Question: on his blindness bangla summary
কবি পরিচিতি
১৬০৮ খ্রিষ্টাব্দের ৯ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের বিখ্যাত কবি জন মিল্টনের জন্ম লন্ডন শহরে। তাঁর পিতা ছিলেন পেশায় একজন কারণিক, শিক্ষিত মানুষ ছিলেন তিনি, তাঁর কর্ম ছিল নানা দলিলপত্রাদি তৈরি করা, তিনি সঙ্গীতের প্রতিও অনুরাগি ছিলেন। মিল্টনের মা ছিলেন খুবই ধার্মিক ও সৎ মহিলা।
বিচিত্র মিল্টনের শৈশবকাল। সমাজের আট-দশটি ছেলেমেয়ের মত খেলাধুলা হৈ-হুল্লোর মোটেই পছন্দ করতেন না। ছোট বেলা হতেই মিল্টন ছিলনে গম্ভীর প্রকৃতির চিন্তাশীল, লেখাপড়ার দিকেই ছিল তার বেশি মনযোগ। তিনি সারাক্ষণ পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে নিজেকে আটকে রাখতেন এবং তা দেখে কিছু আত্মস্থ করার চেষ্টা করতেন। মোট কথা, মিল্টন ছিলেন পড়ুয়া।
মিল্টনের প্রথম স্কুল জীবন শুরু হয় সেন্টপল স্কুলে। কৃতিত্বের সাথে সেখানকার পাঠ সমাপ্ত করে ১৬ বছর বয়সে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন। ১৬২৩ খিষ্টাব্দে তিনি স্নাতক এবং ১৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। মিল্টনকে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে কাজে যোগদান করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু মিল্টন এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বার্মিংহাম শহরের হর্টনে তাঁর পিতার কাছে ফিরে গেলেন। তাঁর ইচ্ছা তিনি ইংল্যান্ডের গীর্জ্জার পাদ্রী হবেন।
এ সময়ে মিল্টন ইংল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সেখানকার যুবক-যুবতীদের উচ্ছ্বল জীবনযাত্রা নিয়ে রচনা করেছিলেন অনেক কবিতা। সে সময় মিল্টন ইচ্ছে করলে তরুণীদের সাথে প্রেমঘন জীবনযাপন করে স্ফূর্তিতে কাটাতে পারতেন। কারণ মিল্টন ছিলেন অসাধারণ শারীরিক সৌন্দর্যের অধিকারী। যেকোন তরুণীই অতি সহজেই জড়িয়ে যেত তাঁর ভালবাসায়। কিন্তু মিল্টন ছিলেন পবিত্রতার প্রতিমূর্তি, তার হৃদয়ে কলুষযুক্ত কাম-বাসনার কোন স্থান ছিল না। এ কারণেই তাঁর কবিতায় অকারণ কোন আবেগঘণ উচ্ছ্বাস স্থান পায়নি।
১৬৬৭ খিষ্টাব্দে মিল্টনের মাতা পরলোকগমন করেন। মাতার মৃত্যুর সাথে সাথে সংসারের সাথে তাঁর বন্ধনটা যেত আলগা হয়ে গেল। পিতার অনুমতি নিয়ে তিনি বেড়িয়ে পরলেন দেশ ভ্রমণে। প্রথমে হাজির হলেন প্যারিসে। ঘুরলেন নাইস, জেনোয়া এবং ফ্লোরেন্স শহরে। ফ্লোরেন্সের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তার ভাষাও তাঁকে মুগ্ধ করেছিল। এ সময়ে তিনি অনকে খ্যাতিমান সাহিত্যিকগণের সান্নিধ্যে এসেছিলেন।
ফ্লোরেন্স হতে তিনি চলে গেলে রোমে। রোমের প্রাচীন সভ্যতার বিষয়গুলো তাঁকে রীতিমত আকর্ষণ করেছিল। রোমের ল্যাটিন ভাষা ভালই জানা ছিল মিল্টনের। প্রবাস জীবনের অনেকটা সময় তিনি ভ্যাটিক্যানের লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করে কাটিয়েছেন। ক্লাসিকাল দিকগুলো তার অন্তকরণকে উদ্ভাসিত করেছিল। সে সময়ে তিনি তৎকালীন বিখ্যাত বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর সাথেও আলাপ করেছিলেন। মিল্টনের জীবনে এই বিজ্ঞানী যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল। ‘প্যারাডাইস লস্ট’ কাব্য এবং ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা’ প্রবন্ধে মিল্টন এই বিজ্ঞানীকে অমর করে রেখেছেন। ১৬৩৯ সালে মিল্টন ফিরে এলেন ইংল্যান্ডে। তখন ইংল্যাল্ডে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে পিউরিটানদের যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।
