নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ৭ম অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (PDF)

নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ৭ম অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর : বাজারে দৈনন্দিন ব্যবহার্য বিভিন্ন পানীয় যেমন: কোক, ফানটা, পেপসি প্রভৃতি পাওয়া যায়। এগুলোতে প্রচণ্ড চাপে সোডিয়াম বাইকার্বনেট এবং সাইট্রিক এসিড যোগ করা হয়। বোতলের মুখ খুললে চাপ অপসারিত হয়। ফলে দ্রবীভূত কার্বন ডাইঅক্সাইড বুদবুদ আকারে বের হয়ে আসে।

নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ৭ম অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

১. মাটির উর্বরতা বাড়াতে কী কী সার ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: মাটির উর্বরতা বাড়াতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (NH4NO3), অ্যামোনিয়াম ফসফেট [(NH4)3PO4], পটাসিয়াম নাইট্রেট (KNO3) ইত্যাদি সার ব্যবহার করা হয়।

২. শিল্পকারখানায় প্রভাবক হিসেবে কী কী লবণ ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: শিল্পকারখানায় প্রভাবক হিসেবে তুঁতে (CuSO4.5H2O), মারকিউরিক সালফেট (HgSO4), সিলভার সালফেট (AgSO4) ইত্যাদি লবণ ব্যবহৃত হয়।

৩. কয়েকটি ক্ষারকের নামের তালিকা তৈরি কর যা আমরা খাদ্য ও পানীয়তে ব্যবহার করি।
উত্তর: কয়েকটি ক্ষারকের নামের তালিকা নিম্নরূপ:

• চুন—CaO
• চুনের পানি—Ca(OH)2
• বেকিং সোডা—NaHCO3
• বিভিন্ন ফিজি (গ্যাসমুক্ত) পানীয় —NaHCO3

৪. প্রশমন বিক্রিয়ায় নির্দেশকের ভূমিকা কী?
উত্তর: নির্দেশক এসিড ক্ষারের প্রশমন বিক্রিয়ায় প্রশমন ক্ষণ বা শেষ বিন্দু নির্দেশ করে। তাছাড়া নির্দেশকের সাহায্যে দ্রবণটি এসিডীয় না ক্ষারীয় না নিরপেক্ষ তা শনাক্ত করা যায়।

৫. প্রশমন বিক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যে বিক্রিয়ায় এসিড ও ক্ষার বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে। অর্থাৎ, এসিড + ক্ষার = লবণ + পানি। H2SO4 + NaOH = Na2SO4 + H2O

৬. আমাদের দৈনিক খাদ্য তালিকায় এসিডযুক্ত খাদ্যের একটি তালিকা প্রস্তুত করে কোনটিতে কী এসিড আছে লেখ।
উত্তর: আমাদের দৈনিক খাদ্য তালিকায় এসিডযুক্ত খাদ্যের একটি তালিকা নিম্নরূপ:
এসিডযুক্ত খাদ্য:
লেবু, টমাটো, কমলা, আনারস
শাকসবজি এবং কচু ও কচুর লতি
দই
আঙুর
আপেল, নাশপাতি
তেঁতুল, টারটারিক

এসিডের নাম:
সাইট্রিক এসিড
অক্সালিক এসিড
ল্যাকটিক এসিড
টারটারিক এসিড
ম্যালিক এসিড
এসিড

৭. এসিড ও ক্ষারের প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব আলোচনা কর।
উত্তর: এসিড ও ক্ষারের প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব নিম্নরূপ—
i. জলীয় দ্রবণে এসিড ও ক্ষারের প্রশমন বিক্রিয়া দ্বারা একটি দ্রবণের জানা ঘনমাত্রা থেকে অপর দ্রবণের অজানা ঘনমাত্রা নির্ণয় করা যায়।
ii. অম্ল ও ক্ষারের প্রশমন বিক্রিয়া দ্বারা লবণ তৈরি করা যায়।

৮. বেকিং সোডা কীভাবে কাজ করে?
উত্তর: বেকিং সোডা হলো NaHCO3। ময়দার সাথে বেকিং সোডা মেখে যখন কেক, পাউরুটি তৈরি করা হয়, তখন এটি উত্তাপে বিয়োজিত হয় এবং উৎপন্ন CO2 ছিদ্র তৈরি করে বের হয়ে যায় যা কেক বা পাউরুটিকে ফুলিয়ে তোলে।

