।
এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হয়
মহৎ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা
শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয় ।”
ক. “সুচেতনা” কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে চয়ন করা হয়েছে?
খ. “পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন’-_ উক্তিটি ব্যাখা কর।
গ. উদ্দীপকটিতে “সুচেতনা* কবিতাটির কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকটিতে “সুচেতনা” কবিতার সমথ দিক উন্মোচিত হয় নি।”__ উক্তিটি মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : কম্পিতা ধরণীকে অভয় তরবারি এনে সান্ত্বনা দেবে, কে আছ বীর? আন তোমার প্রলয়-সুন্দর করাল-কমনীয় হস্ত! আন তোমার রূপাশের বিদ্যুৎ-হ্যাস, আন তোমার মারণ-মঙ্গল অভয়-অসি! হে আমার ধ্বংসের দেবতা, একবার এই মহাপ্রলয়ের বুকে তোমার ফুলের হাসি দেখাও! স্তূপীকৃত শবের মাঝে শিবের জটার কচি শশী হেসে উঠক! এই কুৎসিত অসুন্দর সৃষ্টিকে নাশ কর! নাশ করো হে সুন্দর রুদ্র-দেবতা! এই গলিত আর্দ্র সৃষ্টির প্রলয়-ভস্মটিকা প’রে নবীন বেশে এসে দেখা দাও।
ক. গভীর গভীরতর অসুখ কার?
খ. “এই পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতা সত্য; তবু শেষ সত্য নয়।”- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ধরণি কীভাবে ‘সুচেতনা’ কবিতার পৃথিবীর সমার্থক হয়ে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘সুচেতনা’ কবিতার প্রত্যাশা একই মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : চিরযুবা তুই যে চিরজীবী
জীর্ণ জরা ঝরিয়ে দিয়ে
প্রাণ অফুরান ছড়িয়ে দেদার দিবি।
সবুজ নেশায় ভোর করেছিস ধরা,
ঝড়ের মেঘে তোরই তড়িৎ ভরা,
বসন্তেরে পরাস আকুল-করা
আপন গলার বকুল-মাল্যগাছা ।
আয় রে অমর, আয় রে আমার কাঁচা॥
ক. পৃথিবীর মানুষকে কবি কিসের মতো ভালোবাসতে চেয়েছেন?
খ. সুচেতনা কোথায় আলো জ্বালাবে বলে মনে করেন কবি?
গ. উদ্দীপকের ভাব ‘সুচেতনা’ কবিতার কোন ভাবের সমার্থক? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘সুচেতনা’ কবিতার গভীরতাকে ধারণ করতে পারেনি— মন্তব্যটি যথার্থতা বিচার কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : এই পৃথিবীর
পুরোনো শরীরে আসে বসন্তের দস্যুতার ভিড়;
কোনো নিদ্রাহীন রাতে
আমারও শরীর যেন মঞ্জুরিত হতে চায়
আকাশে জ্যোৎস্নাতে।
তুমি কি জানো না
নতুন সৃষ্টির তীব্র উদ্দীপনা
বসন্তের বীজে
পূর্ণ করে দেবে এই শীর্ণ শতাব্দীর শরীর।
ক. ‘সুচেতনা’ কবিতাটি কোন কাব্যের অন্তর্গত?
খ. ‘গড়ে দেবো’— কবি কী গড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘সুচেতনা’ কবিতার কোন দিকটির সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব ‘সুচেতনা’ কবিতার মৌল উপজীব্যকে প্রতীকায়িত করেছে— মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : পড়ে আছে মৃত মানবতা
তারি সাথে পথে মুখ গুঁজে ।
আকাশ অদৃশ্য হল দাম্ভিকের খিলানে, গম্বুজে নিত্য স্ফীতোদর
এখানে মার্টিতে এরা মুখ গুঁজে মরিতেছে ধরণীর ‘পর’।—
এ পাশব অমানুষী ক্রূর
নির্লজ্জ দস্যুর
পৈশাচিক লোভ
করিছে বিলোপ
শাশ্বত মানব-সত্তা, মানুষের প্রাপ্য অধিকার, ক্ষুধিত মুখের গ্রাস কেড়ে নেয় রুধিয়া দুয়ার,
মানুষের হাড় দিয়ে তারা আজ গড়ে খেলাঘর; সাক্ষ্য তার পড়ে আছে মুখ গুঁজে ধরণীর ‘পর’।
ক. ‘সুচেতনা’ কবিতায় বাতাস কেমন?
