jhankar mahbub books pdf free download : ঝংকার মাহবুব, যিনি প্রচলিত বেরসিক শিক্ষাপদ্ধতির বাইরে আনন্দের সাথে লেখালেখি করতে পছন্দ করেন। পাঠকসমাজে তার পরিচিতি এখন ধরাবাধা লেখার বাইরে নতুনত্বের আমেজ এনে দেয়া তরুণ লেখক হিসেবে। তিনি পেশায় একজন ওয়েব ডেভেলপার। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক পাশ করার পর যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
jhankar mahbub books pdf free download
বাংলাদেশের তরুণ লেখকদের মধ্য থেকে ঝংকার মাহবুব এর বই আলাদা করা যায় খুব সহজেই। কারণ, তার লেখনির ধরন ও লেখার বিষয়গুলো ব্যতিক্রমধর্মী। কম্পিউটার প্রোগ্রামিংকে কীভাবে এ দেশের তরুণদের মাঝে আরো সহজবোধ্য করা যায়, তা নিয়েই মূলত লেখালেখি করেন ঝংকার মাহবুব। আজকের এই পোস্টে আমরা ঝংকার মাহবুবের বেশকিছূ বই নিয়ে আলোচনা করবো। ডাউনলোডের পূর্বে অবশ্যই প্রতিটি বই সম্পর্কে জানুন সেগুলো কেন লেখা হয়েছে। এই আর্টিকেলের শেষে ডাউনলোড লিংক দেয়া থাকবে।
১. প্রোগ্রামিং এর চৌদ্দগুষ্ঠি PDF Book Free Download
প্রোগ্রামিং নিয়ে যারা ভীষণভাবে কনফিউজড হয়ে আছেন তাদের জন্য দুর্দান্ত একটি বই হচ্ছে প্রোগ্রামিং এর চৌদ্দগুষ্ঠি। বইটি লিখেছেন জনপ্রিয় প্রোগ্রামার ও ডেভেলপার ঝংকার মাহবুব। অনেকেই আছেন যারা প্রোগ্রামিং শিখবো বা শুরু করবো করবো বলে কিছুই শেখা হচ্ছে না, বা প্রোগ্রামিং এর স্বপ্ন দেখে নাকে তেল দিয়ে যারা ঘুমিয়ে যান, তারা এই বইটি পড়তে পারেন।
প্রতিটি প্রোগ্রামিং ভাষারই সাধারণ ও মৌলিক কিছু বিষয় থাকে। আপনি যদি প্রোগ্রামিং করতে চান, তাহলে সেগুলো সম্পর্কে সম্মুখ ধারণা রাখতে হবে। প্রোগ্রামিং শিখতে হলে কোন ল্যাঙ্গুয়েজ আগে শিখবো বা কি দিয়ে শুরু করবো এসব ভাবতে ভাবতেই যারা তাদের মূল্যবান সময় শহীদ করে দিচ্ছেন, তাদের জন্যই মূলত প্রোগ্রামিং এর চৌদ্দগুষ্ঠি বইটি লেখা হয়েছে।
এ বইয়ে প্রোগ্রামিং এর একদম বেসিক বিষয়গুলো দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, যা মূলত একজন বিগিনারের খুব বেশি প্রয়োজন। আপনি যদি বিগিনার হয়ে থাকেন আর বেসিক সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা থাকে তাহলে প্রোগ্রামিং ল্যাংঙ্গুয়েজ শেখা আপনার জন্য অনেকাংশেই ইজি হয়ে যাবে। আপনিও হয়ে যেতে পারেন প্রোগ্রামিং এর বস।
২. হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং PDF Book Free Download
এমন একটি সময়ে বর্তমানে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, যখন কিনা প্রোগ্রামিং শিখাটা আমাদের সবার জন্য জরুরী। কিন্তু আমাদের মত অনেক হাবলুই প্রোগ্রামিং এর বিষয়বস্তু ঠিকমত বুঝতে পারে না। তাই বল কি হাবলুদের প্রোগ্রামিং শেখা হবে না? একদমই তা নয়। হাবলুরা অর্থাৎ, তুলনামূলক দুর্বলরা যাতে তাদের মতো করেই প্রােগ্রামিং শিখতে পারে তার জন্য রয়েছে হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং।
