ssc chemistry chapter 9 mcq : হাইড্রোজেনযুক্ত যেসব যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন (H+) উৎপন্ন করে সেগুলোকে এসিড বলে।
এসিডের ব্যবহার : সফ্ট ড্রিংকসের কার্বনিক এসিড, লেবু বা কমলার সাইট্রিক এসিড, তেঁতুলের টারটারিক এসিড, ভিনেগারের ইথানয়িক এসিড ইত্যাদি আমরা খাই, রান্নায় ব্যবহার করি। এদের স্বাদ টক। এগুলো খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। পাকস্থলীর দেওয়াল হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপন্ন করে।
এর পরিমিত পরিমাণ খাদ্য পরিপাকের জন্য আবশ্যক। অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন হলে পাকস্থলী ও গলায় প্রদাহ হয়। যেসব খাদ্য খেলে অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন হয় সবসময় তা পরিহার করে চলা উচিত।
ssc chemistry chapter 9 mcq
ল্যাবরেটরিতে পাওয়া এসিডের প্রকারভেদ : ল্যাবরেটরিতে পাওয়া যায় এসব এসিডের মধ্যে অন্যতম হলো : হাইড্রোক্লোরিক এসিড, সালফিউরিক এসিড এবং নাইট্রিক এসিড। হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাসের জলীয় দ্রবণ হলো হাইড্রোক্লোরিক এসিড। বিশুদ্ধ হাইড্রোক্লোরিক এসিড, সালফিউরিক এসিড ও নাইট্রিক এসিড বর্ণহীন তরল পদার্থ। গাঢ় এসিডে সামান্য পরিমাণে পানি উপস্থিত থাকে। অপরদিকে, লঘু এসিডে তুলনামূলকভাবে বেশি পরিমাণে পানি থাকে। ল্যাবরেটরিতে অতিরিক্ত পানিতে এই এসিডগুলোর দ্রবণ প্রস্তুত করে ব্যবহার করা হয়।
এসিডের ধর্ম : এসিড নির্দেশকের বর্ণ পরিবর্তন করে। এর জলীয় দ্রবণ নীল লিটমাসকে লাল করে। এসিড সক্রিয় ধাতু যেমন : Mg, Zn, Fe, Al প্রভৃতির সাথে বিক্রিয়া করে লবণ গঠন করে এবং হাইড্রোজেন গ্যাস নির্গত হয়। ধাতব হাইড্রোজেন কার্বনেটের সাথে এসিডের বিক্রিয়ায় কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়। ক্ষার বা ক্ষারকের সাথে অর্থাৎ ধাতব অক্সাইড এবং হাইড্রক্সাইডের সাথে এসিডের বিক্রিয়ায় লবণ এবং পানি উৎপন্ন হয়। সকল লঘু এসিড তড়িৎ পরিবাহী।
ক্ষারক ও ক্ষার : ক্ষারক হলো সেই সকল রাসায়নিক বস্তু যাদের মধ্যে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং যারা পানিতে হাইড্রক্সিল আয়ন (OH–) বা হাইড্রক্সাইড তৈরি করে। যেসব ক্ষারক পানিতে দ্রবীভূত হয় তাদের বলে ক্ষার। NaOH, KOH, Ca(OH)2, NH4OH এরা সবাই ক্ষার। এদের কিন্তু ক্ষারকও বলা হয়। কোনো ক্ষারক একটি এসিডকে প্রশমন করলে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়।
SSC রসায়ন ৯ম অধ্যায় mcq
১. চুনাপাথরের উপর লঘু সালফিউরিক এসিড যোগ করলে নিচের কোন যৌগটি উৎপন্ন হবে?
● CO2
খ H2
গ O2
ঘ SO2
২. নিচের কোনটি ক্ষার?
ক কোমল পানীয়
খ লেবুর রস
গ সিরকা
● কাপড়কাচা সোডা
৩. নিচের কোনটির উপস্থিতির জন্য অ্যামোনিয়া গ্যাসের জলীয় দ্রবণ ক্ষার?
