ফেব্রুয়ারির গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর : ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির জীবনে একটি স্মরণীয় দিন। মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ছাত্রসমাজ এই দিনে আন্দোলন শুরু করেন। ছাত্রদের মিছিলে পাকিস্তানি সরকার গুলি চালায়।
সালাম, বরকত, শফিক, জব্বার ও আরও অনেক ছাত্র (যাদের নাম জানা যায়নি) শহিদ হন। ঐ ঘটনা অবলম্বন করে কবি লুৎফর রহমান রিটন ‘ফেব্রুয়ারির গান’ কবিতাটি লিখেছেন। বাংলা ভাষার প্রতি মমতা আর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে এই কবিতায়।
ফেব্রুয়ারির গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর
২. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
মুগ্ধ – বিমোহিত, আনন্দিত।
ঊর্মি – নদী ও সাগরের ঢেউ।
ঊর্মিমালা – ঢেউসমূহ, ঢেউগুলো।(‘মালা’ শব্দটি দিয়ে বহুবচন তৈরি হয়েছে)।
স্রোতস্বিনী – নদী।
সমুদ্দুর – সমুদ্র, সাগর।
বাহার – সৌন্দর্য।
স্বর্ণলতা – সোনালি রঙের বুনো লতা। অনেক সময় পথের ধারের গাছগাছালি ভরে থাকে। এই লতা আপনা-আপনি জন্মায়।
প্রতিধ্বনি – বাতাসের ধাক্কায় ধ্বনির পুনরায় ফিরে আসাকে প্রতিধ্বনি বলে।
৩. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
ক. বাংলার সৌন্দর্য দেখে আমি —।
খ. গ্রীষ্মকালে ফলের — দেখা যায়।
গ. সাত — তের নদী পার হওয়া চাট্টিখানি ব্যাপার না।
ঘ. — ভেসে চলেছে পাল তোলা নৌকা।
ঙ. রংধনুর — রং এ আকাশ রঙিন হয়েছে।
চ. সকল মানুষের কণ্ঠে একই — ।
উত্তর : ক. মুগ্ধ; খ. বাহার; গ. সমুদ্দুর; ঘ. স্রোতস্বিনী; ঙ. মন ভোলানো; চ. প্রতিধ্বনি।
ফেব্রুয়ারির গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর
৪. প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নিই ও লিখি।
ক) কবি এই কবিতায় কত ধরনের সুরের কথা বলেছেন?
উত্তর : কবি এই কবিতায় চার ধরনের সুরের কথা বলেছেন। নিচে এগুলোর নাম লেখা হলো-
১। পাখির সুর, ২। সাগর নদীর ঊর্মিমালার সুর, ৩। পাহাড়ের সুর ও ৪। প্রজাপতির সুর।
খ) পাতা আর স্বর্ণলতা কিসে মুগ্ধ হচ্ছে? [প্রা.শি.স.প. ১৫]
উত্তর : পাতা ও স্বর্ণলতা গাছের গানে মুগ্ধ হচ্ছে।
গ) প্রজাপতি ফুলের সাথে কীভাবে কথা বলে? [প্রা.শি.স.প. ১৫]
উত্তর : প্রজাপতি ছন্দ আর সুরের মাধ্যমে ফুলের সাথে কথা বলে।
ঘ) আমরা কোন ভাষাতে আমাদের মনের কথা বলি?
উত্তর : আমরা মায়ের মুখের মধুর ভাষা- বাংলায় মনের কথা বলি।
ঙ) ‘শহিদ ছেলের দান’ হিসেবে আমরা কী পেয়েছি?
উত্তর : শহিদ ছেলের দান হিসেবে আমরা পেয়েছি মায়ের ভাষা- বাংলা।
৫. ঠিক উত্তরটিতে টিক (✔) চিহ্ন দিই।
ক. মনের কথা কীভাবে বলব?
১. মায়ের ভাষায় ✔
২. বাবার ভাষায়
৩. দাদার ভাষায়
৪. মামার ভাষায়
খ. পাখির গানে সবার প্রাণ কেমন হয়?
১. বিরক্ত
২. মুগ্ধ✔
৩. রাগ
৪. খুশি
গ. নদীর অপর নাম কী?
