চেষ্টার জিমনেসিয়াম ফিউচারের ক্যালসিয়াম pdf | শিক্ষাজীবনের যত কচি বাঁশ, কঞ্চি বাঁশ, আইক্কাওয়ালা বাঁশ আছে; সব বাঁশকে নাশ করতেই এই বই চেষ্টার জিমনেসিয়াম ফিউচারের ক্যালসিয়াম download pdf। কারণ, স্টুডেন্ট লাইফের জাতীয় খাবার হচ্ছে বাঁশ। সে জন্যই হয়তো— পরীক্ষা এলে টিচাররা বাঁশ দেয়। রেজাল্ট খারাপ হলে পাশের বাসার আন্টি বাঁশ দেয়। প্রেম করতে চাইলে যে ফ্রেন্ডটা হেল্প করতে পারত সেইই উল্টা তার নিজের সঙ্গে আংটা লাগিয়ে বাঁশ দেয়। চাকরি খুঁজতে গেলে তেলবাজ মামা-খালু ওয়ালারা বাঁশ দেয়। আমাদের চারপাশ জুড়ে শুধু বাঁশ আর বাঁশ।
চেষ্টার জিমনেসিয়াম ফিউচারের ক্যালসিয়াম pdf
ঝংকার মাহবুবের লেখা চেষ্টার জিমনেসিয়াম ফিউচারের ক্যালসিয়াম download pdf বইতে তিনি খুব নিখুঁতভাবে বর্ণনা করেছেন, কিভাবে অন্য সবার কটুক্তি হজম করে বা এড়িয়ে জীবনে উন্নতি লাভ করা যায়।
যাতে বাঁশ খেয়ে বেদিশা, লাইফ নিয়ে হতাশা, ফিউচার নিয়ে কুয়াশা, ভাগ্যের তামাশা, সব হতাশাকে মুছে ফেলা যায় কুংফু স্টাইলে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে তুমি শিক্ষাজীবনে পাঁচভাবে উপার্জন করতে পারো। আর এই পাঁচটি উপায়ই লেখক তার এই বইতে তুলে ধরেছেন। আমরা আলোচ্য বইটি থেকে সেই পাঁচটি উপায় (পরিমার্জিত রূপ) তুলে ধরছি।
►► আরো ডাউনলোড করুন: সকল ফ্রিল্যান্সিং বাংলা পিডিএফ বই একসাথে
►► আরো ডাউনলোড করুন: ইমোশনাল মার্কেটিং : মুনির হাসান PDF Book Download
►► আরো ডাউনলোড করুন: BBC জানালা ইংরেজি শেখার বই PDF Download
►► আরো ডাউনলোড করুন: Download Recharge Your Down Battery
►► আরো ডাউনলোড করুন: প্রোগ্রামিং শেখার বই PDF Download
১. কোন দক্ষতা ছাড়াই উপার্জন
তুমি যদি বাংলায় কথা বলতে পারো তাহলেইআর বেশি কিছু লাগবে না। বইমেলা, বাণিজ্য মেলা, ট্যাক্স মেলা, ট্যুর মেলা বা ফার্নিচার মেলা; আমাদের দেশে এমন মেলা একের পর এক লেগেই থাকে। তোমার কাজ হচ্ছে শুধু তিন দিন সময় নিয়ে একটা মেলাকে টার্গেট করা। সেই মেলার সব স্টলে গিয়ে গিয়ে তাদের জানাও, তুমি সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ হতে আগ্রহী। তারপর তোমার ফোন নাম্বারটা দিয়ে আসো।
প্রথম দিন যে স্টলগুলোতে গিয়েছিলে, দ্বিতীয় দিনও তাদের কাছে যাও। তৃতীয় দিনও যাও। তখন একটা না একটা স্টলে দেখা হবে আগের কেউ একজন হয়তো আসতে পারছে না। ব্যাস, তারা তোমাকে হায়ার করে ফেলবে। তারপর সেখানে রেগুলার কাজ করতে থাকবে। ভালো কাজ করলে ফিউচারে ওদের অন্য কোন মেলা আসলে তোমাকে ডাকবে।
এছাড়াও কেবল কথা বলা দিয়ে তুমি বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে পরীক্ষার গার্ড হতে পারবে। অনেক কল সেন্টার আছে, যেখানে কাস্টমার সার্ভিস রিপ্রেজেন্টেটিভ হতে পারবে। তুমি কি বাংলা লিখতে পারো? তাহলেও উপার্জন করার অপশনের অভাব নেই। ইংরেজি বিভিন্ন নিউজ পোর্টালের খবর বাংলাতে অনুবাদ করে ইনকাম করতে পারবে।
