class 8 ict chapter 2 : অষ্টম শ্রেণীর আইসিটি ২য় অধ্যায়ে আমরা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারি। দুই বা ততোধিক কম্পিউটারকে যোগাযোগের কোনো মাধ্যম দিয়ে একসাথে জুড়ে দিলে যদি তারা নিজেদের ভেতর তথ্য কিংবা উপাত্ত আদান-প্রদান করতে পারে- তাহলেই আমরা সেটাকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলতে পারি। বুঝতেই পারছ সত্যিকারের নেটওয়ার্কে আসলে দু-তিনটি কম্পিউটার থাকে না। সাধারণত অনেক কম্পিউটার থাকে।
আজকাল এমন হয়ে গেছে যে, কেউ একটা কম্পিউটার কিনলে যতক্ষণ না সেটাকে একটা নেটওয়ার্কের সাথে জুড়ে দিতে পারে, ততক্ষণ তার মনে হতে থাকে কম্পিউটার ব্যবহারের আসল কাজটিই বুঝি করা হলো না। তার কারণ হচ্ছে কম্পিউটারের নেটওয়ার্কে যখন তথ্য দেওয়া নেওয়া হয়, তখন একটা অনেক বড় কাজ হয়। একজন ব্যবহারকারী তখন নেটওয়ার্কের অনেক কিছু ব্যবহার করতে পারে । যে রিসোর্স তার কাছে নেই, সেটিও সে নেটওয়ার্ক থেকে ব্যবহার করতে পারে।
আজ কোর্সটিকায় আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ২য় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি প্রশ্ন আলোচনা করবো। প্রতিটি প্রশ্নের সাথে উত্তর দেয়া থাকবে, যাতে করে শিক্ষার্থীরা কোন প্রকার গাইড বই ছাড়াই নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে পারো।
পাশাপাশি সবশেষে প্রশ্ন ও উত্তরগুলো ডাউনলোড করার লিংক দেয়া হবে। এখান থেকে PDF ফাইল ডাউনলোড করে পরবর্তী সময়ে অধ্যয়নের জন্য তোমার মোবাইল বা কম্পিউটারে প্রশ্নগুলো সংরক্ষণ করে রাখতে পারো।
class 8 ict chapter 2
►► আইসিটি ১ম অধ্যায় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব
►► আইসিটি ২য় অধ্যায় : কম্পিউটার নেটওয়ার্ক
►► আইসিটি ৩য় অধ্যায় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নিরাপদ ও নৈতিক ব্যবহার
►► আইসিটি ৪র্থ অধ্যায় : স্প্রেডশিটের ব্যবহার
►► আইসিটি ৫ম অধ্যায় : শিক্ষা ও দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার
প্রশ্ন ১ : কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলতে কী বোঝ?
উত্তর: একাধিক কম্পিউটারকে পরস্পর সংযুক্ত করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়। অর্থাৎ, দুইটি কিংবা দুইটির বেশি কম্পিউটারকে যোগাযোগের কোনো মাধ্যম দিয়ে এক সাথে জুড়ে দিলে যদি তারা নিজেদের ভেতর তথ্য কিংবা উপাত্ত দেওয়া-নেওয়া করতে পারে তাহলেই আমরা সেটিকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলতে পারি।
সত্যিকারের নেটওয়ার্কে আসলে দু-তিনটি কম্পিউটার থাকে না। সাধারণত অনেক কম্পিউটার থাকে। কম্পিউটারের নেটওয়ার্কে যখন তথ্য দেওয়া নেওয়া হয়, তখন একটা অনেক বড় কাজ হয়। একজন ব্যবহারকারী তখন নেটওয়ার্কের অনেক কিছু ব্যবহার করতে পারে। যে রিসোর্স তার কাছে নেই, সেটিও সে নেটওয়ার্ক থেকে ব্যবহার করতে পারে।
প্রশ্ন ২ : টপোলজি বলতে কি বোঝ? সংক্ষেপে লিখ।
উত্তর: কম্পিউটারসমূহের মধ্যে নেটওয়ার্ক থাকলে তাদের মধ্যে তথ্য বিনিময় বা আদান-প্রদান করা যায়। নেটওয়াকভুক্ত কম্পিউটারগুলো একটি আরেকটির হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার রিসোর্স শেয়ার বা ব্যবহার করতে পারে। তবে সবকিছুর জন্যই সবচেয়ে গুরুত্পূর্ণ হলো কম্পিউটারসমূহের একটির সাথে অন্যটির সংঘুক্তির বিষয়টি ।
কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কম্পিউটারসমূহ একটি অন্যটির সাথে সংযুক্ত থাকার পদ্ধতিকে টপোলজি বলে। নেটওয়ার্কে কম্পিউটারগুলো কীভাবে সংযুক্ত আছে বা ক্যাবল কীভাবে একটি আরেকটির সাথে যুক্ত আছে, এটিই টপোলজির মুল বিষয়।
প্রশ্ন ৩ : কোন টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটারের সাথে সরাসরি লিংক থাকে? সেই টপোলজির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তর: মেশ টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটারের সাথে সরাসরি লিংক থাকে। নিম্নে মেশ টপোলজির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো :
কম্পিউটার নেটওয়ার্কের প্রতিটি কম্পিউটার একে অপরের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে বলে একেই পরস্পর সংযুক্ত বা মেশ টপোলজি বলা হয়। এ টপোলজির কম্পিউটারগুলো একাধিক পথে যুক্ত হতে পারে। এখানে কম্পিউটারগুলো শুধু যে অন্য কম্পিউটার থেকে তথ্য নেয় তা নয় বরং সেই তথ্য নেটওয়ার্কের অন্য কম্পিউটারের মাঝে বিতরণ ও করতে পারে।
এ ধরনের নেটওয়ার্কের কোন একটি কম্পিউটার নষ্ট হলে নেটওয়ার্কের অন্য কম্পিউটারের সথে তথ্য আদান-প্রদানে কোন অসুবিধা হয় না। সুতরাং মেশ টপোলজির নেটওয়ার্ক হচ্ছে সহজ নেটওয়ার্ক।
প্রশ্ন ৪ : রাউটার কাকে বলে?
উত্তর: এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেক নেটওয়ার্কে ডাটা পাঠানোর পদ্ধতিতে বলে রাউটিং। যে ডিভাইস রাউটিং-এর কাজ করে তাকে রাউটার বলে । রাউটার (Router) শব্দটি এসেছে Route শব্দ থেকে। রাউটার একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র যা হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যারের সমন্বয়ে তৈরি।
এটি নেটওয়ার্ক তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। ইন্টারনেট অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে তৈরি। একই প্রোটোকলের অধীনে কার্যরত দুটি নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করার জন্য রাউটার ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে ইন্টারনেটে অসংখ্য রাউটার রয়েছে।
প্রশ্ন ৫ : টপোলজি কী? নেটওয়ার্ক ডিভাইস সুইচ, মডেম, ল্যানকার্ড সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ।
উত্তর: কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কম্পিউটার সমূহ একটি অন্যটির সাথে সংযুক্ত থাকার পদ্ধতিকে টপোলজি বলে।
সুইচ: সুইচ হচ্ছে একটি নেটওয়ার্কিং ডিভাইস, যা প্রত্যেকটি আইসিটি যন্ত্রের একটি করে ঠিকানা বরাদ্দ করে এবং এ ঠিকানা অনুযায়ী তথ্যের আদান-প্রদান করে । অর্থাৎ কোনো একটি ঠিকানা থেকে অন্য কোনো ঠিকানায় উপাত্ত বা ডাটা পাঠাতে চাইলে সুইচ এক ঠিকানার তথ্য অন্য ঠিকানায় পৌছে দেয়। এ বরাদ্দকৃত ঠিকানাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভাষায় MAC Address নামে ডাকা হয়।
ল্যানকার্ড: ল্যান কার্ডকে নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড (NIC) বলা হয়। এটি প্রতিটি কম্পিউটারে মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে। এর সাহায্যে কম্পিউটার সমূহের মধ্যে সোজাসুজি নেটওয়ার্ক জুড়িয়ে দিয়ে এক কম্পিউটারের সাথে অন্য কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করে। অর্থাৎ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে ল্যান কার্ডের কার্যকারিতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।