১৬৪০-১৬৬০ সাল পর্যন্ত তিনি সাংবাদিকতার জগতে এক বিপ্লবী স্বাক্ষর রেখেছিলেন। সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে তার মতামতগুলো সেদিন বিপ্লবীদের মনে যথেষ্ট অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। এ সময়ে হঠাৎ করে মিল্টনের চোখে সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকগণ বললেন, তিনি যেন বেশি পড়াশোনা, লেখালেখি না করেন। কিন্তু মিল্টন কান দিলেন না তাদের কথায়, ফলে য হবার তাই হল। ১৬৫২ সালে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে একেবারে অন্ধ হয়ে গেলেন।
১৬৬০ খিষ্টাব্দে ক্রমওয়েলের মৃত্যুর পর প্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্রের পতন ঘটে গেল, রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেল ফের, প্রথম চার্লসের পুত্র দ্বিতীয় চার্লস সিংহাসনে আরোহণ করলেন, পদচ্যুত হলেন মিল্টন। তারঁ সমস্ত রচনা আগুনে পুড়িয়ে ভস্মীভূত করা হল। মিল্টন লন্ডন শহরের নিকটবর্তী ছোট একটি গ্রামে আশ্রয় গ্রহণ করলেন। মিল্টন এ দুর্দশা আর দুর্যোগে ভেঙে পড়লেন না মোটেই। তিনি এ সব মেনে নিয়েই রচনা করলেন তার মহান মহাকাব্য ‘প্যারাডাইস লস্ট’।
মিল্টনের পারিবারিক জীবনও বেশ ঘটনাবহুল। মিল্টন ছিলেন গণত্রন্ত্রে বিশ্বাসী। অথচ ৩৪ বছর বয়সে তিনি রাজতন্ত্রের সমর্থক এক ধনীর কন্যাকে বিয়ে করেছিলেন, তাঁর স্ত্রীর নাম মেরি পাউয়েল। ১৬৫২ সালে মেরী মারা গেলে তিনি ক্যাথরিন উডক নামের এক রমণীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু এক বছর পার না হতেই ক্যাথরিন পরলোকে পাড়ি জমালেন।
মিল্টন তৃতীয়বার বিয়ে করলেন, স্ত্রীর নাম এলিজাবেথ মিনসেল, তিনি বেশি শিক্ষিত হলেন না বটে কিন্তু স্বামীর রচনা কপি করতেন। মিল্টন তার শেষ রচনাটি এলিজাবেথকে উৎসর্গ করেছিলেন। ১৬৭৪ খিষ্টাব্দে ৮ নভেম্বর এই মহান কবি পরলোকগমন করলেন।
মিল্টন রচিত রচনাসমূহের মাঝে কাব্য নাট্য ‘কমাস’, শোক কবিতা ‘লাইসিডাস’, অমরকাব্য ‘প্যারাডাইস লস্ট’, ‘প্যারাডাইস রিগেনড’, ‘স্যমসন অ্যানিস্তে লা এলেগ্রো’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া তাঁর গদ্য রচনা ‘অফ এডুকেশন’ এবং অ্যারিওপজিটিকা’ বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে।
জন মিল্টের বিখ্যাত কিছু কবিতা
- On His Blindness (1655)
- Samson Agonistes (1671)
- Paradise Lost (1667)
- On Shakespeare (1630)
- To Cyriack Skinner (1656)
- On His Being Arrived to the Age of Twenty-Three (1631)
- L’Allegro (1633)
- Il Penseroso (1633)
- Song on May Morning (1632–33)
on his blindness bangla translation
When I consider how my light is spent
Ere half my days in this dark world and wide,
And that one talent which is death to hide
Lodg’d with me useless, though my soul more bent
যখন আমি ভাবি কীভাবে আমার দৃষ্টি হারিয়েছি,
অর্ধজীবন অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে এই অন্ধকার বিশাল জগতে,
আর ঈশ্বর প্রদত্ত কাব্যিক গুণ যা কিনা বিলুপ্তির অন্তরালে,
নিঃস্ফলভাবে ঘুমিয়েছিল আমার মাঝে, যদিও আমার আত্ম দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
To serve therewith my Maker, and present
My true account, lest he returning chide,
“Doth God exact day-labour, light denied?”