৯. কোক, ফানটা, পেপসি প্রভৃতি পানীয়ের বোতলে ছিপি খোলার পর বুদবুদ ওঠে কেন?
উত্তর: বাজারে দৈনন্দিন ব্যবহার্য বিভিন্ন পানীয় যেমন: কোক, ফানটা, পেপসি প্রভৃতি পাওয়া যায়। এগুলোতে প্রচণ্ড চাপে সোডিয়াম বাইকার্বনেট এবং সাইট্রিক এসিড যোগ করা হয়। বোতলের মুখ খুললে চাপ অপসারিত হয়। ফলে দ্রবীভূত কার্বন ডাইঅক্সাইড বুদবুদ আকারে বের হয়ে আসে।

১০. খাদ্যে লবণ ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তর: খাদ্যের স্বাদ বৃদ্ধি এবং খাদ্যকে পচন থেকে সংরক্ষণে সহায়তা করে বলে খাদ্যে লবণ ব্যবহার করা হয়।
খাদ্য লবণের সঙ্গে পটাসিয়াম আয়োডাইড লবণ মিশিয়ে আয়োডাইড লবণ তৈরি করা হয়। আয়োডাইড লবণ ব্যবহারে আমরা হাবাগোবা গলগ- ইত্যাদি রোগ থেকে রক্ষা পাই। একারণেই প্রায় সকল প্রকার খাদ্য প্রস্তুতিতে সর্বদা খাদ্য লবণ ব্যবহৃত হয়।

১১. মৌমাছির হুল ফুটানো স্থানে বেকিং সোডা লাগালে ব্যথা কমে যায় কেন?
উত্তর: মৌমাছির হুলে ফরমিক এসিড থাকে। এই এসিডকে প্রশমিত করতে একটি দুর্বল ক্ষারকের প্রয়োজন হয়। তাই আমরা বেকিং সোডা আক্রান্ত স্থানে লাগাই। এতে ব্যথা উপশম হয়।

১২. বোলতা বা ভীমরুলের হুল ফুটানো স্থানে ভিনেগার কেন ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: বোলতা বা ভীমরুলের হুলে হিস্টামিন নামক ক্ষারক পদার্থ থাকে। এই ক্ষারককে প্রশমিত করতে একটি এসিডের প্রয়োজন হয়। তাই আমরা ক্ষতস্থানে ভিনেগার বা এসিটিক এসিড (CH3COOH) লাগাই।

১৩. পরীক্ষাগারে যে লবণ তৈরি হয় তার দুটি প্রস্তুতি উল্লেখ কর।
উত্তর: পরীক্ষাগারে লবণ তৈরির দুটি প্রস্তুতি নিম্নরূপ:
i. ধাতুর সাথে এসিডের বিক্রিয়ায় লবণ তৈরি হয়। যেমন—Zn + H2SO4 ⟶ ZnSO4 + H2
ii. এসিড ও ক্ষারের প্রশমন বিক্রিয়ায় লবণ তৈরি হয়। যেমন—HCl + NaOH ⟶ NaCl + H2O

১৪. HCl তীব্র এসিড অথচ H2CO3 মৃদু এসিড কেন?
উত্তর: HCl জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণরূপে আয়নিত হয়ে H+ উৎপন্ন করে। তাই HCl তীব্র এসিড। H2CO3 জলীয় দ্রবণে অতি অল্প সংখ্যক H+ উৎপন্ন করে। তাই H2CO3 মৃদু এসিড।

১৫. কোনো যৌগে OH- মূলক থাকলেই তা ক্ষার হয় না—উক্তিটির ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: কোনো যৌগে OH- মূলক থাকলে তা ক্ষার না হয়ে ক্ষারকও হতে পারে। ক্ষার হতে হলে অবশ্যই তা পানিতে দ্রাব্য হতে হবে। কিন্তু ক্ষারক পানিতে দ্রবীভূত হতে পারে নাও হতে পারে।

Answer Sheet

আরও দেখো—নবম ও দশম শ্রেণির বিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

নবম-দশম শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ৭ম অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে উত্তরগুলো সংগ্রহ করে নাও। এছাড়াও অধ্যায়ভিত্তিক জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক এবং সৃজনশীল প্রশ্নের সমাধান পেতে উপরে দেওয়া লিংকে ভিজিট করো।