মডেম: মডেম হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। Modulator এর Mo এবং De-modulator এর Dem অংশ দুটির সমন্বয়ে Modem শব্দটি তৈরি হয়েছে। কাজেই মডেম একটি তারবিহীন ইন্টারনেট প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি কম্পিউটারে যুক্ত করে ইন্টারনেট সেবা আদান-প্রদান করতে পারি। অর্থাৎ এর মূল কাজ হলো কম্পিউটার হতে প্রাপ্ত ডিজিটাল সিগনালকে রূপান্তর করে Modem – এ প্রেরণ করে। আবার নেটওয়ার্ক হতে প্রাপ্ত সিগনালকে রূপান্তর করে কম্পিউটারে প্রেরণ করে। এভাবেই মডেম নেটওয়ার্কিং-এ তার কার্যক্রম করে থাকে।
প্রশ্ন ৬ : অপটিক্যাল ফাইবার সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা করো।
উত্তর: অপটিক্যাল ফাইবার অত্যন্ত সরু এক ধরনের কাচের তন্তু। অপটিক্যাল ফাইবারের ভেতর দিয়ে অনেক বেশি সিগন্যাল পাঠানো সম্ভব এবং শুনে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে কিন্তু একটি অপটিক্যাল ফাইবারের ভেতর দিয়ে এক সাথে কয়েক লক্ষ টেলিফোন কল পাঠানো সম্ভব। ইদানিং অপটিক্যাল ফাইবার যোগাযোগ এত উন্নতি হয়েছে যে পৃথিবীর সব দেশেই অপটিক্যাল ফাইবারের নেটওয়ার্ক দিয়ে একে অন্যের সাথে সংযুক্ত।
স্যাটেলাইট সিগন্যাল আলোর বেগে যেতে পারে কিন্তু অপটিক্যাল ফাইবারে কাচের ভেতর দিয়ে যেতে হয় বলে সেখানে আলোর বেগ এক-তৃতীয়াংশ কম। তারপরেও পৃথিবীর এক পৃষ্ঠ থেকে অন্য পৃষ্ঠে অপটিক্যাল ফাইবারে সিগন্যাল পাঠাতে হলে সেটি অনেক তাড়াতাড়ি পাঠানো যায়।
প্রশ্ন ৭ : টপোলজি কী? যেকোনো চারটি টপোলজি বর্ণনা করো।
উত্তর: কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কম্পিউটারসমূহ একটি অন্যটির সাথে সংযুক্ত থাকার পদ্ধতিকে টপোলজি বলে। নিচে চারটি টপোলজি সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো।
বাস টপোলজি: বাস টপোলজিতে একটা মূল ব্যাকবোন বা মূল লাইনের সাথে সবগুলো কম্পিউটারকে জুড়ে দেওযা হয়। বাস টপোলজিতে কোনো একটা কম্পিউটার যদি অন্য কোনো কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করতে চায়, তাহলে সব কম্পিউটারের কাছেই সেই তথ্য পৌছে যায়।
রিং টপোলজি: রিং টপোলজি গোলাকার বৃত্তের মতো। এই টপোলজিতে প্রত্যেকটা কম্পিউটার অন্য দুটো কম্পিউটারের সাথে যুক্ত। এই টপোলজিতে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য যায় একটি নির্দিষ্ট দিকে। এই টপোলজিতে একটি কম্পিউটার নষ্ট হলে পুরো নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায়।
স্টার টপোলজি: কোনো নেটওয়ার্কের সবগুলো কম্পিউটার যদি একটা কেন্দ্রীয় হাবের সাথে যুক্ত থাকে, তাহলে সেটাকে বলে স্টার টপোলজি। এই টপোলজিতে একটা কম্পিউটার নষ্ট হলেও বাকি নেটওয়ার্ক সচল থাকে। কিন্তু কোনোভাবে কেন্দ্রীয় হাব নষ্ট হলে পুরো নেটওয়ার্কটাই অচল হয়ে পড়বে।
স্টার টপোলজি: স্টার টপোলজির সম্প্রসারিত রূপ হচ্ছে ট্রি টপোলজি। এই টপোলজিতে একাধিক কানেন্টিং ডিভাইস হিসেবে হাব বা সুইচ ব্যবহার করে নেটওয়ার্কভুক্ত সকল কম্পিউটারকে একটি বিশেষ স্থানে সংযুক্ত করা হয়। একে বলা হয় সার্ভার বা বুট। ট্রি সংগঠনে এক বা একাধিক স্তরে নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলো বুট-এর সাথে যুক্ত থাকে।
