আমার বাড়ি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন | আমার বাড়ি কবিতাটিতে কবি তাঁর কোনো বন্ধু বা প্রিয়জনকে নিজের গ্রামের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেছেন। তিনি তাকে আপ্যায়ন করতে চান শালি ধানের চিঁড়া, বিন্নি ধানের খই, কবরী কলা এবং গামছা-বাঁধা দই দিয়ে। অতিথি কীভাবে প্রকৃতির সান্নিধ্যে প্রাণ জুড়াবে তার একটি নিবিড় পরিচয় আছে এ কবিতায়। যুগ যুগ ধরে অতিথি আপ্যায়ন ও মেহমানদারিতে বাঙালির সুনাম আছে।
গৃহস্থ তার অতিথির বিশ্রাম ও আনন্দের জন্য আন্তরিক প্রয়াস চালায়। অতিথি যে গৃহে এসেছেন সেই গৃহের গাছ, ফুল, পাখিও অতিথিকে আপ্যায়নে যেন উন্মুখ হয়ে থাকে। অতিথিকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে বাঙালির সৌজন্য, শিষ্টাচার ও মানবপ্রেমের অসাধারণ বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ‘আমার বাড়ি’ কবিতাটিতে।
আমার বাড়ি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল—১: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
তুমি যাবে ভাই—যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়,
মায়া মমতায় জড়াজড়ি করি
মোর গেহখানি রহিয়াছে ভরি
মায়ের বুকেতে, বোনের আদরে, ভায়ের স্নেহের ছায়।
ক. ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় কাজলা দিঘির কাজল জলে কী হাসে?
খ. ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় কবি বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কেন?
গ. উদ্দীপকের প্রথম চরণের সাথে ‘আমার বাড়ি’ কবিতার কোন অংশের মিল আছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘আমার বাড়ি’ কবিতার ভাবার্থ কি এক? বিশ্লেষণ কর।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় কাজলা দিঘির কাজল জলে হাঁস হাসে।
খ. ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় কবি বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কারণ তিনি তার বাড়ির প্রকৃতির সৌন্দর্য, শান্ত পরিবেশ এবং সেখানকার নানা আঞ্চলিক ঐতিহ্য ও খাদ্য উপকরণের মাধ্যমে বন্ধুকে তার বাড়ির সুখ এবং আনন্দের অভিজ্ঞতা দিতে চান। কবি তার বাড়ির বিভিন্ন স্নিগ্ধ, প্রাকৃতিক দৃশ্য যেমন শালি ধানের চিঁড়ে, গাছের কবরী কলা, আম-কাঁঠাল বাগান, ডালিম গাছ এবং চাঁদের আলোতে ঝলমলানো রাতের দৃশ্য বর্ণনা করেছেন, যা তার বাড়ির সৌন্দর্য এবং আত্মিক শান্তির প্রতিফলন। কবি বন্ধুকে সেই সুখ এবং শান্তির মধ্যে প্রবাহিত করতে চাচ্ছেন, যাতে বন্ধুও তার সঙ্গে ওই স্নিগ্ধ পরিবেশ উপভোগ করতে পারে।
গ. উদ্দীপকের প্রথম চরণের ‘তুমি যাবে ভাই—যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়’ এর সাথে ‘আমার বাড়ি’ কবিতার একটি স্পষ্ট মিল রয়েছে, যেখানে কবি তার বন্ধুকে তার বাড়ির ছোট গাঁয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কবিতার মধ্যে কবি নিজের বাড়ির প্রকৃতি এবং পরিবেশ বর্ণনা করেছেন, যেখানে শান্তি, স্নিগ্ধতা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে। কবি বলেন—
‘আমার বাড়ি যাইও ভোমর, বসতে দেব পিঁড়ে,
জলপান যে করতে দেব শালি ধানের চিঁড়ে।’
এখানে কবি তার বাড়ির সেই সহজ এবং আনন্দময় পরিবেশ তুলে ধরেছেন, যেমন শালি ধানের চিঁড়ে, গাছের কবরী কলা, আম-কাঁঠালের বাগান, এবং চাঁদের আলোয় ঝলমলানো রাত। কবি বন্ধুকে এই সুন্দর পরিবেশে নিয়ে আসতে চান এবং তাকে তার ছোট গাঁয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আমন্ত্রণ জানান।