বিভিন্ন কোম্পানির জন্য তাদের ওয়েবসাইটে ব্লগ লিখতে পারবে। কিংবা বিভিন্ন কোম্পানির সোশ্যাল মিডিয়া পেইজের জন্য পোস্ট লিখতে পারবে। শিক্ষাজীবনের এ সময়টিতে পত্রিকায়ও লিখতে পারবে। আরো ভালো লিখতে পারলে অনেক বইয়ের প্রকাশনা আছে যারা ইংরেজি বইয়ের বাংলা অনুবাদ করে; সেই কাজগুলো করতে পারবে। সুতরাং, বাংলা লিখতে পারলে কাজের অভাব নেই।
আর তুমি যদি ইংরেজিতে কথা বলতে পারো তাহলে আরো ভালো সুবিধা পাবে। ইন্টারন্যাশন কারো পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যক্তিগত সহকারি হয়ে যেতে পারবে। ইংরেজিতে অডিও বুক বানাতে পারবে। বিদেশী কলসেন্টারে কাজ করতে পারবে । ইংরেজি আর্টিকেল লিখতে পারলে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কনটেন্টে রাইটিং এর কাজ করতে পারবে। ইউটিউব ভিডিও এর ট্রান্সক্রিপ্ট লেখে দেয়ার কাজ করতে পারবে।
২. পড়াশুনা দিয়ে উপার্জন
শিক্ষাজীবনে উপার্জনের সবচেয়ে সহজ ও পরিচিত একটি উপায় হচ্ছে টিউশন করা। পারলে ইন্টারমেডিয়েটের শিক্ষার্থীদের পড়াবে। না পারলে নাইন-টেন বা আরও নিচের ক্লাসের শিক্ষার্থীদের পড়াবে। বর্তমান সময়ে বাসায় না গিয়েও জুম বা গুগল মিট এ পড়াতে পারো।
এছাড়াও চাইলে কোচিং সেন্টারে ক্লাস নিতে পারবে। ক্লাস নিতে না পারলে কোচিং সেন্টারে পরীক্ষার খাতার মার্কিং করে টাকা উপার্জন করতে পারো। কোচিং সেন্টারের লেকচার শিট তৈরি করে দিতে পারো। ফ্যাকাল্টিদের কাছে অনেক রিসার্চ বা ডাটা কালেকশনের কাজ আসে, সেগুলো করতে পারবে। নোট বানিয়ে সেটা জুনিয়র বা স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করেও ইনকাম করতে পারবে। এমনই রয়েছে আরো শত শত উপায়।
৩. স্কিল ডেভেলপ করে ইনকাম
তোমার কাছে যদি ছয় মাস থেকে এক বছর সময় থাকে, তাহলে আমি বলবো তুমি ছোটখাটো একটা স্কিল ডেভেলপ কর। সেটা হতে পারে ফটোগ্রাফি, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, প্রেজেন্টেশন তৈরি, এনিমেশন, থ্রি ডি মডেল কিংবা কার্টুন আঁকা।
এই রকম কোন একটা স্কিল ডেভেলপ করে নিতে পারো। তারপর এই টাইপের কাজ তোমার সোশ্যাল মিডিয়াতে বা বিভিন্ন গ্রুপে পাবলিশ করো। করতে করতে তোমার স্কিল বাড়বে এবং এক সময় দেখবে তোমার সেইসব কাজের জন্যই লোকজন নক দিচ্ছে। তখন সেই কাজ করেই তুমি টাকা উপার্জন করতে পারবে।
৪. বিজনেস করে উপার্জন
তুমি যে ক্যাম্পাসে থাকো, তার আশে-পাশে হাজার হাজার শিক্ষার্থী আছে। এই হাজার হাজার শিক্ষার্থী থাকার মানে কিন্তু হাজার হাজার কাস্টমার তোমার আশে-পাশেই আছে। এদের সবারই কিছু না কিছু জিনিসের প্রয়োজন হয়।
যেমন ধরো: কোনো একটা ইভেন্টের জন্য টি শার্ট দরকার, এসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার জন্য প্রিন্ট করা দরকার, ইভেন্টের জন্য পোস্টার ডিজাইন করা ইভেন্টে খাবার সাপ্লাই দেয়া। এছাড়াও এরা বইখাতা, মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদি কিনে। জামা কাপড়ও কিনে থাকে প্রতিনিয়ত। চিন্তা করে দেখেছো এখানে কত কি বিজনেস করার উপায় আছে?