খ. ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবি সুচেতনা বলতে কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘সুচেতনা’ কবিতার কোন বিষয়কে ইঙ্গিত করেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকটি ‘সুচেতনা’ কবিতার পরিপূর্ণ ভাবনার ধারক হয়ে উঠতে পারেনি— মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : “মানুষের সভ্যতার মর্মে ক্লান্তি আসে;
বড়ো বড়ো নগরীর বুকভরা ব্যথা;”
ক. জীবনানন্দ দাশের কোন ধরনের কবিতা মুক্তিযুদ্ধে সংগ্রামী জনতাকে অনুপ্রাণিত করেছিল?
খ. ‘ক্লান্ত ক্লান্তিহীন নাবিক’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘সুচেতনা’ কবিতার কোন দিককে নির্দেশ করেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘কবিতায় সমকালীন জীবন যন্ত্রণার উন্মোচনে জীবনানন্দ দাশ সিদ্ধহস্ত।’— ‘সুচেতনা’ কবিতা ও উদ্দীপকের আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা নির্ণয় করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : “আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর,
আপন করিতে কাদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।
যে মোরে করিল পথের বিবাগী—
পথে পথে আমি ফিরি তার লাগি,
দীঘল রজনী তার তরে জাগি’ ঘুম যে হয়েছে মোর।”
ক. কবি বুদ্ধদেব বসু জীবনানন্দ দাশকে কী বলে অভিহিত করেছেন?
খ. ‘এই পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতা সত্য, তবুও শেষ সত্য নয়।’ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের কবিতাংশে ‘সুচেতনা’ কবিতার কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের কবিতাংশ ও ‘সুচেতনা’ কবিতার কবিদ্বয়ের প্রত্যাশা মূলত অভিন্ন।”— বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পথিকৃৎ মহাত্মা গান্ধী ছিলেন একজন মানবতাবাদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়েই তিনি দলিত হরিজন সম্প্রদায়ের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট ছিলেন। কারণ, তাঁর উদ্দেশ্যই ছিল বর্ণবিভেদহীন মানবসমাজ বিনির্মাণ।
ক. জীবনানন্দ দাশের মায়ের নাম কী?
খ. ভালো মানব-সমাজা বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘সুচেতনা’ কবিতার কোন দিককে নির্দেশ করে?— আলোচনা করো।
ঘ. একটি ভালো মানব-সমাজ প্রত্যেক মানবতাবাদী মানুষের একান্ত কাম্য।’— ‘সুচেতনা’ কবিতা ও উদ্দীপকের আলোকে মন্তব্যটি বিচার করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরবর্তী রামান্নার একটি গ্রামে এক নারী ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে ব্যবহৃত গ্রেনেডের খোলস ব্যবহার আয়ে তা দিয়ে ফুল চাষ করে সালিয়ে তুলেছেন নিজের বাগান। এ যেন যুদ্ধের ভয়াবহতার বিরুদ্ধে এক অভিনব প্রতিবাদ। যে প্রানের যুদ্ধে কেবল শত্রুকে ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়, সেই গ্রেনেডের খোলসে ফুলের চাষ যেন অস্ত্র, রক্ত আর ক্ষমতার দাপটে গড়ে ওঠা আধুনিক বিশ্বের ভয়াবহতার মুখে চপেটাঘাত। আর সেই আঘাত যেন যুদ্ধের বদলে ভালোবাসার প্রকাশ।
ক. কুসুমকুমারী দাশ কী হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন?
খ. ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবি নির্জনতা প্রত্যাশা করেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকের নারীর সাথে ‘সুচেতনা’ কবিতার কবির চেতনাগত সাদৃশ্য তুলে ধরো।
ঘ. উদ্দীপকের নারীর প্রচেষ্টা ও ‘সুচেতনা’ কবিতার কবির ভাবনা সমসূত্রে গ্রথিত।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
সুচেতনা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : “হিংসা মেষ রহিবে না কেহ কারে করিবে না ঘৃণা
পরস্পর বাঁধি দিব প্রীতির বন্ধনে
বিশ্বজুড়ে এক সুরে বাজিবে গো মিলনের বীণা
মানব জাগিবে নব জীবন স্পন্দনে।”
ক. যুদ্ধে রক্তে নিঃশেষিত নয় কী?
