SSC ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ৪র্থ অধ্যায় আখলাক : আখলাক আরবি শব্দ। এটি বহুবচন। এক বচন খুলুকুন। এর আভিধানিক অর্থ- স্বভাব, চরিত্র, ইত্যাদি। শব্দগত বিবেচনায় আখলাক বলতে সচ্চরিত্র ও দুশ্চরিত্র উভয়কেই বোঝায়। তবে প্রচলিত অর্থে আখলাক শুধু সচ্চরিত্রকেই বুঝায়। যেমন ভালো চরিত্রের মানুষকে আমরা চরিত্রবান বলি। আর মন্দ চরিত্রের মানুষকে বলি চরিত্রহীন। ব্যবহারিক বিবেচনায় আখলাক দ্বারা ভালো ও উত্তম চরিত্রকে বুঝাতে হয়।
মূলত আখলাক হলো মানুষের স্বভাবসমূহের সমন্বিত রূপ। মানুষের আচার-আচরণ, চিন্তা-ভাবনা, মানসিকতা, কর্মপন্থা সবকিছুকে একত্রে চরিত্র বা আখলাক বলা হয়। তা ভালো কিংবা মন্দ হতে পারে। এককথায়, মানুষের সকল কাজ ও নীতির সমষ্টিকেই আখলাক বলা হয়। আখলাক দু’প্রকার। যথা,
ক. আখলাকে হামিদাহ
খ. আখলাকে যামিমাহ
আখলাকে হামিদাহ হলো মানুষের প্রশংসনীয় গুণাবলি আর আখলাকে যামিমাহ মানব স্বভাবের মন্দ অভ্যাসগুলোর সামষ্টিক নাম। আমরা আলোচ্য অধ্যায়ে এ দু’প্রকার আখলাকের পরিচয়, গুরুত্ব, কুফল এবং কতিপয় ভালো ও মন্দ চরিত্র সম্পর্কে জানব।
SSC ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ৪র্থ অধ্যায় আখলাক
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : জনাব ‘ক’ সরকারি চাকরি করেন। তিনি তার কর্মস্থলে জনসাধারণের কাজ করে দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে খুব আয়েশি জীবনযাপন করেন। তার ছেলে জনাব ‘খ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে কর্মহীন জীবনযাপন করছেন। কেউ তাকে চাকরি খোঁজা বা কোনো কর্মে নিযুক্ত হওয়ার কথা বললে তিনি বলেন, কাজ করতে আমার ভালো লাগে না।
ক. আখলাকে ‘হামিদাহ’ অর্থ কী?
খ. দুশ্চরিত্র ও রূঢ় স্বভাবের মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না কেন?
গ. জনাব ‘খ’ এর কাজটি ইসলামের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “জনাব ‘ক’ এর কাজের পরিণতি ভয়াবহ”- মতামত দাও।
সৃজনশীল প্ৰশ্ন ২ : জনাব ‘ক’ তার বন্ধুদের সাথে গল্প করছিল। এর মধ্যে ‘খ’ বলল, জনাব ‘ঘ’-কে তো দেখছি না। তৎক্ষণাৎ জনাব ‘গ’ বলল, আরে ও তো দুশ্চরিত্রের লোক। তাদেরই আরেকজন বলল, ও তো ৫০ কেজি চালের মূল্য নিয়ে আমাকে ৪৫ কেজি চাল দিয়েছে।
ক. আখলাকে ‘যামিমাহ’ অর্থ কী?
খ. ঘুষ গ্রহণকারীর সাথে ঘুষদাতা শাস্তিপ্রাপ্ত হবে কেন?
গ. জনাব ‘গ’ এর কাজটি কীরূপ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. জনাব ‘ঘ’ তার কাজের জন্য অবশ্যই শাস্তিপ্রাপ্ত হবে— মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : একদিন রবিউল, ইসলামে আখলাকের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করছিল। তার প্রতিবেশী সুমন বলেন যে, জীবনের জন্য সম্পদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তখন রবিউল একটি প্রবাদ বলেন যে, সম্পদ হারালো সে কিছুই হারালো না। আর যে, স্বাস্থ্য হারালো, তার সামান্য ক্ষতি হলো। কিন্তু যার চরিত্র নষ্ট হলো, সে যেন সব কিছুই হারালো।
ক. “আখলাকে হামিদার” উদাহরণ দাও।
খ. “তাকওয়ার” গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
গ. জনাব সুমনের দৃষ্টিভঙ্গি ইবাদত ও আখলাকের আলোকে বর্ণনা কর।
ঘ. জনাব রবিউলের মনোভাব কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : আবিদ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন এবং কখনো মিথ্যা কথা বলেন না। সুন্দর ও নির্মল চরিত্রের অধিকারী হওয়াতে সমাজে সবার কাছে তিনি সমাদৃত এবং প্রশংসিত। মানবিকতা ও নৈতিকতার আদর্শ তার মধ্যে পরিপূর্ণতা লাভ করায় পূর্ণ মুমিন হিসেবে সৎ ও নৈতিক স্বভাব অনুশীলন করা তার জন্য সহজ হয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি ইহকালে যেমন সুখ, শান্তি ও সম্মান অর্জন করেছেন, তেমনি সচ্চরিত্রের প্রতিদান স্বরূপ পরকালে বেহেশত লাভ করতে পারবেন। আবিদকে দেখে সমাজের অনেকে চরিত্রবান হওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন।
ক. মিজানের পাল্লায় সবচেয়ে ভারী বস্তু হবে কোনটি?
খ. ‘সুন্দর চরিত্রই পুণ্য’— কথাটি ব্যাখ্যা কর।
গ. আবিদের চরিত্রে কোন ধরনের আখলাকের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে— ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আবিদের ইহকালীন ও পরকালীন জীবনে তার আচরিত আখলাকের গুরুত্ব কতটুকু তা মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : আরিফ যশোর জেলার বেনাপোল সীমান্তে বসবাস করেন। তার বন্ধুরা অনেকে কালোবাজারি ব্যবসায়ের সাথে জড়িয়ে পড়লেও তিনি এগুলো থেকে বিরত থাকলেন। বন্ধুরা তাকে বোঝালেন যে ‘পুলিশে না দেখতে পেলে কোনো সমস্যা হবে না।’ তিনি বন্ধুদের বললেন, পৃথিবীর কেউ না দেখলেও মহান আল্লাহ বান্দার প্রতিটি ভালো-মন্দ কাজের খবর রাখেন। তিনি অবশ্যই ভালো কাজের পুরষ্কার এবং মন্দ কাজের শাস্তি প্রদান করবেন। আরিফের আল্লাহভীতি তার বন্ধুদের মনে সঞ্চারিত হলে তারা কালোবাজারি ছেড়ে দিয়ে সৎ পথে উপার্জন শুরু করলেন।
ক. তাকওয়া কাকে বলে?
খ. আল্লাহর কাছে তাকওয়ার মূল্য সর্বাধিক কেন?
গ. আরিফের চরিত্রে আখলাকে হামিদার কোন বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়, ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আরিফের বন্ধুদের চারিত্রিক পরিবর্তনে আরিফের ভূমিকাকে তুমি কীভাবে মূল্যায়ন করবে?
শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন সাজেশান্স ও নোট পেতে আমাদের Facebook Page এ Like দিয়ে রাখো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post