Question: Shall I Compare thee Bangla Summary
কবি পরিচিতি
উইলিয়াম শেক্সপিয়র। কবি কুলের শিরমণি। ইংরেজি সাহিত্যের সর্বকালের সর্বজননন্দিত ও সর্বজননন্দিত নাট্যকার। পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে এ এক বিরল প্রতিভার পুরুষ। উঁচু কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না তাঁর। তবু দেবীর হাতের কাঁকনের স্পর্শে হাজার গানে মুখর হয়ে উঠল তাঁর কন্ঠ। এই জগজ্জয়ী কবি ও নাট্যকার দক্ষ ডুবুরির মতো ডুব দিলেন মানব হৃদয়ের গহন গহীনে।
সেখানে আবিষ্কার করলেন কত অজানা দেশ-মহাদেশ। এক্সপেরিমেন্ট করলেন মানুষের অন্তরাত্মা নিয়ে। তাঁর চিন্তা-চেতনা, বিশ্বাস মূল্যবোধ, দুঃখ-হতাশা-নিরাশা, সংস্কার, সংকট, জীবনবোধ-আত্মোপলব্ধি, জীবন জিজ্ঞাসা, জগৎ ভাবনা এমব নিয়ে তিনি তাঁর সাহিত্য সাধনার ত্রিশ বছর নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এই মনূষাঋদ্ধ কবির জন্ম হয় একটি আলোর জন্মরূপে ১৫৬৪ সালের ২ শে এপ্রিল, ইংল্যান্ডের স্ট্র্যাটফোর্ড-অন অভন শহরে।
তাঁর বাবার নাম জন শেক্সপিয়র এবং মা’র নাম মেরী আর্ডেন। বাবা করতেন দস্তনা তৈরি ও কৃষিকাজ। ব্যবসায়ী হিসেবে মোটামুটি ভালো মানের ব্যবসায়ী ছিলেন। এছাড়া জন ছিলেন একজন পৌর প্রতিনিধি। আর শেক্সপিয়রের মা মেরী আর্ডেন ছিলেন পার্শ্ববতী গ্রামের এক ভূস্বামী পরিবারের কন্যা।
মা-বাবার আট সন্তানের মধ্যে শেক্সপিয়র হচ্ছেন তৃতীয় সন্তান। আর পুত্রের মধ্যে শেক্সপিয়র বড়। তাঁর ছেলে বেলাটা কেটেছে জন্মস্থান স্ট্র্যাটফোর্ডেই। এখানকার একটি অবৈতনিক গ্রামার স্কুলেই তিনি তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। লেখাপড়ায় শেক্সপিয়র বেশি দূর এগুতে পারেননি। তাঁর বাবার ব্যবসায়ের অবস্থা খারাপ হতে থাকে।
১৫৭৭ সালে শেক্সপিয়রকে স্কুল ছাড়িয়ে বাবার ব্যবসার কাজে লাগিয়ে দেয়া হলো। শেক্সপিয়র বিয়ে করেন অল্প বয়সে। তাঁর বয়স যখন আঠার তখন তিনি কাছাকাছি গ্রামের-শটারি গ্রামের রিচার্ড হ্যাথাওয়ের কন্যা এ্যান হ্যাতওয়েক বিয়ে করেন ১৫৮২ সালের নভেম্বর মাসে। আর এই এ্যান শেক্সপিয়র থেকে বেশ কয়েক বছরের বড় ছিল। বিয়ের পর তিনি চার-পাঁচ বছর স্ট্র্যাটফোর্ডই ছিলেন। এর মধ্যে তিনি তিন সন্তান এর জনক হলেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থা আরও অবনতি হতে লাগল।
অবশেষে ১৫৮৫-৮৬ সালের দিকে তিনি লন্ডনে পাড়ি জমান। তরুন শেক্সপিয়র লন্ডন শহরে এসে আর্থিক প্রতিষ্ঠা অর্জনের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন। ছয় বছর হাড়ভাঙ্গা শ্রম দিলেন। অবশেষে তার আপন শ্রম আর প্রতিভার জোরে স্বীকৃতি পেলেন অভিনেতারূপে লন্ডনের মতো অত বড় শহরের নাট্যঙ্গনে। ১৫৯৪ সালের শেষের দিকটায় শেক্সপিয়র দেখা যায় লন্ডনের তৎকালীন খ্যাতিম্যান নাট্যদল লর্ড চেম্বার লেইনের সদস্য হিসেবে। এসময়ে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি নাটক রচনাও করতে শুরু করেন। অল্প কালের মধ্যেই শেক্সপিয়র নাট্যমোদী দিক থেকে শেক্সপিয়র তখন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি।
১৯৯৩ সালে শেক্সপিয়র স্ট্র্যাটফোর্ডে একটি বিশাল বাড়ি ক্রয় করেন যেটির নাম ছিল ‘নিউ প্লেস’। ১৬১০ সালে শেক্সপিয়র লন্ডন ছেড়ে স্ট্র্যাটফোর্ডর এ বাড়িতে এসে উঠেন। লন্ডন ত্যাগ করেছেন বটে তবে লন্ডনে নাট্যাঙ্গনের সহকর্মীদের সাথে তাঁর যোগাযোগ ছিল। ১৬১৩ সালে ‘অষ্টম হেনরী’ নাটকটির অভিনয় চলাকালে তাঁর গ্লোব থিয়েটার আগুনে ভষ্মীভূত হয়ে যায়।
এ দুর্ঘটনার মাত্র তিন বছর পর ১৬১৬ সালের ২৩ শে এপ্রিল এ বিশ্বজয়ী কবি নাট্যকারের জীবনাবসান ঘটে মাত্র বায়ান্ন বছর বয়সে। শেক্সপিয়রের ৫২ বছরের নাতিদীর্ঘ জীবনে সাহিত্য সাধনার কাল ত্রিশ বছরের ও কম। এ স্বল্পকালে তিনি ৬৩টি নাটক, ১৫৬টি সনেট এবং কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন।
উইলিয়াম শেক্সপিয়রের বিখ্যাত নাটক
- The Comedy of Errors (1593)
- The Taming of the Shrew (1594)
- Love’s Labor’s Lost (1594)
- Romeo and Juliet (1594)
- A Midsummer Night’s Dream (1595)
- The Merchant of Venice (1596)
- Julius Caesar (1599)
- As You Like It (1600)
- Hamlet (1601)
- Measure for Measure (1604)
- Othello (1604)
- Macbeth (1605)
- King Lear (1505)
- Antony and Cleopatra (1606)
- The Tempest (1611)
কবি হিসেবে এবং নাট্যকার হিসেবে কোন ক্ষেত্রে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব বেশি সে প্রশ্ন অবান্তর। তাঁর নাটক কবিতায় রচিত। সেখানেও গীতিছন্দ মাধুরী রয়েছে। সুতরাং তাঁর নাটক এবং কবিতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ হচ্ছে কমলমণীর হীরা, সেখানে ভার আর দীপ্তি একসঙ্গে বিরাজ করে।
shall i compare thee bangla meaning
Shall I compare thee to a summer’s day?
