ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর : প্রতিটি জীবের অভিযোজন ক্ষমতা আছে। পরিবেশের পরিবর্তনে টিকে থাকার জন্য বীজ হাজার বছরের ব্যবধানে অভিযোজন ক্ষমতা লাভ করে। যেমন—মরুভূমিতে জন্মানো অধিকাংশ গাছের পাতা চ্যাপ্টা ও কাঁটাযুক্ত হয়। এদের এই বৈশিষ্ট্যগুলো পানি সাশ্রয়ে সাহায্য করে।
ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
১. চলন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: জীব নিজের ইচ্ছায় নড়াচড়া করতে পারে। প্রাণী একস্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে পারে। উদ্ভিদ বেড়ে উঠার সময় তার ডগা নড়াচড়া করে। জীবের এসব বৈশিষ্ট্যকে চলন বলে।
২. জীবের ২টি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর: জীবের ২টি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:
শ্বাস-প্রশ্বাস: প্রতিটি জীব জন্মের পর থেকে শ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগ করা শুরু করে। মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে।
বৃদ্ধি: প্রতিটি জীব জন্মের পর থেকেই ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
৩. এ্যানিমেলিয়া রাজ্যের প্রাণীরা উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল থাকে কেন?
উত্তর: এ্যানিমেলিয়া রাজ্যের প্রাণীদের কোষে সেলুলোজ নির্মিত কোষ প্রাচীর নেই। এ কোষগুলোতে প্লাস্টিড থাকে না। তাই খাদ্যের জন্য এরা উদ্ভিদের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল।
৪. কী কী বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে একটি উদ্ভিদকে নগ্নবীজী বলা যায়?
উত্তর: নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে একটি উদ্ভিদকে নগ্নবীজী বলা যায়:
ক. বীজ অনাবৃত অর্থাৎ নগ্ন থাকে।
খ. ফল হয় না।
গ. গর্ভাশয় অনুপস্থিত।
৫. প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তর: প্রাণী সাধারণত পরভোজী, চলাচলে সক্ষম; কঠিন, তরল সব রকম খাদ্য খেতে পারে; কোষ প্রাচীর নেই এবং এদের স্নায়ু, রেচন, পরিপাক ও শ্বসন ইত্যাদি তন্ত্র আছে।
৬. অমেরুদণ্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর: অমেরুদণ্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ:
১. মেরুদণ্ডী নেই
২. কোনো অন্তঃকঙ্কাল থাকে না
৩. চোখ সরল পুঞ্জাক্ষী বা প্রকৃতির
৪. হৃৎপিণ্ড উন্নত ধরনের নয়
৫. সাধারণত লেজ থাকে না।
৭. মেরুদণ্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তর: মেরুদণ্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য:
১. মেরুদণ্ড আছে;
২. অন্তঃকঙ্কাল থাকে;
৩. হৃৎপিণ্ড উন্নত ধরনের;
৪. ফুসফুস বা ফুলকার সাহায্যে শাসকার্য চালায়;
৫. লেজ আছে (মানুষ ছাড়া)।
৮. কুনোব্যাঙকে উভচর প্রাণী বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: কুনোব্যাঙ জীবনের কিছু সময় ডাঙায় ও কিছু সময় পানিতে বাস করে। এ কারণে একে উভচর প্রাণী বলা হয়। জল-স্থল উভয় জায়গা থেকে খাদ্য সংগ্রহ করতে পারে। ডাঙায় বাস করে কিন্তু ডিম পাড়ার সময় পানিতে যায়।
৯. ‘ক’ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর।
উত্তর: ‘ক’ চিত্রের উদ্ভিদটি নারকেল গাছ। এর বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো—
i. এ উদ্ভিদের কা- শাখাপ্রশাখাবিহীন।
ii. পাতা সমান্তরাল শিরাবিন্যাস।
iii. ডিম্বকগুলো ডিম্বাশয়ের ভেতর সজ্জিত থাকে।
iv. নিষেকের পর ডিম্বক বীজে পরিণত হয়।
v. বীজগুলো ফলের ভেতর আবৃত থাকে।
vi. এটি একটি বণ্ডবর্ষজীবী উদ্ভিদ।
১০. অভিযোজন বলতে কী বোঝ?
উত্তর: প্রতিকূল পরিবেশে জীবের খাপ খাইয়ে চলাকে অভিযোজন বলে। এজন্য জীব বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য লাভ করে।
প্রতিটি জীবের অভিযোজন ক্ষমতা আছে। পরিবেশের পরিবর্তনে টিকে থাকার জন্য বীজ হাজার বছরের ব্যবধানে অভিযোজন ক্ষমতা লাভ করে। যেমন—মরুভূমিতে জন্মানো অধিকাংশ গাছের পাতা চ্যাপ্টা ও কাঁটাযুক্ত হয়। এদের এই বৈশিষ্ট্যগুলো পানি সাশ্রয়ে সাহায্য করে।
১১. ব্যাঙকে উভচর বলা হয় কেন?
উত্তর: ব্যাঙকে উভচর প্রাণী বলা হয়, কারণ এটি জল ও স্থল উভয় স্থানে চলে।
ব্যাঙ এর জীবনচক্রের প্রাথমিক পর্যায়ে জলে বাস করে। তবে পূর্ণাঙ্গ পূর্ণবয়স্ক ব্যাঙ সাধারণত স্থলে বাস করে। তবে প্রয়োজনে এরা জল ও স্থল উভয় স্থানেই বাস করতে পারে।
১২. মেরুদন্ডী প্রাণী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য লেখ।
উত্তর: মেরুদণ্ড প্রাণী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো—
i. মেরুদণ্ডী প্রাণীর মেরুদন্ড আছে, কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীর তা নেই।
ii. মেরুদণ্ডী প্রাণীর পর্ব একটি। অপরদিকে, অমেরুদন্ডী প্রাণীর পর্ব নয়টি।
আরও দেখো—ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান সকল অধ্যায়ের সৃজনশীল
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের মূল বই থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই প্রশ্নগুলো তোমরা সৃজনশীলের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবে। এখানে তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য ১২টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তরসহ রয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post