ক NH4+ আয়ন
● OH- আয়ন
গ NH3
ঘ H2O
১৪. লেবুতে কোন এসিড বিদ্যমান? (অনুধাবন)
ক নাইট্রিক এসিড
খ ফরমিক এসিড
● সাইট্রিক এসিড
ঘ কার্বনিক এসিড
১৫. ভিনেগারের রাসায়নিক নাম কী? (জ্ঞান)
ক মিথেন
● ইথানয়িক এসিড
গ অক্সালিক এসিড
ঘ সাইট্রিক এসিড
১৬. CH3COOH-কে কী এসিড বলা হয়? (অনুধাবন)
ক অক্সালিক এসিড
খ ট্যানিক এসিড
● ইথানয়িক এসিড
ঘ টারটারিক এসিড
১৮. আমরা ভিটামিন ‘সি’ হিসেবে যে এসকরবিক এসিড খাই তা কী এসিড? (প্রয়োগ)
● জৈব এসিড
খ অজৈব এসিড
গ মৃদু এসিড
ঘ খনিজ এসিড
১৯. আমরা সচরাচর যেসব পানীয় ও ফলের রস পান করে থাকি সেগুলোÑ (অনুধাবন)
ক ক্ষারীয় পদার্থ
● অম্লীয় পদার্থ
গ লবণাক্ত পদার্থ
ঘ নিরপেক্ষ পদার্থ
৪. একটি অজানা ধাতুর সাথে নাইট্রিক এসিডের বিক্রিয়ায় বর্ণহীন দ্রবণ উৎপন্ন হয়। উৎপন্ন দ্রবণটিতে সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড দ্রবণ যোগ করলে সাদা বর্ণের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয় কিন্তু অধিক পরিমাণ সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড দ্রবণ যোগ করলে তা-ও দ্রবীভূত হয়ে যায়। ধাতুটি-
ক কপার
খ আয়রন
গ লেড
● জিংক
৫. একটি ইথানয়িক এসিড দ্রবণের ঢ়ঐ -এর মান ৪, ঢ়ঐ -এর মান বৃদ্ধি করার জন্য এতে যোগ করতে হবে-
র. অ্যামোনিয়া দ্রবণ
রর. ঘন হাইড্রোক্লোরিক এসিড
ররর. কঠিন ম্যাগনেসিয়াম কার্বনেট
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর
● র ও ররর
গ রর ও ররর
ঘ র, রর ও রর
৪. একটি অজানা ধাতুর সাথে নাইট্রিক এসিডের বিক্রিয়ায় বর্ণহীন দ্রবণ উৎপন্ন হয়। উৎপন্ন দ্রবণটিতে সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড দ্রবণ যোগ করলে সাদা বর্ণের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয় কিন্তু অধিক পরিমাণ সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড দ্রবণ যোগ করলে তা-ও দ্রবীভূত হয়ে যায়। ধাতুটি-
ক কপার
খ আয়রন
গ লেড
● জিংক
৫. একটি ইথানয়িক এসিড দ্রবণের pH -এর মান 4, pH -এর মান বৃদ্ধি করার জন্য এতে যোগ করতে হবে
র. অ্যামোনিয়া দ্রবণ
রর. ঘন হাইড্রোক্লোরিক এসিড
ররর. কঠিন ম্যাগনেসিয়াম কার্বনেট
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর
● র ও ররর
গ রর ও ররর
ঘ র, রর ও রর
২২. কখন আমাদের বদহজম হয়? (অনুধাবন)
ক আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খেলে
খ খাওয়ার আগে অধিক পানি পানে
গ সময় মেনে খাবার গ্রহণ না করা হলে
● পাকস্থলীতে এসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে
২৫. তুমি বিয়ে বাড়িতে খাবার শেষে দধি খেয়েছ। এতে কী এসিড আছে? (প্রয়োগ)
ক এসিটিক এসিড
খ ম্যালিক এসিড
গ টারটারিক এসিড
● ল্যাকটিক এসিড
২৬. তেঁতুলে কোন এসিড থাকে? (জ্ঞান)