এদিকে, উদ্দীপকের চরণে ‘তুমি যাবে ভাই—যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়’ বন্ধুকে তার ছোট গাঁয়ে যেতে বলার মধ্যে একই ধরনের আন্তরিকতা এবং সেই শান্তিপূর্ণ, ছোট গাঁয়ের প্রতি ভালোবাসা এবং আমন্ত্রণ প্রতিফলিত হচ্ছে। কবি এখানে তার বন্ধুকে তার বাড়ির প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং শান্তি উপভোগ করতে বলতে চাচ্ছেন, যেন তারা একসঙ্গে সেই পরিবেশে আনন্দিত হতে পারে।
অতএব, ‘আমার বাড়ি’ কবিতার চিত্র এবং উদ্দীপকের চরণের মধ্যে মিল রয়েছে, যেখানে কবি তার বন্ধুকে তার ছোট গাঁয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে এবং উপভোগ করতে আমন্ত্রণ জানান।
ঘ. উদ্দীপক এবং ‘আমার বাড়ি’ কবিতার ভাবার্থের মধ্যে একটি স্পষ্ট মিল রয়েছে, যা ছোট গাঁয়ের স্নিগ্ধতা, শান্তি, এবং পারিবারিক ভালোবাসার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও অনুভূতির প্রকাশ।
উদ্দীপকে কবি তার বন্ধুকে তার ছোট গাঁয়ে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। এখানে, গাঁয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন গাছের ছায়া, লতা-পাতার স্নিগ্ধ বায়ু, বনের শান্ত পরিবেশ, সবই কবির মনে গভীর ভালোবাসা ও প্রশান্তির অনুভূতি জাগায়। কবি তার ঘরকে ভালোবাসা, মমতা, এবং পরিবারের স্নেহের একটি কেন্দ্র হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি তার বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানান, যেন তারা একসঙ্গে এই শান্তিপূর্ণ ও ভালোবাসায় পূর্ণ পরিবেশ উপভোগ করতে পারে।
কাজী নজরুল ইসলামের ‘আমার বাড়ি’ কবিতায়ও কবি তার বন্ধুকে তার বাড়ির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পারিবারিক সম্পর্কের উষ্ণতা উপভোগ করতে আমন্ত্রণ জানান। কবি তার বাড়ির শান্ত পরিবেশ বর্ণনা করেছেনÑশালি ধানের চিঁড়ে, গাছের কবরী কলা, আম-কাঁঠাল বাগান, এবং চাঁদের আলোয় ঝলমলানো রাত—যেগুলো তার বাড়ির আরামদায়ক এবং স্নিগ্ধ পরিবেশের প্রতীক। কবি তার বন্ধুকে এই শান্ত পরিবেশে এনে তাকে আনন্দের অভিজ্ঞতা দিতে চান।
উদ্দীপক এবং ‘আমার বাড়ি’ কবিতার ভাবার্থের মধ্যে মূল মিল হলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পারিবারিক ভালোবাসা। উদ্দীপকে গাঁয়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যে স্নেহ, ভালোবাসা এবং শান্তি ফুটে উঠেছে। একইভাবে, কবি ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় তার বাড়ির প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং পারিবারিক সম্পর্কের উষ্ণতা প্রকাশ করেছেন। দুটোতেই ছোট গাঁয়ের সেই সহজ, স্নিগ্ধ ও মধুর পরিবেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং অনুরাগ রয়েছে।
অতএব, উদ্দীপক এবং ‘আমার বাড়ি’ কবিতার ভাবার্থ এক, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যে থাকা শান্তি, স্নিগ্ধতা, এবং ভালোবাসা প্রধান উপাদান হিসেবে উঠে এসেছে।
সৃজনশীল—২: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
রুনু গরমের ছুটিতে তার দাদার বাড়িতে বেড়াতে গেল। গ্রামের মানুষ তাকে খুব স্নেহ করল। যে বাড়িতেই সে বেড়াতে গিয়েছে; সেই বাড়িতেই তাকে আপ্যায়ন করেছে। গ্রামের ছেলেরা সারাদিন তার সাথে ঘুরে বেড়িয়েছে। গরম লাগলে দাদি তাকে হাত পাখার বাতাস দিয়েছে। গ্রামের ছেলেদের সাথে সে আম, জাম, লিচু গাছের ফল খেয়ে বেড়িয়েছে। কয়েকদিনেই গ্রামটা তার কাছে বড় আপন মনে হলো।
ক. কবি কী ফুলের মালা বন্ধুর বুকে জড়িয়ে দিতে চেয়েছেন?