খ. “মাটি পৃথিবীর টানে মানবজন্মের ঘরে কখন এসেছি’- চরণটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে “সুচেতনা’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকটি কী ‘সুচেতনা’ কবিতার সমগ্রভাবকে ধারণ করতে পেরেছে? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১১ : “একটি পৃথিবী নষ্ট হয়ে গেছে আমাদের আগে;
আরেকটি পৃথিবীর দাবি
স্থির করে নিতে হলে লাগে
সকালের আকাশের মতন বয়স;
সে-সকাল কখনো আসে না ঘোর, দ্বধর্মনিষ্ঠ রাত্রি বিনে।”
ক. কবি জীবনানন্দ দাশ কীভাবে মৃত্যুবরণ করেন?
খ. ‘এই পথে আলো জ্বেলে- এ পথেই পৃথিবীর ক্রমমুক্তি হবে”- বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘সূচেতনা’ কবিতার কোন দিকটিকে নির্দেশ করে?- আলোচনা করো।
ঘ. সামষ্টিক মানুষের দীর্ঘকালের সাধনার দ্বারাই কেবল পৃথিবীর সত্যিকার কল্যাণ প্রত্যাশা করা যায়। উদ্দীপক ও ‘সুচেতনা’ কবিতার আলোকে মন্তব্যটি বিচার করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১২ : “হৃদয়, অনেক বড়ো বড়ো শহর দেখেছো তুমি;
সেইসব শহরের ইট পাথর
কথা, কাজ, আশা, নিরাশার ভয়াবহ ঘৃত্ত চক্ষু
আমার মনের বিষাদের ভিতর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
কিন্তু তবুও শহরের বিপুল মেঘের কিনারে সূর্য উঠতে দেখেছি।”
ক. কোথায় অনন্ত সূর্যোদয় হবে বলে কবির বিশ্বাস?
খ. কবির প্রাণ অনেক রূঢ় রৌদ্রে ঘুরেছে কেন?
গ. “সুচেতনা’ কবিতার সঙ্গে উদ্দীপকের বিষয়গত সাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. “নৈরাশ্যের ভেতরেও আশাবাদের প্রকাশ-জীবনানন্দ দাশের কবিতার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। ‘— ‘সুচেতনা’ কবিতা ও উদ্দীপকের আলোকে মন্তব্যটি বিচার করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১৩ : “আজি আমারাত্রির দুর্গত্যেরণ যত
ধূলিতলে হয়ে গেল ভগ্ন।
উদয়-শিখরে জাগে ‘মাভৈঃ মাডৈঃ’ রব
জয় জয় যায় রে মানব-অভ্যুদয়,
নবজীবনের আশ্বাসে।
মন্ত্রি উঠিল মহাকাশে।”
ক. পৃথিবীব্যাপ্ত অন্ধকার বা অশুভের অন্তরালে কী আছে?
খ. কবি মানবসমাজে সুচেতনা প্রত্যাশা করেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকের কবিতাংশে ‘সুচেতনা’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের কবিতাংশ ও ‘সুচেতনা’ কবিতার কবিদ্বয়ের প্রত্যাশা মূলত এক ও অভিন্ন।”— বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১৪ : “মানুষ সবার জন্যে শুভ্রতার দিকে
অগ্রসর হতে চায় অগ্রসর হয়ে যেতে পারে।”
ক. ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবিপ্রাণ কোথায় ঘুরেছে?
খ. মানুষ তবুও ঋণী পৃথিবীরই কাছে।’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের ভাববস্তুর সঙ্গে ‘সুচেতনা’ কবিতার ভাববস্তুর সাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. প্রগতিশীল মানুষের চূড়ান্ত লক্ষ্য পৃথিবীর সত্যিকার মুক্তি।— ‘সুচেতনা’ কবিতা ও উদ্দীপকের আলোকে মন্তব্যটি বিচার করো।
সুচেতনা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর
১. ‘সুচেতনা’ কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে চয়ন করা হয়েছে?
উত্তর: ‘সুচেতনা’ কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে চয়ন করা হয়েছে?