প্রোগ্রামিং এর ওপর দারুণ এই বইটির লেখকও ঝংকার মাহবুব। অপেক্ষাকৃত দুর্বলদের জন্য এই বইটি লেখা। পাশাপাশি যারা ভয়ের কারণে প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করতেই পারে না৷ প্রোগ্রামিং কঠিন; সায়লের স্টুডেন্ট বা ম্যাথে ভালো না হলে প্রোগ্রামিং শিখতে পারবে না মনে করে মুখ লুকিয়ে রাখে। তাদের জন্য গল্প আর মজার ছলে, চায়ের আড্ডার মাধ্যমে প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক কনসেপ্টগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে৷
jhankar mahbub books pdf free download
সেই সকল মানুষেরা যা প্রোগ্রামিং এর কিছুই বোঝে না, তাদেরকে হাবলুদের মতো করে, চায়ের দোকানের আড্ডার ভাষা দিয়ে প্রোগ্রামিংকে উপস্থাপন করা হয়েছে। যাতে হাবলুরা হাবলু স্টাইলে প্রোগ্রামিংয়ের মজা পেয়ে এগিয়ে যেতে পারে। এটি অনুসরণের ফলে অপেক্ষাকৃত দুর্বলরা প্রোগ্রামিং শিখতে দারুণ অনুপ্রাণিত হবে।
তাছাড়া স্মার্টফোনে এক্সট্রা কোন এ্যাপ ইনস্টল না করেই প্রোগ্রামিং প্রাকটিস করতে পারবে এমন ধারণা এই বইয়ে দেয়া হয়েছে। আর যারা প্রোগ্রামিং শিখে কিছুটা এগিয়ে আছে, তারাও বইটি পড়ে প্রোপ্রামিংয়ের বেসিক কনসেপ্টগুলো আরো ধারালো করে নিতে পারবে। বইটি ঝংকার মাহবুবের লেখা সাধারণ মানুষকে প্রোগ্রামিং বোঝার জন্য একটি হাতিয়ার স্বরুপ। এখানে প্রোগ্রাম লেখার বেসিক আইডিয়াগুলাে অত্যান্ত সুনিপুণভাবে আলোচনা করা হয়েছে। একটি ছোট বাচ্চাও এই বই পড়ে বেসিক কন্সেপ্টগুলো ধরতে পারবে।
৩. প্রোগ্রামিংয়ের বলদ টু বস PDF Book Free Download
ঝংকার মাহবুব এর লেখা এটি একটি প্রোগ্রামিং কনসেপ্ট ভিভিক বই যা বাজারে প্রথম। প্রোগ্রামিংকে এত সহজভাবে বোঝানোর মত বই বাংলা ভাষায় সম্ভবত আর দ্বিতীয়টি নেই। আপনার যদি কোন বিষয় সম্পর্কে ধারণা না থাকে অর্থাৎ কনসেপ্ট ক্লিয়ার না থাকে, আপনি সে বিষয়ে কিভাবে সমস্যা সমাধান করবেন? এ জায়গাতেই লেখক তার ভিন্নধর্মী চিন্তাধারার প্রমাণ রেখেছেন। তিনি প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতি থেকে বের হয়ে বাক্সের বাইরে চিন্তাভাবনা করেছেন।
কাজ করতে করতে ব্যটারি ডাউন হয়ে যায়? আপনার জন্য সমাধান হতে পারে ঝংকার মাহবুবের Recharge Your Down Battery বইটি। পড়েছেন কি এই বই? না পড়লে আজ চলুন এই বইটি সম্পর্কে জানি। কোর্সটিকায় এর আগে ঝংকার মাহবুবের প্রোগ্রামিং এর চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও যারা সেটি পড়তে পারেননি, লিংক থেকে পড়ে আসুন।
“First they ignore you, then they laugh at you, then they fight you,then you win.” কথাটি বোঝা গেছে কি? জীবনে চলার পথে ঝামেলা আসবেই। ব্যার্থতা পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঢেকে দেবেই। আটকে গেলে আপনার শুধু প্রয়োজন সুযোগ বুঝে জোড়েসোরে একটি “ঠ্যালা” যে “ঠ্যালার” প্রভাবে চলে যাবে সব ঝামেলা।
