Question: the patriot bangla translation and summery
কবি পরিচিতি
ভিক্টোরীয় যুগের যান্ত্রিকতা ও জড়বাদের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন যে ক‘জন শিল্পী-কবি, রবার্ট ব্রাউনিং তাদের মধ্যে অন্যতম। যুগমানসকে বিশ্বসযোগ্যভাবে প্রতিফলিত করতে পেরেছিলেন তাঁর কাব্যে। ১৮৩০ সালে রাজা চতুর্থ জর্জ-এর মৃত্যু ঘটে। ক্ষমতার শীর্ষাসনে উঠে আসেন রাণী ভিক্টোরিয়া। সমাজ বিবর্তনের স্রোতে সামন্ত আধিপত্য লালিত অভিজাততন্ত্র হেরে গেল উদীয়মান বুর্জোয়াতন্ত্রের কাছে।
মহারাণী ভিক্টোরিয়া শাসনাধীন ইংল্যান্ডে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক প্রগতি, বাণিজ্যিক উদ্যোগ, শিল্পায়ন ও নগরায়ণ মানুষকে একদিকে যেমন দিয়েছে আর্থিক সমৃদ্ধি, অন্যদিকে হরণ করেছে আত্মিক সমৃদ্ধি। মানুষ হযে পড়েছে মূল্যবোধবিবর্জিত বস্তুতান্ত্রিক ও ভোগ বিলাসী। ব্রাউনিং তাঁর সেই জড়বাদী, ভোগবাদী যুগটাকেই উপস্থাপন করেছেন তাঁর কাব্যে।
রবার্ট ব্রাউনিং-এর জন্ম হয়েছিল লন্ডনের ক্যামবারওয়েল-এ, ১৮১২ সালের ৭ই মে তারিখে। ব্রাউনের বাবা ছিলেন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা তিনি শিল্প-সাহিত্য-সঙ্গীত-চিত্রকলার সমঝদার ছিলেন চমৎকার বুদ্ধিদীপ্ত মানুষ। ব্রাউনের মা ছিলেন কন্ঠশিল্পী। দর্শককে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখার মতো গায়িকা।
সুতরাং বলা যায় যে, ব্রাউনিং এর শিল্প সাহিত্যপ্রীতি তাঁর রক্তজাত, মজ্জাগত-উত্তারধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। ছোটবেলায় ব্রাউনিং তালিম নিলেন সঙ্গীতে যার ফলে নিয়মানুযায়ী তাঁর লেখাপড়া এগোয়নি। স্কুল জীবনে লেখাপড়ায় তাঁর ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়নি। বাড়িতে বসেই তাঁকে কিছু লেখাপড়া আয়ত্ব করতে হয়েছে। তাঁর মধ্যে এক ধরণের খামখেয়ালি ভাব ছিল। যার কারণে ছাত্র জীবনে অনেক ঘাটিই তার তরণী ভিড়াতে চেয়ে পারেননি।
চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়নের স্বপ্নও দেখেছিলেন। ডাক্তার হওয়ার আশায় ভর্তি হলেন গাই হাসপাতালে। কিন্তু সে বিদ্যা বেশিদূর এগোয়নি। ভর্তি হলেন লন্ডন বিশ^বিদ্যালয়ে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনাও তাঁর ভালো লাগল না। সব ছেড়ে ছুঁড়ে দিয়ে আরাধনায় রত হলেন কাব্যে স্বরস্বতী’র। এখানে এসে তাঁর মেধা উর্বর মাটি খুজে পেল। গান আর কবিতা। কবিতা আর গান।
গানের ক্ষেত্রে তিনি বেশ সুনামও কুড়িয়েছেন। ব্রাউনিং একদিন পাঠ করলেন এলিজাবেথ ব্যারেট এর কবিতা। এলিজাবেথের কবিতা ব্রাউনিং এর মনের বলে জাগালো প্রেমের শিহরণ। প্রেমের পূর্বরাগরঞ্জিত হৃদয় নিয়ে ব্রাউনিং ১৮৩৫ সালের ২১ শে মে এশে দাঁড়ালেন তাঁর স্বপ্ন কুমারীর সামনে। হৃদয়ে অনুভব করলেন ‘থর থর থর প্রথম পরশ কুমারীর।’ হলো চার চোখের মিলন। প্রথম দর্শনেই দু‘জনার রক্তে দোলা লাগে।
