Question: odd to the west wind bangla summery
শিল্প-সৌকর্যপূর্ণ সৌম্যসুঠাম, ঝাঁকড়া চুলের দীঘলদেহী এক দসুদর্শ প্রেমিক পুরুষ শেলী। রাজনীতি ও ধর্মের প্রচলিত প্রথা বিরোধী, সমাজশৃঙাখল বিরোধী, ক্ষ্যাপা দুর্বাসা দুর্বিনীত, জীবন্ত আগ্নেয়গিরির আগ্ন উত্তল গর্জনে ফেটে পড়া কবি শেলি। প্রেমের ক্ষেত্রে কুসুম কোমল আর বিদ্রোহের ক্ষেত্রে ভাগিরথীর ভৈরব গর্জন।
এ হচ্ছে বাঙালি কবির “মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরি আরেক হাতে রণতুর্য” এর প্রকৃষ্ট প্রতিরূপ। এই ফুঁসে ওঠা বিদ্রোহের তুঙ্গ তরঙ্গাভিঘাতে ঝাড়েবংশে নিমূল করে ফেলতে চান সকল দীনতা, হীনতা, জরা-ব্যাধি আর শৃঙ্খল। তারপর সেই ধ্বংস স্তূপের শ্মশান ভূমির উপর উড়াতে চান নতুনের বিজয় কেতন।
স্বাধীনতার প্রতি অনন্ত পিপাসার্ত কবি শেলী জন্মগ্রহণ করেন ইংল্যান্ডের নিকটবর্তী ফিল্ড প্লেস Field place এ, ১৭৯২ সালের ৪ঠা আগষ্ট। তাঁর বাবার নাম টিমোথি শেলী, অঢেল ধনৈশ্বর্য আর বিপুল ভূ-সম্পত্তির মালিক। এক সময় এই টিমোথি শেলী লর্ড সভার সদস্য হয়ে এম. পি. ও হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আদর্শবাদী ও রক্ষণশীল। বোনদের সঙ্গে শেলীর প্রথাগত পাঠের হাতে খড়ি হয় বাড়িতেই।
১৮০২ সালে তাঁকে ভর্তি করা হয় সিওন হাউজ, ব্রেন্ডফোর্ডে। এখান থেকে ১৮০৪ সালে ইটনে। ইটনেই তাঁর স্কুল জীবন শেষ হয় এবং ১৮০৮ সালে তাঁকে ভর্তি করা হয় অক্সফোর্ডে। অক্সফোর্ডে তাঁর পাঠ্য বিষয় ছিল ধর্ম ও দর্শন। অবশ্য অক্সফোর্ডে তাঁর বেশিদিন থাকা হলো না। ১৮১১ সালে তিনি The Necessity ‘নাস্তিকতার প্রয়োজনীয়তা’ নামে একটি পুস্তিকা বের করলেন। বেনামিতে এটি প্রকাশ করলেন এবং প্রচার করলেন। চারদিকে সমালোচনার ঝড় উঠে।
অতঃপর অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রকাশ্য আলোচনা করতে চাইল। কিন্তু শেলী তাতে সায় না দেয়ায় শেলী এবং তাঁর বন্ধু টমাস জেফারসন হগ (Thomas Jafferson Hogg) যার সহযোগিতায় বইটি রচিত হয়েছিল, দু’জনকেই অক্সফোর্ড থেকে বহিষ্কার করা হয়। অক্সফোর্ড থেকে বহিষ্কারের পর শেলীর বাবাও শেলীকে পরিবার থেকে বহিষ্কার করলেন। অক্সফোর্ড ছেড়ে শেলী তখন লন্ডনে।
বাবা এই ছেলের পেছনে আর কোন অর্থ খরচ করতে রাজি হন। বন্ধ করে দিলেন অর্থ সরবরাহ। শলীর তখন আর্থিক টানাপোড়নের মাঝে দিন কাটে। আর এরই মাঝে প্রেম আসল কোমল পদভরে। জীবনে প্রথম প্রেমের পরশ। মেয়েটির নাম হ্যারিয়েট গ্রোভ (Harriet Grove)। কিন্তু গ্রোভের সাথে শেলীর প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। শেলীর প্রচলিত ধর্মমতের বিরোধিতাকে গ্রোভ সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি।
ফলে কয়েক মাসের মধ্যে শেলীর প্রথম প্রেমের যবনিকাপাত। এদিকে যে বোন শেলীকে আশ্রয় দিল সে বোনকেই শেলী আস্তে আস্তে নাস্তিকতার মন্ত্র পড়াতে লাগলেন, তাকেও নাস্তিক করে তুললেন। শুধু তাই নয় বোনের এক বান্ধুবী হ্যারিয়েট ওয়েষ্টব্রুক (Harriet Weastbrook) কেও নাস্তিকতার দীক্ষা দিলেন। হ্যারিয়েট ছিল সম্ভ্রন্ত কফি হাউজ মালিকের ষোড়শবর্ষীয়া কন্যা।