ক ইথানয়িক এসিড
● টারটারিক এসিড
গ কার্বনিক এসিড
ঘ সাইট্রিক এসিড
২৭. আমরা পাকস্থলী ও গলায় কখন প্রদাহ অনুভব করি? (অনুধাবন)
ক পেটে অতিরিক্ত ক্ষার উৎপন্ন হলে
খ পেটে অতিরিক্ত ক্ষারক উৎপন্ন হলে
● পেটে অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন হলে
ঘ পেটে অতিরিক্ত লবণ উৎপন্ন হলে
২৮. যেসব খাদ্য খেলে অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন হয় আমাদের উচিত সেগুলো- (অনুধাবন)
● পরিহার করা
খ বেশি খাওয়া
গ শুকিয়ে খাওয়া
ঘ সুসিদ্ধ করে খাওয়া
২৯. ল্যাবরেটরিতে প্রাপ্ত এসিডগুলো কী জাতীয় এসিড? (অনুধাবন)
ক জৈব
● অজৈব
গ মৃদু
ঘ উদ্ভিজ্জ
৩০. হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাসের জলীয় দ্রবণকে কী বলা হয়- (জ্ঞান)
ক কার্বনিক এসিড
খ ইথানয়িক এসিড
● হাইড্রোক্লোরিক এসিড
ঘ টারটারিক এসিড
ক্ষারের ধর্ম : সকল ক্ষার দ্রবণ কটু স্বাদ ও গন্ধযুক্ত। ক্ষারের জলীয় দ্রবণ স্পর্শ করলে সাবানের মতো পিচ্ছিল মনে হয়। ক্ষারের জলীয় দ্রবণ লাল লিটমাসকে নীল করে। ক্ষার সাধারণত ধাতব লবণের সাথে বিক্রিয়া করে ধাতব হাইড্রক্সাইড উৎপন্ন করে। ক্ষার এসিডের সাথে তীব্রভাবে বিক্রিয়া করে লবণ এবং পানি উৎপন্ন করে।
অ্যামোনিয়াম যৌগের সাথে ক্ষারের বিক্রিয়ায় অ্যামোনিয়া গ্যাস বিমুক্ত হয়। গাঢ় এসিড অত্যন্ত বিপদজনক কারণ এগুলো অত্যন্ত ক্ষয়কারক পদার্থ। এগুলো ধাতু, ত্বক এবং কাপড় ক্ষয় করতে পারে। এসিডের মতো গাঢ় ক্ষারও ক্ষয়কারী এবং বিপদজনক। সোডিয়াম হাইড্রক্সাইডকে প্রায়শই কস্টিক সোডা (কস্টিক মানে পোড়ানো) বলা হয়। এসিডের তুলনায় ক্ষার ত্বক ও চোখের বেশি ক্ষতি করে।
সবল ও দুর্বল এসিড ও ক্ষার : যেসব এসিড জলীয় দ্রবণে আংশিক আয়নিত হয় তারা দুর্বল এসিড। একইভাবে, যেসব ক্ষার জলীয় দ্রবণে আংশিক আয়নিত হয় তারা দুর্বল ক্ষার। সবল এসিড ও সবল ক্ষার জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণ আয়নিত হয়। অর্থাৎ দুর্বল এসিডের দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের পরিমাণ সবল এসিডের তুলনায় কম থাকে।একইভাবে দুর্বল ক্ষারের দ্রবণে হাইড্রোক্সাইড আয়নের পরিমাণ সবল ক্ষারের তুলনায় কম থাকে।
ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর : বিভিন্ন এসিড ক্ষার ইন্ডিকেটর বা নির্দেশকের মিশ্রণ হলো ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর। ভিন্ন ভিন্ন pH মানের জন্য ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর ভিন্ন ভিন্ন বর্ণ ধারণ করে। অজানা কোনো দ্রবণের pH মানের জন্য দ্রবণে কয়েক ফোঁটা ইউনির্ভাসাল ইন্ডিকেটর যোগ করা হয়। অতঃপর, উৎপন্ন বর্ণকে স্ট্যান্ডার্ড কালার চার্টের সাথে মিলিয়ে pH মান নির্ধারণ করা হয়।