প্রশ্ন ৮ : নেটওয়ার্ক কানেকশনে অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যবহার কেন সুবিধাজনক? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: অপটিক্যাল ফাইবার অত্যন্ত সরু এক ধরনের কাচের তন্তু। অপটিক্যাল ফাইবারের ভেতর দিয়ে অনেক বেশি সিগন্যাল পাঠানো সম্ভব এবং শুনে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে কিন্তু একটি অপটিক্যাল ফাইবারের ভেতর দিয়ে এক সাথে কয়েক লক্ষ টেলিফোন কল পাঠানো সম্ভব। ইদানিং অপটিক্যাল ফাইবার যোগাযোগ এত উন্নতি হয়েছে যে পৃথিবীর সব দেশেই অপটিক্যাল ফাইবারের নেটওয়ার্ক দিয়ে একে অন্যের সাথে সংযুক্ত।
স্যাটেলাইট সিগন্যাল আলোর বেগে যেতে পারে। কিন্তু অপটিক্যাল ফাইবারে কাচের ভেতর দিয়ে যেতে হয় বলে সেখানে আলোর বেগ এক-তৃতীয়াংশ কম। এছাড়াও অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্য দিয়ে ডেটা স্থানান্তর খুব দ্রুতগতিতে হয়। ডেটার চা খুবই কম হওয়ায় নেটওয়ার্ক কানেকশনে অপটিক্যাল ফাইবার খুব সহজ সুবিধাজনক । বর্তমানে অনেক কোম্পানীতে এটি ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক কানেকশন গড়ে তুলছে।
প্রশ্ন ৯ : নেটওয়ার্ক মিডিয়া বলতে কি বোঝায়? স্যাটেলাইট এবং অপটিকাল ফাইবারের মধ্যে সম্পর্ক নিরূপণ করো।
উত্তর: যে বস্তু ব্যবহার করে কম্পিউটারের মধ্যে নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয় তাকে নেটওয়ার্ক মিডিয়া বলে। যেমন: ক্যাবল। যোগাযোগ ব্যবস্থায় স্যাটেলাইট ও অপটিক্যাল ফাইবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ । নিচে দুটির ভূমিকা ব্যাখ্যা করা হলো:
স্যাটেলাইট: স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে ঘিরে ঘুরতে থাকে। পৃথিবী তার অক্ষে ২৪ ঘণ্টায় ঘুরে আসে। স্যাটেলাইটকেও যদি ঠিক চব্বিশ ঘন্টায় একবার পৃথিবীকে ঘুরিয়ে আনা যায় তাহলে পৃথিবী থেকে মনে হবে সেটা বুঝি আকাশের কোনো এক জায়গায় স্থির হয়ে আছে। এ ধরনের স্যাটেলাইটকে বলে জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট । আকাশে একবার জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট বসানো হলে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে সেখানে সিগন্যাল পাঠানো যায় এবং স্যাটেলাইট সেই সিগন্যালটিকে নতুন করে পৃথিবীর অন্য পৃষ্ঠে পাঠিয়ে দিতে পারে। এই পদ্ধতিতে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে রেডিও, টেলিফোন, মোবাইল ফোন কিংবা ইন্টারনেটে সিগন্যাল পাঠানো যায়। যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্যাটেলাইট একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করেছে।
অপটিক্যাল ফাইবার: অপটিক্যাল ফাইবার অত্যন্ত সরু এক ধরনের কাচের তন্তু। অপটিক্যাল ফাইবারের ভেতর দিয়ে অনেক বেশি সিগন্যাল পাঠানো সম্ভব এবং শুনে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে কিন্তু একটি অপটিক্যাল ফাইবারের ভেতর দিয়ে এক সাথে কয়েক লক্ষ টেলিফোন কল পাঠানো সম্ভব। ইদানিং অপটিক্যাল ফাইবার যোগাযোগ এত উন্নতি হয়েছে যে পৃথিবীর সব দেশেই অপটিক্যাল ফাইবারের নেটওয়ার্ক দিয়ে একে অন্যের সাথে সংযুক্ত।