Recharge Your Down Battery বইটি মূলত আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ঝামেলা বা স্ট্রেসকে কীভাবে মোকাবেলা করতে হয়, সেই শিক্ষা দেয়। পুরো বইটিতে লেখক ঝংকার মাহবুব যথাক্রমে মাসুম ভাই এবং আবির নামক দুই জনের সংলাপনির্ভর কথাবার্তার মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মের বিভিন্ন সমস্যা অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
এই বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠায় লুকিয়ে আছে জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সমাধান। যেখানে একজন বড় ভাই তার ছোট ভাইকে ক্যারিয়ার সম্পর্কিত বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। বইটিতে বলা হয়েছে, জীবনে সমস্যা থাকবেই, কিন্তু সমস্যাগুলো দেখে ঘাবড়ে গেলে চলবেনা, বরং ক্ষত কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে।
৪. Download Recharge Your Down Battery PDF Book Free
রিজার্চ ইয়োর ডাউন ব্যাটারি বইটির প্রতিটি অধ্যায়ই বেশ রোমাঞ্চকর। আপনি যদি সম্পূর্ণ বইটি পড়েন, বেশকিছু চমৎকার লাইন পাবেন। চলুন লাইনগুলো দেখে নেই।
১। আসলে দুনিয়াতে ট্যালেন্ট বলতে কিছু নেই। পরিশ্রমী পোলাপান দিনের পর দিন সাধনা করে যে দক্ষতা, যে জ্ঞান অর্জন করে, আইলসা পোলাপান সেটাকেই ট্যালেন্ট বলে।
২। তিন চারবার ব্যর্থ হয়ে ছেড়ে দিলে একটা বাংলাদেশের জন্ম হতো না! দুনিয়ায় কেউ শর্টকাটে সফল হতে পারেনাই, তুইও পারবি না।
৩। সার্টিফিকেট পাওয়ার আগে পড়ালেখা করে ভালো পরীক্ষা দিতে পারলেই কনভোকেশনের দিন ক্যাপ আকাশে ছুড়ে ছবি তুলতে পারবি। নিশেঃষ হওয়ার ইচ্ছে নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে পারলেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে ফিরে আসতে পারবি। তখন টিটকারি মারা বন্ধুরাও তোকে কনগ্রাটস জানানোর লাইনে দাঁড়াবে।
৪। পড়ালেখা বাদ দিয়ে বার্সার উনিং মোমেন্ট দেখার জন্য সারারাত কাটিয়ে দিবি না।কারণ, বার্সাকে তুই সময় দিলেও, বার্সা এসে তোর স্বপ্ন পূরণের কাজগুলো করে দিবে না। তাদের ট্রফি দিয়ে তোর ঘর সাজাবে না। তোর ইনবক্সে চাকুরী বা হায়ার স্টাডির অফার সেন্ড করে দিবে না! তোর লক্ষ্য অর্জনের জন্য তোকেই মাঠে নামতে হবে। তোর বাসার দেয়ালে ঝোলানোর মেডেল, তোর ড্রয়িং রুমের শোকেইস সাজানোর ট্রফি, তোকেই অর্জন করতে হবে। তোকেই চেষ্টা করতে হবে।বুঝস না ব্যাপারটা?
৫। The biggest risk is not taking any risk!
৬। আমাদের লাইফ কন্ট্রোল করে তিনটা জিনিস। হয় অতীতের কষ্ট, না হয় বর্তমানের আনন্দ অথবা ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন।
৭। কোনো প্রেমই জীবনের সর্বস্ব হবে না। তোর জীবন তোর চিন্তার চাইতেও বড়। তোর ইমোশনের চাইতেও বড়।
৮। আজকের সকালটা, আজকের দিনটা তোর জন্য ইফেক্টিভ বানাতে না পারলে, এই মাসটা, এই বছরটাও তোর জন্য ইভেক্টিভ বানাতে পারবিনা।
৯। আট-দশ বছর বয়স থেকে শুরু করে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, রোদ বৃষ্টি ঝড় উপেক্ষা করে সাধনা করতে করতেই একজন বিশ্বসেরা খেলোয়াড়ের জন্ম হয়!
