কৃষিশিক্ষা ৪র্থ অধ্যায় ব্যবহারিক : ব্যবহারিক লেখার সময় যা মনে রাখতে হবে
১. ধারণাতত্ত্ব : কী পরীক্ষা করা হবে এবং কোন তত্ত্বের ভিত্তিতে করা হবে।
২. প্রয়োজনীয় সমাগ্রী : কী কী সামগ্রী/যন্ত্রপাতি এ পরীক্ষার জন্য দরকার হবে।
৩. কাজের ধাপ : পরীক্ষা করার জন্য কীভাবে অগ্রসর হতে হবে।
২টি খাতা প্রস্তুত রাখো
১. কাঁচা খাতা : পরীক্ষাগারে পর্যবেক্ষণকৃত তথ্যাদি দ্রুত লিপিবদ্ধ করার জন্য।
২. পাকা খাতা : শিক্ষকের নিকট এবং চূড়ান্ত ব্যবহারিক পরীক্ষায় (এমএসসি) উপস্থাপনার জন্য প্রতিটি পরীক্ষণ পাকা খাতায় পরিষ্কারভাবে নিয়ম মোতাবেক লিখতে হবে। প্রয়োজনীয় চিত্রও খাতায় সুন্দর করে আঁকতে হবে।
পরীক্ষণের সময় অবশ্যই-১. কাঁচা খাতা, ২. পেন্সিল, ৩. ইরেজার এবং ৪. স্কেল হাতের কাছে রাখবে।
পরীক্ষণের সময় গভীর মনোযোগের সাথে পর্যবেক্ষণ করবে এবং প্রয়োজন অনুসারে তথ্যগুলো লিখবে।
পরীক্ষণের ফলাফল লিখবে এবং প্রয়োজনীয় চিত্র আঁকবে। পাকা খাতায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো উপস্থাপন করতে হবে :
১. পরীক্ষণ নং
২. পরীক্ষণের শিরোনাম
৩. পরীক্ষণের স্থান ও তারিখ
৪. ধারণাতত্ত্ব/মূলতত্ত্ব
৫. সূত্র (যদি থাকে)
৬. প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও উপকরণ
৭. কাজের ধাপ বা পরীক্ষা পদ্ধতি
৮. হিসাব (যদি থাকে)
৯. ফলাফল
১০. সাবধানতা এবং
১১. মন্তব্য, উপসংহার ও আলোচনা
কৃষিশিক্ষা ৪র্থ অধ্যায় ব্যবহারিক
পরীক্ষণ নং- ৭
পরীক্ষণের নাম : ধান/পাট ফসলের বিভিন্ন উপকারী ও অপকারী কীটপতঙ্গ সংগ্রহ এবং অ্যালবাম তৈরি
তারিখ : ……………………….
উদ্দেশ্য : ধান/পাট পোকা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনিষ্টকারী পোকা শনাক্ত করা।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
১. পোক ধরার হাতজাল; ২. পোকা রাখার ১টি জার; ৩. কাগজ ও ৪. পেন্সিল।
কাজের ধারা :
১. একটি হাতজাল ও একটি জার নিয়ে বিদ্যালয়ের পাশের ধান এবং পাট ক্ষেতে যাই।
২. উভয় খেত থেকে জাল টেনে পোকা সংগ্রহ করি।
৩. পোকাগুলো জারে রাখি ও জারের মুখ ঢাকনা দ্বারা বন্ধ করি।
৪. জারের রক্ষিত পোকা শ্রেণিকক্ষে আনি।
৫. পোকাগুলো একটি একটি করে বোর্ডবইয়ের তাত্ত্বিক অংশে দেওয়া পোকার বর্ণনার সাথে মিলাই।
৬. এবার অপকারী পোকাগুলো বোর্ড বইয়ে দেওয়া ছবির সঙ্গে মিলিয়ে নাম, ক্ষতির লক্ষণ ও প্রতিকার ভালোভাবে জেনে নিই।
নিচে সংগৃহীত পোকাগুলোর অ্যালবাম তৈরি করা হলো :
পরীক্ষার সাবধানতা
১. পোকাগুলো সংগ্রহের সময় লক্ষ রাখতে হবে যাতে পোকাগুলোর দেহের কোনো অংশ নষ্ট না হয়।
২. পোকাগুলো ধরার ক্ষেত্রে খালি হাত ব্যবহার না করে চিমটা ব্যবহার করতে হবে।
সতর্কতা : র্যাকেটের আঘাত নিজের শরীরে অথবা অন্য কারও শরীরে যেন না লাগে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
পরীক্ষণ নং- ৮
পরীক্ষণের নাম : ঔষধি উদ্ভিদের নমুনা পর্যবেক্ষণ ও শনাক্তকরণ
তারিখ : ……………………….
মূলতত্ত্ব : পরিবেশের যেসব উদ্ভিদ আমাদের রোগব্যাধির উপশম বা নিরাময় করে সেগুলোই ঔষধি উদ্ভিদ।
পরীক্ষার উপকরণ
১. বিভিন্ন ঔষধি উদ্ভিদ গাছের অংশবিশেষ
২. ছুরি বা কাঁচি
৩. খাতা
৪. পেন্সিল
কাজের ধারা
১. স্কুলের আশপাশে ঘুরে বিভিন্ন ঔষধি গাছের কাণ্ড, পাতা, ফুল বা ফল সংগ্রহ করি।
২. সংগৃহীত অংশগুলো আলাদা আলাদা রেখে কোনটি কোন গাছের অংশ তা খাতায় নোট করি।
৩. বইয়ে প্রদত্ত চিত্রের সাথে অংশগুলো মিলিয়ে শনাক্তকরণের সঠিকতা যাচাই করি।
পর্যবেক্ষণ : শনাক্তকৃত উদ্ভিদগুলো হলো : থানকুনি, তুলসী, বাসক, অর্জুন, হরীতকী, আমলকী, বহেড়া, নিসিন্দা, তেল কুচা।
সাবধানতা : গাছের অংশ সংগ্রহের সময় গাছ যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
►► আরো দেখো: কৃষিশিক্ষা সকল অধ্যায়ের সাজেশন
শিক্ষার্থীরা, উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে কৃষিশিক্ষা ৪র্থ অধ্যায় ব্যবহারিক PDF ফাইলে ডাউনলোড করে নাও। কোর্সটিকার সকল আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page এ Like দিয়ে রাখো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post