pH পেপার : অজানা কোনো দ্রবণের pH মান জানতে pH পেপার ব্যবহার করা হয়। এজন্য দ্রবণে এক টুকরো pH পেপার যোগ করা হয়। অতঃপর উৎপন্ন বর্ণকে স্ট্যান্ডার্ড কালার চার্টের সাথে মিলিয়ে দ্রবণের pH মান নির্ধারণ করা হয়।
pH মিটার : অজানা দ্রবণের pH মান জানার জন্য pH মিটার ব্যবহার করা হয়। pH মিটারের ইলেকট্রোডকে অজানা দ্রবণে ডুবিয়ে মিটারের ডিজিটাল ডিসপ্লে থেকে সরাসরি pH মান জানা যায়।
pH –এর গুরুত্ব : কোনো কিছুর মানদণ্ড নির্ভর করে pH এর ওপর। কৃষিকাজ, স্বাস্থ্যরক্ষা, সৌন্দর্যরক্ষায় pH এর মান খুব গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট ফসলের জন্য মাটির নির্ধারিত pH মান বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিনকে হজম করার জন্য পাকস্থলীর pH এর মান ২ অর্থাৎ এসিডিক অবস্থা প্রয়োজন।
এছাড়া ক্ষুদ্রান্ত্র, রক্ত, দেহত্বক, চুল ইত্যাদির আদর্শ pH মান রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশের pH এর মান আদর্শ সীমার চেয়ে কম বা বেশি হলে শরীরের বিভিন্ন রোগ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং সুস্থতা ও সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে। তাই কতকগুলো রোগ শনাক্ত করার জন্য pH মান নির্ণয় আবশ্যক।
প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব : pH এর মান নিয়ন্ত্রণ-এর নির্দিষ্ট পরিমাপ বজায় রাখার জন্য প্রশমন বিক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ। যেসব ক্ষেত্রে ঢ়ঐ এর মান প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্ষারীয় অবস্থা প্রদর্শন করে সেসব ক্ষেত্রে এসিড যোগ করে প্রশমন করা হয়। আবার, যেসব ক্ষেত্রে pH এর মান স্বাভাবিকের চেয়ে কম ক্ষারীয় বা বেশি এসিডীয় অবস্থা প্রদর্শন করে সেসব ক্ষেত্রে ক্ষার যোগ করে প্রশমন করা হয়।
যেমন : পাকস্থলীর অতিরিক্ত এসিড কমাতে সেবনযোগ্য ক্ষার খাওয়া, মানুষের মুখের ও দাঁতের অতিরিক্ত এসিড প্রশমিত করতে টুথপেস্ট ব্যবহার করা, কেক তৈরিতে এসিড ও ক্ষারের মিশ্রণ বেকিং পাউডার ব্যবহার করা, মাটির এসিডিটি হ্রাস করতে চুন ও ক্ষারত্ব হ্রাস করতে অ্যামোনিয়াম সালফেট যোগ করা ইত্যাদি উপায়ে প্রশমন ঘটানো হয়।
পানি বিশুদ্ধকরণ : বিশুদ্ধ পানি বর্ণহীন ও স্বাদহীন হয়। বিশুদ্ধ পানির pH হতে হবে ৬-৮ এর মধ্যে। পানি বিশুদ্ধ করে আমাদের পান করা উচিত। পানি বিশুদ্ধ করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি হলো ক্লোরিনেশন, ফুটানো, থিতানো ও ছাঁকন।
উপরের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ssc chemistry chapter 9 mcq উত্তর ডাউনলোড করে নাও। আমরা আছি ইউটিউবেও। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post