স্যাটেলাইট সিগন্যাল আলোর বেগে যেতে পারে। কিন্তু অপটিক্যাল ফাইবারে কাচের ভেতর দিয়ে যেতে হয় বলে সেখানে আলোর বেগ এক-তৃতীয়াংশ কম। তারপরেও পৃথিবীর এক পৃষ্ঠ থেকে অন্য পৃষ্ঠে অপটিক্যাল ফাইবারে সিগন্যাল পাঠাতে হলে সেটি অনেক তাড়াতাড়ি পাঠানো যায়।
প্রশ্ন ১০ : সংক্ষেপ্তে বর্ণনা দাও: সার্ভার, ক্লাইন্ট, NIC, মিডিয়া, প্রটোকল।
উত্তর: সার্ভার: যে Serve করে তাকেই সার্ভার (Server) বলা হয়। সার্ভার হচ্ছে একধরনের কম্পিউটার যা আকারে বড় এবং উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন। যে কোনো নেটওয়ার্কে অবস্থিত হাজার হাজার কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সার্ভার কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
ক্লায়েন্ট: ক্লায়েন্ট (Client) একটা ইংরেজি শব্দ। কেউ যদি অন্য কারো কাছ.থেকে কোনো ধরনের সেবা নেয়, তখন তাকে ক্লায়েন্ট বলে। কম্পিউটার নেটওয়ার্কেও ক্লায়েন্ট শব্দটার অর্থ মোটামুটি সেরকম। যে সব কম্পিউটার সার্ভার থেকে কোনো ধরনের তথ্য নেয় তাকে ক্লায়েন্ট বলে। যেমন, কোন কম্পিউটার থেকে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ই-মেইল পাঠানো হবে।
NIC: দুটো বা অধিকসংখ্যক কম্পিউটারকে এক সাথে যুক্ত করতে যে যন্ত্র অবশ্যই প্রয়োজন হয়, তা হলো ল্যান কার্ড। অর্থাৎ আমরা যদি কোনো নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চাই, তবে অবশ্যই ল্যান কার্ডের প্রয়োজন হবে। নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত এক আইসিটি যন্ত্র থেকে অন্য যন্ত্রে কোনো তথ্য বা উপাত্ত পাঠাতে কিংবা গ্রহণ করতে ল্যান কার্ডের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে ল্যান কার্ডের ভূমিকা ইন্টারপ্রেটারের।
মিডিয়া: যে বস্তু ব্যবহার করে কম্পিউটারগুলো জুড়ে দেওয়া হয় সেটা হচ্ছে মিডিয়া। বৈদ্যুতিক তার, কো-এক্সিয়াল তার, অপটিক্যাল ফাইবার ইত্যাদি মিডিয়া।
প্রটোকল: প্রটোকল কম্পিউটার নেটওয়ার্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি ছাড়া একটি সফল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা অসম্ভব। ভিন্ন ভিন্ন কম্পিউটারকে এক সাথে যুক্ত করে দিতে হলে এক কম্পিউটারের সাথে অন্য কম্পিউটারের যোগাযোগ করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তথ্য আদান- প্রদান করতে হয়। যারা নেটওয়ার্ক তৈরি করেন তারা আগে থেকেই ঠিক করে নেন, ঠিক কোন ভাষায়, কোন নিয়ম মেনে এক কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করবে। এই নিয়মগুলোই হচ্ছে প্রটোকল।
►► আইসিটি ১ম অধ্যায় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব
►► আইসিটি ২য় অধ্যায় : কম্পিউটার নেটওয়ার্ক
►► আইসিটি ৩য় অধ্যায় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নিরাপদ ও নৈতিক ব্যবহার
►► আইসিটি ৪র্থ অধ্যায় : স্প্রেডশিটের ব্যবহার
►► আইসিটি ৫ম অধ্যায় : শিক্ষা ও দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার
অষ্টম শ্রেণীর অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে এখানে ক্লিক করো। নতুন সাজেশন পেতে জয়েন করো SSC and HSC Candidates, Bangladesh ফেসবুক গ্রুপে। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post