২. জীবনানন্দ দাশের কোন ধরনের কবিতা মুক্তিযুদ্ধে সংগ্রামী জনতাকে অনুপ্রাণিত করেছিল?
উত্তর: জীবনানন্দ দাশের নিসর্গবিষয়ক কবিতা মুক্তিযুদ্ধে সংগ্রামী জনতাকে অনুপ্রাণিত করেছিল।
৩. কবি বুদ্ধদেব বসু জীবনানন্দ দাশকে কী বলে অভিহিত করেছেন?
উত্তর: কবি বুদ্ধদেব বসু জীবনানন্দ দাশকে নির্জনতম কবি বলে অভিহিত করেছেন।
৪. জীবনানন্দ দাশের মায়ের নাম কী?
উত্তর: জীবনানন্দ দাশের মায়ের নাম কুসুমকুমারী দাশ।
৫. কুসুমকুমারী দাশ কী হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন?
উত্তর: কুসুমকুমারী দাশ কবি হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন
৬. কুসুমকুমারী দাশ কবি হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন
উত্তর: যুদ্ধে রক্তে নিঃশেষিত নয় সুচেতনা।
৭. কবি জীবনানন্দ দাশ কীভাবে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: কবি জীবনানন্দ দাশ ট্রাম দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।
৮. কোথায় অনন্ত সূর্যোদয় হবে বলে কবির বিশ্বাস?
উত্তর: শাশ্বত রাত্রির বুকে অনন্ত সূর্যোদয় হবে বলে কবির বিশ্বাস।
৯. পৃথিবীব্যাপ্ত অন্ধকার বা অশুভের অন্তরালে কী আছে?
উত্তর: পৃথিবীব্যাপ্ত অন্ধকার বা অশুভের অন্তরালে সূর্যোদয় আছে।
১০. ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবিপ্রাণ কোথায় ঘুরেছে?
উত্তর: ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবিপ্রাণ রূঢ় রৌদ্রে ঘুরেছে।
সুচেতনা কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর
১. ‘পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন’- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন’— উক্তিটিতে কবির সমসাময়িককালে পৃথিবীতে বিরাজমান ধ্বংসোন্মুখ অবস্থার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। মানবপ্রেমী কবি তাঁর সমকালীন পৃথিবীতে মানুষে মানুষে বিরাজমান অসহিষ্ণুতার ভয়ংকর রূপ প্রত্যক্ষ করেছেন। অগণিত প্রাণহানি, রক্তপাতের ঘটনা তাঁকে মর্মাহত করেছে। এই ধ্বংসাত্মক রূপকে তিনি পৃথিবীর ‘গভীর গভীরতর অসুখ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন; যার পরিসমাপ্তিই কবির একমাত্র প্রত্যাশা।
২. ‘ক্লান্ত ক্লান্তিহীন নাবিক’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: একটি সুন্দর মানবসমাজ নির্মাণে যারা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়েও অক্লান্তভাবে চেষ্টা করে যান, তাঁদের বোঝাতে কবি ‘ক্লান্ত ক্লান্তিহীন নাবিক’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেছেন। কবি জানেন পৃথিবীর ক্রমমুক্তির মাধ্যমে একটি ভালো মানবসমাজ নির্মাণ অত্যন্ত কঠিন কাজ। তার জন্য সামষ্টিক মানুষের সুচেতনার উজ্জীবন ও দীর্ঘ সময়ব্যাপী সাধনার প্রয়োজন পড়ে।
কিন্তু কবি বিশ্বাস করেন, পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হলেও নিরলস শ্রম ও মেধা দিয়ে যাবেন একটি মানবিক সমাজ নির্মাণে। কবি শ্রদ্ধার সঙ্গে এমন মানুষগুলোকে বিশেষিত করেছেন ‘ক্লান্ত ক্লান্তিহীন নাবিক’ শব্দবন্ধে।
সুচেতনা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