কিন্তু মুক্তিপক্ষ পক্ষীযুগলেরঘর বাঁধার বিষয়টি বেশ কঠিন। কেননা, এলিজাবেথের বাবা ধনাঢ্য ব্যক্তি। এ ধনাঢ্য ব্যক্তির মেয়েটির শরীর ছিল চিররুগ্ন। তাই বাবা এ মেয়েকে সহজে বিয়ে দিতে রাজি নন। কিন্তু ব্রাউনিং তো এ ধনী দুহিতার অঞ্চলপ্রান্তে নিজেকে সমর্পণ করে বসে আছে। শেষ পর্যনাত প্রেমেরই জয় হলো। একদিন সবার অলক্ষ্যে এই প্রেমিক যুগল উপস্থিত হলো মেরিলি বোন গির্জায়। এখানেই সম্পন্ন হলো বিবাহ বন্ধনের কাজটি।
এলিজাবেথ এর চেয়ে ব্রাউনিং ছয় বছরের ছোট। বিয়ের পর এ দম্পত্তি এসে উঠলেন ইতালিতে। আবহাওয়ার পরিবর্তন ও ব্রাউনিং এর সাহচর্য এ দু’য়ে মিলে রোগ মুক্ত করল এলজেবেথকে। ঝরঝরে জীবন। এক সময় এ দম্পত্তি লাভ করলেন একটি পুত্র সন্তান। কিন্তু সুখ সবার কপালে সয় না। এই অসীম আনন্দের আকাশ হতে একটি খসে পড়া তারার মতো ঝরে পড়লেন এলিজাবেথ ১৮৬৮ সালে। শোকাহত, ব্যথাহত ব্রাউনিং। ফিরে এলেন ইংল্যান্ডে। ছেলেটার প্রতি নজর দিলেন।
এক সময় ছেলেটা বড় শিল্পী হলেন। বিয়ে করে ইতালীতে গিয়ে সংসার পাতলো। ব্রাউনিং ইতালীতে গেলেন ছেলের কাছে। একবার মাত্র গেলেন। তারপর ব্রাউনিং-এর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। ১৮৮৯ সালে ১২ই ডিসেম্বর এই বিরাট প্রতিভার জীবনাবসান ঘটে ভেনিসে।
রবার্ট ব্রাউনিং এর বিখ্যাত কিছু কবিতা
- Childe Roland to the Dark Tower Came
- Home Thoughts, from Abroad
- My Last Duchess
- The Pied Piper of Hamelin
- Porphyria’s Lover
- Fra Lippo Lippi
- Soliloquy of the Spanish Cloister’
- Andrea del Sarto
- Meeting at Night
- Caliban upon Setebos
the patriot bangla translation
It was roses, roses, all the way,
With myrtle mixed in my path like mad:
The house-roofs seemed to heave and sway,
The church-spires flamed, such flags they had,
A year ago on this very day.
পুরোটা পথ ছিল গোলাপে পরিপূর্ণ,
গুল্মলতার পাগল করা সৌরভ মিশ্রিত পথ;
ঘরের ছাদণ্ডলো যেন দুলছে উঁচু-নীচু,
গির্জার চূড়া যেন তাদের পতাকার মতো প্রজ্বলিত,
বিগত বছরের ঠিক এই দিনে।
The air broke into a mist with bells,
The old walls rocked with the crowd and cries.
Had I said, “Good folk, mere noise repels—
But give me your sun from yonder skies!”
They had answered, “And afterward, what else?”
বাতাস কুয়াশাকে বিদীর্ণ করেছিল ঘণ্টাধ্বনির মতো
জনতার ভিড়ের চিৎকারে করেছিল পুরাতন দেয়ালগুলো
আমি বলেছিলাম, হে সভ্যগণ, “বন্ধ কর এই হৈ চৈ
এ আকাশ থেকে আলো দাও আমাকে”!
তারা বলেছিল, “এবং শেষে, আরো কিছু ?”
Alack, it was I who leaped at the sun
To give it my loving friends to keep!
Nought man could do, have I left undone:
And you see my harvest, what I reap
This very day, now a year is run.
হায় রে, এটাই আমি যে সূর্যকে ডিঙিয়ে যেতে চেয়েছিলাম
পরম বন্ধুকে ইহা দিয়েছিলাম রাখতে!
মানুষ যা করতে পারে না, আমি তা অসমাপ্ত রেখেছি?