শেলী হ্যারিয়েটকে তাঁর মতোবাদের মুরিদ বানাতে গিয়ে তার প্রেমে পড়েছেন। তারপরপ্রেমের ঘরছাড়া বাঁশি কাউকেই আর ঘরে থাকতে দিল না, দু‘জনেই ঘর ছেড়ে পালালেন, লন্ডন ছেড়ে গেলেন এডিনবরায়। ১৮১১ সালের ২৮ শে আগষ্ট বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। ১৮১৩-তে জন্ম করল শেলী ও হ্যারিয়েটের প্রথমা কন্যা ইয়ান্তে। এই কন্যা সন্তানের আবির্ভাবের পর পরই তাদের মধ্যে অভাব অভিযোগের ছোটখাট বিষয় নিয়ে শুরু হয় বিবাদ।
আর এই ছোটখাট বিষয়গুলোই দাম্পত্য কলহে রূপ নেয়এবং খুব দ্রুত তাদের সম্পর্কে চিড় ধরায়। অবশেষ ১৮১৪ সালে হ্যারিয়েট স্বেচ্ছায় বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটনা এবং পিতৃগৃহে আশ্রয় নেন। পিতৃগৃহে হ্যারিয়েট আর একটি সন্তান জন্ম দেন। ১৮১৬ সালের ৯ই নভেম্বর হ্যারিয়েট সারপেন্টাইনের হ্রদে আত্মহত্যা করেন। আর সেই বছরই ৩০ শে ডিসেম্বর শেলী দ্বিতীয় বিয়ে করলেন গডউইনের স্বর্ণকেশী কন্যা মেরিকে।
১৮১৮ সালের জানুয়ারি মাসে মেরির গর্ভে জন্ম নেয় শেলীর আর এক কন্যা সন্তান ক্লারা শেলী, কীটস, লী হ্যান্ট ঘনিষ্ঠ বন্ধু। শেলী, কীটস দু‘জনকেই তিনি জনসমক্ষে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। ১৮১৮ সালে শেলীর মধ্যে অসুস্থতা বাসা বাঁধে। তখন লী হ্যান্টকে নিয়ে পুত্র উইলিয়াম, কন্যা ক্লারা এবং স্ত্রী মেরিসহ ইটালীতে পাড়ি জমান। ইটালীতে তাঁর পুত্র ও কন্যা উভয়েই মারা যায়। ১৮১৯ সালে জন্ম নেয় তাঁর তৃতীয় সন্তান। তারপর আমৃত্যু তিনি ইটালীতেই অবস্থান করেন।
১৮২২ সালের গ্রীষ্মকাল। শেলী এলেন সমুদ্রতীরে। স্পেজিয়ার ক্যাসা মগনীতে। জুলাইয়ের ৮ তারিখ। বন্ধু উইলিয়াম আর শেলী নৌকায় চেপে বসলেন। সেদিন সন্ধায় শুরু হলো প্রচুন্ড ঝড়। ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকা তলিয়ে গেল। সলিল সমাধি রচিত হলো ইংরেজি সাহিত্য ক্ষেপা নক্ষত্রের।
শেলীর বিখ্যাত কিছু কবিতা
- Ozymandias
- Music, when soft voices die
- Stanzas Written in Dejection, Near Naples
- Mont Blanc
- To a Skylark
- The flower that smiles today
- Ode to the West Wind
- The Mask of Anarchy
- To the Moon
- Adonaïs
odd to the west wind bangla meaning
O wild West Wind, thou breath of Autumn’s being,
Thou, from whose unseen presence the leaves dead
Are driven, like ghosts from an enchanter fleeing,
Yellow, and black, and pale, and hectic red,
Pestilence-stricken multitudes: O thou,
Who chariotest to their dark wintry bed
The winged seeds, where they lie cold and low,
Each like a corpse within its grave, until
Thine azure sister of the Spring shall blow
Her clarion o’er the dreaming earth, and fill
(Driving sweet buds like flocks to feed in air)
With living hues and odours plain and hill:
Wild Spirit, which art moving everywhere;
Destroyer and preserver; hear, oh hear!