৩. ‘এই পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতা সত্য, তবুও শেষ সত্য নয়।’ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: সভ্যতার ধ্বংসাত্মক দিকগুলোকে স্বীকার করলেও একেই শেষ সত্য বলে না মানার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে প্রশ্নোক্ত চরণে। মানুষের জীবনের বিফলতা ও সফলতার দ্বন্দ্ব অতীতেও ছিল এখনো আছে। সভ্যতার বিকাশের পাশাপাশি বহু যুদ্ধ-রক্তপাত-প্রাণহানি সংঘটিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।
কিন্তু একে শেষ সত্য হিসেবে মেনে নিলে মানুষ গভীর হতাশায় নিমজ্জিত হবে এবং সমাজের কল্যাণসাধন বাধাগ্রস্থ হবে। সভ্যতার এই ধ্বংসাত্মক দিককে পৃথিবীর শেষ সত্য বলে মানতে পারছেন না আশাবাদী কবি। আর তাই তিনি বলেছেন, এই পৃথিবীর রণ-রক্ত-সফলতা সত্য; তবু শেষ সত্য নয়।
৪. ভালো মানব-সমাজা বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: ‘ভালো মানব-সমাজ’ বলতে কবি জীবনানন্দ দাশ সেই মানবসমাজকে বুঝিয়েছেন, যেখানে মানুষ সফলতা-বিফলতা দ্বন্দ্ব থেকে মুক্ত হয়ে শুভ চেতনার আলো জ্বেলে আলোকিত পৃথিবী নির্মাণ করবে।
কবি দেখেছেন, সমকালের নানা সংকটে মানবসমাজ বিপর্যস্ত। সকলেই অর্থ-ক্ষমতা-আধিপত্য চিন্তায় মগ্ন। ভালোবাসার পরিণতিতে পৌছাতেও ঘটে অনেক রক্তপাত।
এমন অবস্থাতেও কবি বিশ্বাস করেন মানুষ সত্য ও মঙ্গলচিন্তার আলোকিত পথে পৃথিবীর ক্রমমুক্তি ঘটাবে। সমাজের এই শুভ ও মঙ্গলকামী মানুষের দ্বারা যে মানবিক বোধসম্পন্ন সমাজ নির্মিত হবে, তা-ই কবির কাছে ‘ভালো মানব-সমাজ’ রূপে বিবেচিত।
৫. ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবি নির্জনতা প্রত্যাশা করেছেন কেন?
উত্তর: প্রাকৃতিক শান্তি ও নির্জনতায় শুভচেতনা বিরাজিত বলে কবি ‘সুচেতনা’ কবিতায় নির্জনতা প্রত্যাশা করেছেন।
সভ্যতার রক্তক্ষয়ী হানাহানি, মারণপ্রবণতা, সফলতা-বিফলতার দ্বন্দ্ব কবিকে বিমূঢ় করে দিয়েছে। তিনি অনুভব করেছেন পৃথিবীর গভীরতর অসুস্থতা। পৃথিবীকে অসুস্থতা থেকে মুক্ত করতে প্রয়োজন শুভচেতনার আলোকিত পথ।
কবির বিশ্বাস নগরের যন্ত্রণাক্লিষ্ট জীবনে সুচেতনার অস্তিত্ব নেই। সুচেতনা বিরাজিত প্রাকৃতিক শান্তি ও নির্জনতায়। তাই ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবি নির্জনতা প্রত্যাশা করেছেন।
বাংলা প্রথম পত্রের অন্যান্য গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তরগুলো নিচে দেয়া লাল লিংকে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নাও।
►► সৃজনশীল ডাউনলোড : বায়ান্নর দিনগুলো
►► সৃজনশীল ডাউনলোড : তাহারেই পড়ে মনে
►► সৃজনশীল ডাউনলোড : অপরিচিতা
►► সৃজনশীল ডাউনলোড : সাম্যবাদী
►► সৃজনশীল ডাউনলোড : মাসি-পিসি
►► সৃজনশীল ডাউনলোড : আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
►► সৃজনশীল ডাউনলোড : ঐকতান
►► সৃজনশীল ডাউনলোড : আহ্বান
►► সৃজনশীল ডাউনলোড : বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ
►► সৃজনশীল ডাউনলোড : আঠারো বছর বয়স
►► সৃজনশীল ডাউনলোড : সোনার তরী
►► সৃজনশীল ডাউনলোড : মহাজাগতিক কিউরিটের
এইচএসসি শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে এখানে ক্লিক করো। নতুন সাজেশন পেতে জয়েন করো HSC Candidates, Bangladesh ফেসবুক গ্রুপে। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post