I fondly ask. But Patience, to prevent
কবিত্ব প্রতিভা দ্বারা সৃষ্টিকর্তাকে সেবা করতে উপস্থিত হব আমি।
সঠিক হিসাব নিয়ে, যাতে তিনি প্রাপ্তি নিয়ে তিরস্কার না করেন;
ঈশ্বর কি যথাযথ হিসাব নিবেন, আমাকে দৃষ্টি বঞ্চিত করে?
আমি নির্বোধের মতাে প্রশ্ন করি, কিন্তু ধৈর্য আমাকে নিবৃত্ত করে।
That murmur, soon replies: “God doth not need
Either man’s work or his own gifts: who best
Bear his mild yoke, they serve him best. His state
Is kingly; thousands at his bidding speed
পরক্ষণেই চাপা বিক্ষুব্ধ উত্তর, সৃষ্টিকর্তার প্রয়ােজন নেই।
মানুষের সেবার বা কোনাে উপহারের। সে-ই শ্রেষ্ঠ
যে তাঁহার প্রসন্ন অধীনতা বহন করে, তারাই সর্বোত্তম সেবা তাকে দেয়।
তাঁহার অবস্থা ।
রাজকীয়, সহস্ৰজন তাঁর আদেশ পালন করে দ্রুত,
And post o’er land and ocean without rest:
They also serve who only stand and wait.
আর উড়ে যায় মাটি ও সাগরের উপর দিয়ে অবিশ্রান্তভাবে;
যারা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে, তারাই শুধু ঈশ্বরের সেবা করবে।
এই কবিতার গুরুত্বপূর্ণ কিওয়ার্ড
Consider — ভেবে দেখা
My Light is spent — আমার দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছি
Ere – পূর্বে
Days – সাধারণ অর্থে দিন, কিন্তু এখানে জীবন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে
Half my days – আমার অর্ধেক অতিবাহিত জীবন
In this dark world wide – এই অন্ধকার বিশাল জগতে, একজন অন্ধ ব্যাক্তির কাছে পৃথিবীটা অন্ধকার ও বিস্তৃত।
One Talent — কাব্যিক গুণ, কবিত্ব প্রতিভা
Death — মৃত্যু, বিলুপ্তি
To hide – অন্তরালে থাকা, গোপন করা
Which is death to hide – সেই প্রতিভা লুকিয়ে রাখা আত্নিক মৃত্যু ছাড়া আর কিছু নয়।
Lodg’d – বাস করা, ঘুমানো
Useless — নিষ্ফল
Lodge with me useless – অক্ষম আমাতে আশ্রিত। (কাব্যপ্রতিভা আমার মাঝে অক্ষমভাবে বাস করছে।)
Bent – bend এর Past Form, ঝুকে যাওয়া, নুয়ে যাওয়া ইত্যাদি
Though my soul more bent – যদিও আমার আত্না আরও ঝুকে যায়
Therewith – তা দিয়ে, সেটি দিয়ে
To Serve therewith my Maker – তা দিয়ে এর মানে কাব্যপ্রতিভা দিয়ে সৃষ্টিকর্তার সেবা করতে
And present my true account – এবং উপস্থাপন করতে আমার পূর্ণ আস্থা
My true account – আমার পূর্ণ আস্থা
Chide – বকা দেওয়া