১০। বারে বারে লাথি দিলে তালা ঠিকই ভাঙবে, স্বপ্নের দরজাটা একদিন খুলবে।
১১। তোর মন কন্ট্রোল করার সুইচ তোর হাতে। দুনিয়ার অন্য কারো হাতে না!
১২। পিছিয়ে পড়ার মানেই নিঃশেষ হয়ে যাওয়া নয়। এক দরজা থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার মানেই সব দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়া নয়। কারণ, জীবনের খেলায় কেউ দু-চার দিনে অলআউট হয় না। লাইফের টিভি সিরিয়াল ৮-১০টা এপিসোড হয়েই বন্ধ হয়ে যায় না।
১৩. First they ignore you, then they laugh at you, then they fight you,then you win.
১৪. দশজন হতাশ ফ্রেন্ডের সাথে থেকে হতাশ হওয়ার চাইতে বন্ধুহীন থাকা শ্রেয়!
১৫. ফেসবুকিং, মোবাইল, গেমস খেলার সময় বেশি যাচ্ছে? প্রেম পিরিতির ক্যাচাল উদয় হইছে? আড্ডার পরিমাণ বাড়ছে? একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবি, সময় যেটাতে বেশি যাচ্ছে, মনোযোগ সেখানেই হারিয়ে যাচ্ছে।
১৬. মোখলেস বা হোপলেস না হয়ে টার্গেট এচিভ করার মিশনে লেগে থাক। দেখা হবে বিজয়ে!
Recharge Your Down Battery বইটি কাদের জন্য?
দিনে কয়বার মোবাইলের চার্জ চেক করেন? চার্জের লাল বাতি জ্বলার আগেই চার্জার নিয়ে বসে পড়েন। অথচ কখনো কি চেক করেছেন আপনার লাইফের চার্জ কতটুকু অবশিষ্ট আছে? জীবন সম্পর্কে যারা দ্বিধাগ্রস্থ তাদের কিছুটা আশার আলো দেখানোর জন্যই এই বইটি।
যারা লাইফের চার্জ কতটুকু আছে চেক করতে চায় বা দরকার হলে নিজেকে রিচার্জ করে নিতে চায়। মরা ইঞ্জিন নিয়েও কেরামতি দেখাতে চায়। বন্ধুত্বের ভাইরাস, ছুতার জং ভালো না লাগার রোগ সেরে ফেলতে চায় তাদের জন্য এই বই। যাতে তারা সময়মতো কনফিডেন্সের বড়ি গিলতে পারে, কোপা শামসু স্টাইলে ফাইট দিয়ে জীবন ঝাক্কাস বানাতে পারে।
Recharge Your Down Battery বইটির উদ্দেশ্য কি?