হে বন্য পশ্চিমা বায়ু, তুমি শরতের প্রশ্বাস
অদৃশ্য উপস্থিতিতে তোমার, শুকনো পত্রপল্লব
তাড়িত হয়, যেভাবে জাদুকর ভূত তাড়ায়,
হলদে, কালো, বিবর্ণ এবং রুগ্ন লাল পাতা
মহামারিতে আক্রান্ত রুগ্ন জনগণের মত, আর তুমি,
যে রথে করে নিয়ে যাও তাদের অন্ধকার শীতের বিছানায়
পাখাযুক্ত বীজ, ঘুমায় তারা শীতল ও নীচু ভূমিতে
প্রত্যেকে যেন কবরে শুয়ে থাকা লাশের মতো, যতক্ষণ পর্যন্ত না
তোমার নীলাকাশ থেকে বসন্ত বাতাস বাজাবে
তার তুর্যধ্বনি, স্বপ্নেমগ্ন পৃথিবীর উপরে এবং পরিপূর্ণ করবে
(মিষ্টি কুঁড়িকে অংকুরিত করে যেন মেষপালক মেষ তাড়ায়)
সমতলভূমি ও পাহাড় শত বর্ণের ফুল ও গন্ধে ৷
ঝড়ো শক্তি, যা প্রবাহিত হচ্ছে সর্বত্র,
ধ্বংসকারী এবং রক্ষাকারী, শোন, হে শোন!
Thou on whose stream, mid the steep sky’s commotion,
Loose clouds like earth’s decaying leaves are shed,
Shook from the tangled boughs of Heaven and Ocean,
Angels of rain and lightning: there are spread
On the blue surface of thine aëry surge,
Like the bright hair uplifted from the head
Of some fierce Maenad, even from the dim verge
Of the horizon to the zenith’s height,
The locks of the approaching storm. Thou dirge
Of the dying year, to which this closing night
Will be the dome of a vast sepulchre,
Vaulted with all thy congregated might
Of vapours, from whose solid atmosphere
Black rain, and fire, and hail will burst: oh hear!
তুমি, যার প্রবাহ গভীর আকাশের মধ্যে তোলে আলোড়ন,
পৃথিবীর শুকনো পাতা সম মেঘগুলো ঝরে যায়,
সমুদ্র ও আকাশের জটপাকানো শাখাকে কর আলোড়ন,
ঈশ্বরেরদূত তুমি বৃষ্টি ও বজ্রপাতের! ছড়ানো আছে
তোমার বায়ুমণ্ডলের ঢেউগুলো নীলাকাশের উপরিভাগে,
যেন উজ্জ্বল চুল উর্ধ্বে উত্তোলিত হয় মাথা হতে
কিছু খিপ্তা নারীর। এমনকি আধার প্রান্ত হতে
দিগন্তের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত,
আসন্ন ঝড়ের চিহ্ন। তুমি শোক সংগীত
বিগত বছরের, যার প্রতি, এই শেষ রাতই
হবে কবরের বিশাল গম্বুজ ।
বাষ্পের সম্মিলিত শক্তি দ্বারা সৃষ্ট হবে (মেঘের) ছাদ
যেখান থেকে ঘন মেঘ,
কালো বৃষ্টি, অগ্নি, শিলাবৃষ্টি ঝরতে থাকবে হে শোন!
Thou who didst waken from his summer dreams
The blue Mediterranean, where he lay,
Lull’d by the coil of his crystalline streams,
Beside a pumice isle in Baiae’s bay,
And saw in sleep old palaces and towers
Quivering within the wave’s intenser day,
All overgrown with azure moss and flowers
So sweet, the sense faints picturing them! Thou
For whose path the Atlantic’s level powers
Cleave themselves into chasms, while far below
The sea-blooms and the oozy woods which wear
The sapless foliage of the ocean, know
Thy voice, and suddenly grow gray with fear,
And tremble and despoil themselves: oh hear!