Lest He returning chide – যাতে না সে ফিরিয়ে দেয় ভৎসনা (কবি এখানে পরকালে যাতে ঈশ্বরের দ্বারা লাঞ্ছিত না হন এ কথা বলেন)
Doth – does
Exact – Demand – দাবি করা
Doth God exact day-labour – ঈশ্বর কি চান পূর্ণ শ্রম
Light Deny’d – আলো বঞ্চিত (কবি যখন অন্ধ তখনও কি বিধাতা প্রত্যাশা করেণ তার কাছে পূর্ণ শ্রম)
Fondly – বোকার মত
But patience to prevent – কিন্তু সে চিন্তাকে প্রতিহত করতে ধৈর্য ধারণ করি (কবি এই বোকা চিন্তাকে প্রতিহত করে ধৈর্যধারণ করার মাধ্যমে)
Murmur – অসন্তুষ্টি, অসন্তেষে বিলাপ করা
God doth not need – ঈশ্বরের প্রয়োজন নেই
Either – দুইয়ের মধ্যে একটি বা একজন
Either man’s work or his gifts – মানুষের কর্ম অথবা তার উপহার
Who best- Bear his mild yoke – যারা খুশি মনে পরে নেয় তাঁর কর্তৃত্বের জোঁয়াল
Mild yoke – ন্যায্য কতৃত্ব
They Serve him best – তারা তাকে উত্তম রুপে সেবা করে
His state is kingly – তাঁর রাজ্য প্রজায় পূর্ণ (তাকে ভক্তি করার মতো লোকের অভাব নেই তাঁর রাজ্যে)
Thousands – হাজার হাজার (এখানে পাখাওয়ালা ফেরেশতাদের কথা বুঝানো হয়েছে)
At his bidding – তাঁর আদেশে
Speed and post – দৌড়ায় ও উড়ে বেড়ায়
O’er land and ocean – ভূমি ও সমুদ্রের উপরে
on his blindness bangla summary
কবিতার শুরুতে কবি ঈশ্বরের কাছে অভিযােগ করেছেন যে, তিনি অর্ধজীবন অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই কবিকে অন্ধ করে দিয়েছেন। এই বিশাল পথিবীটা তার। কাছে এখন অন্ধকার। ফলে যে কাব্য প্রতিভা ঈশ্বর কবিকে দিয়েছেন তা এখন। অব্যবহৃত, যদিও কবির ইচ্ছা কাব্য লেখার মাধ্যমে ঈশ্বরকে সেবা করার, কিন্তু।
অন্ধতের কারণে সে তা পারছে না। যখন ঈশ্বরের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে। তখন এই অব্যবহৃত কাব্য প্রতিভার জন্য কবি ঈশ্বরের কাছে তিরস্কার পাবেন। তারপরও ব্যথাতুর মনে কবির আন্তঃজিজ্ঞাসা ‘অন্ধ হওয়ার পরও কি ঈশ্বর তার দানের সঠিক হিসাব নিবেন। পরক্ষণেই কবি বুঝতে পারেন যে, ঈশ্বরের মানুষের সেবা বা উপহারের কোনাে প্রয়ােজন নেই।
সহস্র দেবদূত তার অধীনে এবং ঈশ্বরকে আদেশ পালন করতে ধৈর্য সহকারে অপেক্ষারত। তারা কোনাে অভিযােগ না করেই ঈশ্বরকে সর্বোত্তম সেবা দিচ্ছে। তাই কবিও মনে করেন, মানুষ নিজেকে ঈশ্বরের নিকট সমর্পণ করতে হবে অভিযােগহীনভাবে।
উপরে দেয়া লিংকে ক্লিক করে on his blindness bangla summary অনুবাদ ও সারাংশ PDF ফাইলে ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post