Thou art more lovely and more temperate:
Rough winds do shake the darling buds of May,
And summer’s lease hath all too short a date;
আমি কি তোমাকে তুলনা করব গ্রীষ্মের দিনের সাথে?
তুমি আরও রূপবর্তী ও অধিক কোমল;
এলোমেলো বাতাসে মে মাসের চমৎকার কুঁড়িগুলো ঝর পরে
কত না অল্প সময়ে ফুরায় গ্রীষ্মের মাধুরিমা।
Sometime too hot the eye of heaven shines,
And often is his gold complexion dimm’d;
And every fair from fair sometime declines,
By chance or nature’s changing course untrimm’d;
কখনো স্বর্গ চক্ষুসম সূর্য তপ্ত কিরণ দেয়
কখনো সোনালী আলোক রশ্মি ক্ষীণ হয়ে যায়,
প্রত্যেক রূপের শোভা কালের কারণে বিলীন হয়ে যায়,
দৈব্যক্রমে বা প্রকৃতির অমোঘ পরিবর্তনের ধারায়।
But thy eternal summer shall not fade,
Nor lose possession of that fair thou ow’st;
Nor shall death brag thou wander’st in his shade,
When in eternal lines to time thou grow’st:
So long as men can breathe or eyes can see,
So long lives this, and this gives life to thee.
কিন্তু শাশ্বত গ্রীষ্মকালীন মাধুরী কখনো বিবর্ণ হবে না-
হারাবে না তুমি অর্জিত সৌন্দর্যের অধিকার,
মৃত্যুও তোমাকে গ্রাস করার অহংকার করতে পারবে না,
শাশ^ত কবিতার লাইনগুলো তোমাকে বাঁচিয়ে রাখবে অনন্তকাল।
যতকাল দেহে রবে প্রাণ, চোখে রবে দৃষ্টি,
যতকাল কবিতা বেঁচে থাকবে, ততকাল বেঁচে থাকবে তুমি।
shall i compare thee bangla summary
শেক্সপিয়রের ১৮ নং সনেটটি তাঁর এক বন্ধুর সৌন্দর্যকে নিয়ে লেখা। এখানে তাঁর বন্ধুর সৌন্দর্য গ্রীষ্মকালীন সৌন্দর্যের সাথে তুলনা করতে গিয়ে বলেছেন যে, তাঁর বন্ধুর সৌন্দর্যকে গ্রীষ্মকালীন সৌন্দর্যরে চেয়ে অধিক টেকসই ও কোমল। কারণ গ্রীষ্মের ঝড়ো হাওয়া ফুলের সুন্দর কূঁড়িগুলোকে বিনাশ করে। তাছাড়া গ্রীষ্মের আয়ুষ্কালও কম, সূর্যের তাপও দগ্ধ।
মাঝে মাঝে আকাশ কালো মেঘে ঢাকা থাকে। কবি বলেছেন কোনো বস্তুর সৌন্দর্যই দীর্ঘ দিন টিকে থাকে না, হয় প্রাকৃতিক নিয়মে, না হয় দুর্ঘটনায় তা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু তাঁর বন্ধুর সৌন্দর্য কখনোই ম্লান হবে না। মৃত্যু এসেও কেড়ে নিতে পারবে না তাঁর সৌন্দর্যকে। কারণ কবি এই সনেটের মাধ্যমে তাঁর সৌন্দর্যকে ফটিয়ে তুলেছেন।
যতদিন মানুষ পৃথিবীতে অবস্থান করবে, যতদিন থাকবে দেখার চোখ, ততদিন সে উপভোগ করবে এই সনেটের সৌন্দর্য গাথা। অকৃত্রিম আবেগের শব্দচয়ণ দ্বারা কবি তাঁর বন্ধুর ক্ষণস্থায়ী সেীন্দর্যকে চিরস্থায়ী রূপ দান করেছেন এই সনেটে।
উপরে দেয়া লিংকে ক্লিক করে এই কবিতার বাংলা অনুবাদ ও সারাংশ PDF ফাইলে ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post