১. স্রোতস্বিনী ✔
২. পুকুর
৩. সমুদ্র
৪. খাল
ঘ. ফুলের সাথে কে কথা বলে?
১. প্রজাপতি ✔
২. হরিণ
৩. মানুষ
৪. পাখি
ঙ. ফেব্রুয়ারির গান কাদের রক্তে লেখা?
১. ভাইয়ের ✔
২. মামার
৩. বাবার
৪. মানুষের
৬. কর্ম-অনুশীলন।
একুশে ফেব্রুয়ারি সম্বন্ধে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করি।
উত্তর : একুশে ফেব্রুয়ারি
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির জীবনে একটি স্মরণীয় দিন। মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ছাত্রসমাজ এই দিনে আন্দোলন শুরু করে। পাকিস্তানি সরকার ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালায়। এতে শহিদ হন রফিক, সালাম, জব্বার, বরকতসহ অনেকে। অবশেষে বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করে।
অতিরিক্ত অনুশীলনীমূলক প্রশ্নের উত্তর
১) কবি এই কবিতায় কত ধরনের সুরের কথা বলেছেন?
উত্তর : কবি এই কবিতায় চার ধরনের সুরের কথা বলেছেন। নিচে এগুলোর নাম লেখা হলো-
১। পাখির সুর, ২। সাগর নদীর ঊর্মিমালার সুর, ৩। পাহাড়ের সুর ও ৪। প্রজাপতির সুর।
২) পাতা আর স্বর্ণলতা কিসে মুগ্ধ হচ্ছে?
উত্তর : পাতা ও স্বর্ণলতা গাছের গানে মুগ্ধ হচ্ছে।
৩) প্রজাপতি ফুলের সাথে কীভাবে কথা বলে?
উত্তর : প্রজাপতি ছন্দ আর সুরের মাধ্যমে ফুলের সাথে কথা বলে।
৪) আমরা কোন ভাষাতে আমাদের মনের কথা বলি?
উত্তর : আমরা মায়ের মুখের মধুর ভাষা- বাংলায় মনের কথা বলি।
৫) ‘শহিদ ছেলের দান’ হিসেবে আমরা কী পেয়েছি?
উত্তর : শহিদ ছেলের দান হিসেবে আমরা পেয়েছি মায়ের ভাষা- বাংলা।
৬) পাহাড় কী ছড়ায়?
উত্তর : পাহাড় সুরের বাহার ছড়ায়।
৭) ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য স্মরণীয় দিন কেন?
উত্তর : ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে এ দেশের ছাত্র-জনতা আন্দোলন শুরু করে। পুলিশ ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালালে অনেকে শহিদ হন। তাঁদের প্রাণের বিনিময়েই আমরা বাংলায় কথা বলার অধিকার পেয়েছি। এ কারণেই ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য স্মরণীয় দিন।
৮) কয়েকজন ভাষাশহিদের নাম বল।
উত্তর : কয়েকজন ভাষাশহিদ হলেন : ১. সালাম, ২. বরকত, ৩. শফিক, ৪. জব্বার।
৯) আমরা কোন ভাষায় মনের কথা বলি?
উত্তর : আমরা মাতৃভাষা বাংলায় মনের কথা বলি।
১০) পাহাড় কী ছড়ায়? বাতাসে কখন তার প্রতিধ্বনি শোনা যায়?
উত্তর : পাহাড় সুরের বাহার ছড়ায়। গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীতে বাতাসে তার প্রতিধ্বনি শোনা যায়।
১১) কাকে, কেন শহিদ ছেলের দান বলা হয়েছে?
উত্তর : বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে এ দেশের দামাল ছেলেরা প্রাণ দিয়েছিল। এ কারণে বাংলা ভাষাকে শহিদ ছেলের দান বলা হয়েছে।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, কোর্সটিকায় তোমরা পঞ্চম শ্রেণির বাংলা সবগুলো গল্প ও কবিতার উত্তর ডাউনলোড করতে পারবে। এই পোস্টে আলোচিত ফেব্রুয়ারির গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর সংগ্রহ করার জন্য ওপরে দেওয়া Answer Sheet বাটনে ক্লিক করো।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। সকল বিষয়ের ওপর অনলাইন ক্লাস পেতে আজই আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করে নাও।
Discussion about this post