খ. সারারাত গাছের শাখা দুলিয়ে বাতাস করা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের রুনুর দাদা বাড়ির অভিজ্ঞতা ‘আমার বাড়ি’ কবিতার কোন অংশের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘গ্রামের মানুষ অতিথিপরায়ণ’ উদ্দীপক ও ‘আমার বাড়ি’ কবিতার আলোকে এর সত্যতা যাচাই কর।
২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. কবি তারা ফুলের মালা বন্ধুর বুকে জড়িয়ে দিয়ে চেয়েছেন।
খ. সারারাত গাছের শাখা দুলিয়ে বাতাস করা বলতে বন্ধুর প্রতি কবির ভালোবাসার বিশেষ প্রকাশ ঘটেছে।
মাতৃভূমি-পল্লিজননীর রূপ-সৌন্দর্যে কবি মুগ্ধ। তিনি তার বন্ধুকে তা উপভোগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। বাঙালি সংস্কৃতি অনুযায়ী অতিথিকে পাখা দিয়ে বাতাস করা হয়ে থাকে। কবি বন্ধুর প্রতি অধিক ভালোবাসা প্রকাশের জন্য গাছের শাখা দুলিয়ে সারারাত বাতাস করার কথা বলেছেন।
গ. উদ্দীপকের রুনুর দাদাবাড়ির অভিজ্ঞতা আমার বাড়ি কবিতায় উল্লিখিত বন্ধুর প্রতি আপ্যায়ন ও আতিথেয়তার দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘আমার বাড়ি’ কবিতায় জসীমউদ্দীন তার বন্ধুকে গভীর মমতায় তার গ্রামের বাড়ি যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি বন্ধুকে পিঁড়িতে বসতে দেবেন, শালি ধানের চিঁড়ে, বিন্নি-ধানের খই, কবরী কলা গামছা বাঁধা দই ইত্যাদি দিয়ে জলপান করাবেন। আম-কাঁঠালের বনের ধারে আঁচল পেতে শুতে দিবেন। শুধু তাই নয়, গাছের শাখা দুলিয়ে সারারাত বাতাস করে বন্ধুর মনোরঞ্জন করবেন।
উদ্দীপকের রুনু তাঁর দাদা বাড়িতে বেড়াতে গেলে গ্রামের মানুষ তাকে খুব স্নেহ করে। যে বাড়িতেই গিয়েছে আপ্যায়িত হয়েছে। দাদি তাকে হাত পাখার বাতাস করেছেন। গ্রামের ছেলেদের সাথে সে আম, জাম, লিচু ইত্যাদি সুমিষ্ট ফল খেয়ে বেড়িয়েছে। আমার বাড়ি কবিতায় কবি তার বন্ধুকে যেভাবে আপ্যায়িত করতে চান, আনন্দ দিতে চান, রুনু তার দাদা বাড়িতে সেভাবেই আপ্যায়িত ও আনন্দিত হয়েছে। সেদিক দিয়ে রুনুর দাদা বাড়ির অভিজ্ঞতা ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় উল্লিখিত বন্ধুর প্রতি আপ্যায়ন ও অতিথেয়তার দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. ‘আমার বাড়ি’ ও উদ্দীপকে গ্রামের মানুষ যে অতিথিপরায়ণ সে কথাটিই সত্য হয়ে উঠেছে।