কেউ যদি বিজনেস করতে চায়, তাকে যে ক্যাম্পাসে বিজনেস করতে হবে এমন কোন কথা নেই। বরং ক্যাম্পাসের বাইরের কাস্টমারদের জন্যও বিজনেস শুরু করা যেতে পারে। বিজনেস শুরুর মোক্ষম সময় হচ্ছে স্টুডেন্ট লাইফ। কারণ, তখন তোমার খরচ কম। বাবা-মাকেও টাকা দিতে হচ্ছে না। যার সাথে “ইটিশ-পিটিশ” চলছে, সেও খোঁচা দিচ্ছে না।
৫. স্মার্ট বা ক্রিয়েটিভ উপায়ে উপার্জন
বিজনেস কম্পিটিশান করে টাকা উপার্জন করা যায়। শুধু বছরে ২ টি কম্পিটিশন করলে ভালো শো-অফও হয়, টাকা কামানোও হয়। এছাড়া ভিডিও গেমসের কম্পিটিশিন, ভিডিও গেমসের স্ট্রিমিং, ইউটিউবিং করে অনেকেই ভালো ইনকাম করে থাকে। আরেকটু স্মার্টলি ইনকাম করতে চাইলে এফিলিয়েট মার্কেটিং (কমিশন বেইজড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ) হতে পারো। তাছাড়া পেইড প্রোডাক্ট রিভিউ, ড্রপ শিপিং, বিভিন্ন কোম্পানির ক্যাম্পাস ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েও টাকা উপার্জন করা যায়।
কিভাবে শুরু করবে?
তুমি যেভাবেই উপার্জন করতে যাও না কেন, অন্য কেউ এসে তোমাকে গিলিয়ে খাইয়ে দিবে না। প্রথম দিনই কারি কারি টাকা উড়ে এসে উতরে পড়বে না। তাই তোমাকে বিভিন্ন জিনিস বিভিন্নভাবে খুঁজে বের করতে হবে। মানুষের কাছে ধর্ণা দিতে হবে। অনেকেই হেল্প করবে না। না করে দিবে।
তারা চাইলে তোমাকে একটা কানেকশন দিয়ে দিতে পারে। কিন্তু দেবে না। এসব ক্ষেত্রে তোমাকে নিজে গিয়ে খুঁজে বের করতে হবে। লেগে থাকতে হবে। একভাবে না হলে অন্যভাবে ট্রাই করতে হবে। তাহলে একটা না একটা রাস্তা অবশ্যই খুলে যাবে। .
স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করার রাস্তা বের করার জন্য তোমাকে সুপার ক্রিয়েটিভ হতে হবে এমন কোন কথা নেই। শুধু একটু চোখ কান খোলা রাখবে। দেখবে তোমার আশেপাশে যারা আছে তারা কিভাবে উপার্জন করছে। তুমি আর কিছু না পারলেও ওদের মতো করে শুরু করে দিবে। তাহলেই তোমার উপার্জনের রাস্তাও খুলে যাবে।
শুধু স্টুডেন্ট লাইফের ইনকামই না, বরং পরীক্ষা নিয়ে ভীতি, পরীক্ষায় ভালো করার টেকনিক, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট, ডিসিশন মেকিং, ইমোশন ম্যানেজমেন্ট, ইফিসিয়েন্সি বাড়ানোর সিস্টেমের মতো আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে সহজ করার উপায় নিয়ে ‘চেষ্টার জিমনেসিয়াম ফিউচারের ক্যালসিয়াম’ বইটি লেখা হয়েছে। নিচে দেয়া ডাউনলোড লিংক থেকে বইটি ডাউনলোড করে নাও।
►► আরো ডাউনলোড করুন: সকল ফ্রিল্যান্সিং বাংলা পিডিএফ বই একসাথে
►► আরো ডাউনলোড করুন: ইমোশনাল মার্কেটিং : মুনির হাসান PDF Book Download
►► আরো ডাউনলোড করুন: BBC জানালা ইংরেজি শেখার বই PDF Download
►► আরো ডাউনলোড করুন: Download Recharge Your Down Battery
►► আরো ডাউনলোড করুন: প্রোগ্রামিং শেখার বই PDF Download
আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post