তোমরা দেখেছ আমার ফসল, যা আমি ফলিয়েছি
ঠিক এই দিনে, এখন একটি বছর পার হয়েছে।
There’s nobody on the house-tops now—
Just a palsied few at the windows set;
For the best of the sight is, all allow,
At the Shambles’ Gate—or, better yet,
By the very scaffold’s foot, I trow.
ছাদণ্ডলোর উপরে এখন কেউ নেই
জানালার পাশে জড়াগ্রস্তরা ছাড়া
আকর্ষণীয় স্থানটি, যেখানে সবাই গিয়েছে
কসাইখানার গেট অথবা আরো ভালো স্থান
প্রাণদণ্ডের উঁচু মঞ্চটি, আমি মনে করি।
I go in the rain, and, more than needs,
A rope cuts both my wrists behind;
And I think, by the feel, my forehead bleeds,
For they fling, whoever has a mind,
Stones at me for my year’s misdeeds.
আমি পবিত্র হলাম, প্রয়োজনের চেয়েও বেশি।
পিছনে দড়িতে বাধা কবজিদ্বয় যেন কেটে যাচ্ছে;
আমার মনে হয়, আমি অনুভব করলাম, কপাল থেকে রক্ত ঝরছে,
বিদ্বেষ পোষণকারী কেউ ছুড়ে মারছে
পাথর আমার দিকে আমার বিগত অপকর্মের জন্য।
Thus I entered, and thus I go!
In triumphs, people have dropped down dead.
“Paid by the world, what dost thou owe
“Me?”—God might question; now instead,
‘Tis God shall repay: I am safer so.
এভাবে আমার আগমন এবং এভাবেই আমার প্রস্থান
পরম বিজয়েও মানুষ মৃত্যু মুখে পতিত হয়
ধরণী শোধ করেছে তার ঋণ, তুমি কি ঋণী!
“আমি?” ঈশ্বর প্রশ্ন করতে পারত তার পরিবর্তে .
ঈশ্বর পরিশোধ করবেন: আমি নিরাপদ তাই।
the patriot bangla summery
Robert Browning এর একটি চমকপ্রদ নাটকীয় কবিতা The Patriot। কবি এখানে দেশপ্রেমিক ও জাতীয় বীরদের প্রতি সাধারণ জনগণের মনের পরিবর্তনশীলতা চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সাধারণ জনগণ যেমন দেশপ্রেমিকদেরকে সর্বোচ্চ শিখরে স্থান দিতে পারে, তেমনি মাটিতেও মিশিয়ে দিতে পারে।
কবি একজন দেশপ্রেমিকের ভাষ্যে কবিতাটি বর্ণনা করেছেন। এক বছর পূর্বে রঙ্গিন ফল দিয়ে তাঁর আগমনকে বরণ করা হয়েছিল। তখন গির্জার চূড়াগুলােতে পতাকা টানানাে ছিল এবং তাকে এক নজর দেখার জন্য মানুষ বাড়ির ছাদে পর্যন্ত উঠেছিল। বংশী বাজিয়ে তাঁর আগমন ঘােষিত হয়েছিল। মানুষের মাঝে কী যে উন্মাদনা! তখন জনগণ তার জন্য যে কোনাে কিছু করতে প্রস্তুত ছিল।
কিন্তু এখন সব কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। তার অপকর্মের জন্যে তাকে পেছনে হাত বেঁধে ফাঁসির মঞ্চে নেওয়া হচ্ছে। কেউ তাকে এখন আর স্বাগত জানায়নি বরং পাথর ছুঁড়ে তাকে রক্তাক্ত করা হয়েছিল। কী দুর্ভাগ্যবান সে, যে তার সারাটি জীবন দেশের মানুষের জন্য ব্যয় করেছেন। এই দুঃখের মাঝেও দেশপ্রেমিক তার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। মৃত্যুই সবকিছুর শেষ নয়। সে আশা করে যে, যেহেতু বাস্তব পৃথিবীতে কৃতকর্মের জন্য সে কোনাে পুরস্কার পায়নি, সেহেতু ঈশ্বর তাকে পরকালে অবশ্যই পুরস্কৃত করবেন।
Download This Poem Bangla Summery
Others Poem Bangla Summery
উপরে দেয়া লিংকে ক্লিক করে the patriot bangla translation সারাংশ PDF ফাইলে ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post