‘আমার বাড়ি’ কবিতায় কবি জসীমউদ্দীন গ্রামীণ আতিথেয়তার প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ তুলে ধরেছেন। কবি তাঁর প্রিয়জন বা বন্ধুকে বসতে দিবেন পিঁড়িতে। গ্রামীণ উপকরণে জলপান করাবেন আঁচল পেতে শোয়াবেন, গাছের শাখা দুলিয়ে বাতাস করবেন, ফুলের মালা জড়িয়ে দিবেন। ভালোবাসা ও আতিথেয়তার এমন উদারহণ কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না।
উদ্দীপকের রুনু দাদা বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে সবাই তাকে আপা করে নেয় । যে বাড়িতে গিয়েছে সে বাড়িতেই তাকে আপ্যায়ণ করেছে। রুনু গ্রামের ছেলেদের সাথে আম, জাম, লিচু গাছের ফল খেয়ে বেড়িয়েছে। গরম লাগলে দাদি তাকে বাতাস করেছেন। এসব আতিথেয়তার কারণে কয়েক দিনেই গ্রামটা তার কাছে আপন মনে হয়।
‘আমার বাড়ি’ এবং উদ্দীপকে আমরা লক্ষ করি যে গ্রামীণ আতিথেয়তার বিষয়টি চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। কবিতায় গ্রামীণ আতিথেয়তায় বিষয়টি কবি ফুটিয়ে তুলেছেন গ্রামের একজন হিসেবে। আবার উদ্দীপকের রুনু পরম আতিথ্য পেয়েছে গ্রামের মানুষ থেকেই। তাই গ্রামের মানুষ অতিথিপরায়ণ। কথাটি সত্য হয়ে উঠেছে।
আমার বাড়ি কবিতা জসীমউদ্দীন
সৃজনশীল—৩: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
“ঘুম হতে আজ জেগেই দেখি শিশির-ঝরা ঘাসে,
সারা রাতের স্বপন আমার মিঠেল রোদে হাসে।
আমার সাথে করতো খেলা প্রভাত হাওয়া, ভাই,
সরষে ফুলের পাঁপড়ি নাড়ি ডাকছে মোরে তাই।
চলতে পথে মটরশুঁটি জড়িয়ে দুখান পা,
বলছে ডেকে, ‘গাঁয়ের রাখাল একটু খেলে যা!’
সারা মাঠের ডাক এসেছে, খেলতে হবে ভাই!
সাঁঝের বেলা কইব কথা এখন তবে যাই!”
ক. ‘আমার বাড়ি’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের?
খ. ‘গামছা বাঁধা দই’—বাক্যটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে ‘আমার বাড়ি’ কবিতার কোন দিন দিয়েসাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের কবিতাংশ আর আমার বাড়ি কবিতা গ্রামবাংলার চিরচেনা দৃশ্য ধারণ করেছে—কথাটি বিশ্লেষণ কর।
আরও দেখো—সপ্তম শ্রেণির বাংলা গল্প-কবিতার সমাধান
সপ্তম শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের সপ্তবর্ণা বাংলা বই থেকে আমার বাড়ি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। এই অধ্যায় থেকে পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য ৪টি প্রশ্ন উত্তরসহ দেওয়া হয়েছে। Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে উত্তরগুলো সংগ্রহ করে নাও। এছাড়াও অধ্যায়ভিত্তিক অনুধাবনমূলক, জ্ঞানমূলক এবং বহুনির্বাচনি প্রশ্নের সমাধান পেতে উপরে দেওয়া লিংকে ভিজিট করো।
Discussion about this post