তুমি জাগিয়েছ গ্রীষ্মের স্বপ্ন থেকে
নীল ভূমধ্যসাগরকে, যেখানে সে শুয়ে ছিল
ঘুমিয়ে ছিল স্বচ্ছ স্রোতের ঘূর্ণিতে
বে উপসাগরের তীরে শিলাদ্বীপের পাশে
এবং স্বপ্নে দেখছিলে পুরোনো প্রাসাদ ও অট্টালিকা
প্রচণ্ড ঢেউয়ের মাঝে যেন সবকিছু কম্পমান,
সকল কিছু ঢাকা পড়ে গেল সমুদ্রের নীল শৈবালে এবং ফুলে
এতই সুন্দর যে, আমাদের বোধশক্তি বর্ণনা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে
তুমি যার পথের জন্য আটলান্টিকের শক্তিশালী ঢেউ
নিজেদেরকে খণ্ডবিখণ্ড করে, যখন (তুমি) অনেক নীচে দিয়ে যাও
সমুদ্র পুষ্প আর শেওলা, পিচ্ছিল আবরণ যুক্ত গাছ
সমুদ্রের প্রাণশক্তিশালী পত্রপল্লব, জানে
তোমার কণ্ঠস্বর এবং হঠাৎ করে ভয়ে ধুসর হয়ে যায়
কাঁপতে থাকে এবং ধ্বংস করে নিজেদেরকে, শোন, হে শোন!
If I were a dead leaf thou mightest bear;
If I were a swift cloud to fly with thee;
A wave to pant beneath thy power, and share
The impulse of thy strength, only less free
Than thou, O uncontrollable! If even
I were as in my boyhood, and could be
The comrade of thy wanderings over Heaven,
As then, when to outstrip thy skiey speed
Scarce seem’d a vision; I would ne’er have striven
As thus with thee in prayer in my sore need.
Oh, lift me as a wave, a leaf, a cloud!
I fall upon the thorns of life! I bleed!
A heavy weight of hours has chain’d and bow’d
One too like thee: tameless, and swift, and proud.
যদি আমি ঝরা পাতা হতাম, তুমি বয়ে নিয়ে যেতে
যদি আমি দ্রুতগামী মেঘ হতাম, উড়ে যেতাম তোমার সাথে
ঢেউ হলে তোমার শক্তির পেছনে হাঁপিয়ে ছুটতাম এবং
অংশীদার হতাম তোমার শক্তিশালী স্পন্দনের।
আমি তো তোমার মতো মুক্ত নই! হে অনিয়ন্ত্রিত শক্তি!
যদি আমি শৈশবে যেমন ছিলাম তেমন হতে পারতাম, তবে হতাম
আকাশে তোমার সুরে বেড়ানোর সাথে সঙ্গী হতাম
তারপর তোমার গতিকেও হয়ত আমি ছড়িয়ে যেতাম
যা মনে হয়েছিল. একটি দুলর্ভ স্বপ্ন; আমি কখনো বিরোধিতা করতাম না
যেহেতু আমার তীব্র প্রয়োজনে তোমার নিকট প্রার্থনা করি
ওহে, আমাকে তুলে নেও; ঢেউ, ঝরাপাতা ও মেঘের মতো,
আমি জীবন কণ্টকে বিদ্ধ! আমি রক্তাক্ত।
সময়ের ভারী বোঝা আমাকে শৃঙ্খলিত করেছে এবং নুয়ে পড়েছি আমি
একদা আমি ছিলাম তোমার মতো: বেপরোয়া, গতিময়, আর অহংকারী।
Make me thy lyre, even as the forest is:
What if my leaves are falling like its own!
The tumult of thy mighty harmonies
Will take from both a deep, autumnal tone,
Sweet though in sadness. Be thou, Spirit fierce,
My spirit! Be thou me, impetuous one!
Drive my dead thoughts over the universe
Like wither’d leaves to quicken a new birth!
And, by the incantation of this verse,
Scatter, as from an unextinguish’d hearth
Ashes and sparks, my words among mankind!
Be through my lips to unawaken’d earth
The trumpet of a prophecy! O Wind,
If Winter comes, can Spring be far behind?
তোমার বীণা বানাও মোরে, যেমন করেছ অরণ্যকে
যদি আমার পাতাগুলো ঝরত বনের পাতার মতো!
তোমার শক্তিশালী ঐক্যতানের প্রবল আলোড়ন
সৃষ্টি করে উভয়ের কাছ থেকে একটি গভীর শরতের সুর
বিষাদের মাঝেও সুমধুর। হও তুমি, তেজস্বী আত্মা!
তুমি আমার শক্তিতে পরিণত হও, সক্রিয় কোনো একটিতে!
আমার নিষ্প্রাণ চিন্তাগুলোকে দূর করে দাও বিশ্বের বাহিরে
ঝড়া পাতা গুলোকে যেভাবে দূর করো নাওবজন্মকে ত্বরান্বিত করতে,
এই পঙক্তিগুলোর জাদু ছড়িয়ে দাও
ছড়িয়ে দাও, যেমন করে অনির্বাপিত চুলা থেকে
ছাই ও স্কুলিঙ্গ ছড়ায়, আমার কথাগুলো যদি ছড়তো মানব জাতির মাঝে!