এই বইটির উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনার লাইফ, স্বপ্ন ও অর্জনের জন্য একটি চার্জার দেয়া। যাতে যখনই দরকার পড়বে তখনই Recharge Your Down Battery বই দিয়ে নিজেই নিজেকে রিচার্জ করে নিতে পারেন। এইটা জীবনের বিভিন্ন সিচুয়েশনে হাল কিভাবে ধরবে সেই গাইডলাইনের একটি বই। একটু পিছিয়ে পড়ার পর, লাইফে কামব্যাক করার বই। স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে গিয়ে কিছু ভুল করে ফেলার পর আবারো লাইনে ফেরত আসার উপায় নিয়ে আলোচনা করা বই।
বইটি পড়ে যা শিখবেন
Recharge Your Down Battery বইটি মূলত একটি আত্মোন্নয়নমূক বই। নিজেকে সকল ব্যর্থতার বাধা কাটিয়ে কিভাবে উন্নতির চরম শেখরে নিয়ে যাবেন, তাই এই বইয়ে সুন্দরভাবে বর্ণিত হয়েছে। এক নজরে দেখে নিন বইটিতে পড়লে আপনি কি কি শিখবেন।
১। প্রথমত, বইটির নামেই রয়েছে চমৎকৃত হওয়ার ওষুধ। Recharge Your Down Battery আহা!! এই বইয়ের নামটা খুবই ব্যতিক্রম। বইয়ের নামটি দেখেই বইটি পড়ার ইচ্ছে মনে জাগে।
২। একটি ভুল ধারণা পাল্টে যাবে। ট্যালেন্ট বলে কিছুই হয় না। পরিশ্রমী ছেলেমেয়েরা দিনের পর দিন সাধনা করে যে দক্ষতা অর্জন করে, যে জ্ঞান অর্জন করে অলসরা সেটাকেই ট্যালেন্ট বলে।
৩। সাবজেক্ট নিয়ে আমরা অনেকেই ভয় পাই। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা পছন্দের সাবজেক্ট না পেলেই মনে করে তার স্বপ্নের সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে পারবে না। সাবজেক্ট ক্যারিয়ারের জন্য বাধা না৷
৪। এমন অনেকেই আছে যারা রিলেটেড সাবজেক্টে পড়ালেখা না করেও সেই সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছে। আপনি যদি আপনার সাবজেক্টের বাইরে অন্য কোন ফিল্ডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান, তাহলে নিজের পড়ালেখা ঠিক রাখতে হবে।
৫। সাধারণত, মোটিভেশনাল বইগুলো একটু গন্তীর টাইপের হয়। কিন্ত Recharge Your Down Battery বইটি সম্পূর্ণ বিপরীত। লেখক শুধু সমস্যা গুলোই তুলে ধরেননি, এগুলোর সমাধানও দিয়েছেন মজার ছলে। বইয়ের প্রতিটা পৃষ্ঠায় এত মজা করে হাস্যরসের সাথে তিনি আমাদের তরুণ সমাজের ভুলগুলোকে তুলে ধরেছেন, এর আগে কোন মোটিভেশনাল বইতে যা আমি পাইনি।
৬। আমরা অন্যের কথার ভয়ে অনেক সময় আমরা আমাদের স্বপ্নের পথ থেকে সরে আসি। কিংবা বন্ধুর ভাইরাসে জীবনে কিভাবে জং ধরিয়ে ফেলি। এসবকিছু সূক্ষ্মভাবে তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।
৭। সবচেয়ে ভালো লাগবে বইয়ের শেষের দিকটায় এসে। সেখানে ব্যাটারি চার্জ মাপার জন্য সত্যি সত্যি একটি
ব্যাটারি দিয়ে দেয়া হয়েছে। তারপর কিভাবে লাইনে আনতে হবে। কী কী স্টেপে কাজ করতে হবে তা বর্ণিত হয়েছে।
৮। এই বইয়ে ব্যবহার করা প্রতিটি ছবিই দারুণ মজার। বইটি পড়তে মজার একটি বিষয় সৃষ্টি হয়েছে যা বইটিকে নতুন একটি রূপ দিয়েছে।
লেখক অহেতুক কোডভিভিক জটিল বর্ণনা ও বিবরণ হতে বের হয়ে সম্পূর্ণ নিজস্ব ভঙ্গিতে লিখেছেন। পক্ষান্তরে অন্যান্য প্রোগ্রামিং বইগুলোতে কনসেপ্টগুলো কোড আকারে বোঝানো হয়। এতে করে কোডভীতি নতুন শিক্ষার্থীদের ভেতরে ভীতি সঞ্চার করে তাদেরকে প্রোগ্রামিং থেকে আরো দূরে সরিয়ে দেয় ।
এই বইটি পড়লে আপনার যখন প্রোগ্রামিং এর কনসেপ্ট ক্লিয়ার হবে, তখন কোড কোন ল্যাঙগুয়েজে লেখা হয়েছে; জাভা না পাইথন এটা মাথাব্যথার কারণ হবে না । একটা সময়ে এগুলো খুবই সহজ মনে হবে।
ওয়েব ডিজাইনও ডেভেলমেন্ট শিখতে আমাদের অফিসিয়াল গ্রুপে জয়েন করুন। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করতে পারেন এই লিংক থেকে।
Discussion about this post