আমার কণ্ঠ হয়ে জাগাও নিদ্রাচ্ছন্ন পৃথিবীকে
তুমি ঈশ্বরবাণীর শিঙ্গা! হে পশ্চিমা বায়ু!
যদি শীত আসে, বসন্ত কি খুব দূরে থাকে?
odd to the west wind bangla summery
‘Ode to the West Wind’ কবিতাটি কবি শেলীর একটি অসাধারণ প্রতীকধর্মী কবিতা। এই কবিতার প্রথম পর্বে কবি পশ্চিমা বাতাসকে শরতের আত্মা হিসেবে। বিশেষায়িত করেছেন। কারণ শরৎকালে পশ্চিমা বাতাস জীর্ণ ও শুকনাে পাতাগুলােকে জাদুকরের মতাে উড়িয়ে নিয়ে যায় এবং বীজগুলােকে বংশবিস্তারের জন্য বীজতলাতে পুতে রাখে।
এই পশ্চিমা বায়ুই বসন্তকালে তুর্যধ্বনি বাজিয়ে বীজগুলােকে অঙ্কুরােদগম করে সমতলভূমিকে ফুলে ও গন্ধে পরিপূর্ণ করে। তাই কবি পশ্চিমা বায়ুকে ধ্বংসকারী ও রক্ষাকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বে কবি পশ্চিমা বায়ুকে বৃষ্টি ও বজ্ৰাতের দেবদূত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কারণ পশ্চিমা বায়ু নীল আকাশে মেঘ বৃষ্টি সৃষ্টি করে এবং ঝড়ের পূর্বাভাস বলে দেয়। তাছাড়া এই অদম্য বায়ু ঘুমন্ত ভূমধ্যসাগরকে স্বপ্ন থেকে জাগিয়ে তােলে এবং আটলান্টিক মহাসাগরের শক্তিশালী ঢেউগুলােকে দ্বিখণ্ডিত করে।
রােমান সম্রাটদের ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজ্যপ্রাসাদ এবং সাগরের উপরিভাগে প্রাণশক্তিহীন পত্রপলব যেন পশ্চিমা বায়ুর বয়ে চলা থেকে নতুন প্রাণ পায়। চতুর্থ পর্বে কবি অনিয়ন্ত্রিত পশ্চিমা বায়ুর সাথে একাত্ম হতে চেয়েছেন। কবি বলেছেন যে, সে যদি শুকনাে পাতা দ্রুতগামী মেঘ বা সাগরের ঢেউ হতাে, তাহলে পশ্চিমা বায়ুর সাথে বয়ে চলতে পারত। কিন্তু সে এখন বৃদ্ধ, নত, সময়ের ভারী বােঝায় শৃঙ্খলিত, জীবনের রূঢ় বাস্তবতার কণ্টকে বিদ্ধ ও রক্তাক্ত।
কবি আক্ষেপ করে বলেছেন যে, শৈশবে সেও ছিল এই বায়ুর মতােই দুর্দমনীয় ও গতিময়। জীবন যন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত কবির অন্তরাত্মা। তাই শেষ পর্বে কবি বলেছেন, হে পশ্চিমা বাতাস, আমাকে তোমার বীণা হিসেবে বাজাও, আমি মিশে যেতে চাই তােমার। সাথে, ভুলে যেতে চাই সকল বেদনাভার। কবি আরাে বলেছেন যে, পশ্চিমা বাতাস যেন কবির আত্মাকে তার মতাে শক্তিশালী করে এবং কবির নিষ্প্রাণ চিন্তাগুলােকে বিশ্বমানবের মাঝে ছড়িয়ে দেয়।
একমাত্র পশ্চিমা বায়ুই পারবে কবির দৈব্যবাণীগুলাে কণ্ঠে ধারণ করে নিদ্রাচ্ছন্ন পৃথিবীকে জাগিয়ে তুলতে। কবি মূলত পুরাতন জীর্ণতাকে পরিহার করে নতুন আভরণে সজ্জিত হওয়ার এক তীব্র আকাক্ষা ব্যক্ত করেছেন।
Download This Poem Bangla Summery
Others Poem Bangla Summery
উপরে দেয়া লিংকে ক্লিক করে odd to the west wind bangla summery অনুবাদ ও সারাংশ PDF ফাইলে ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post