Question: to autumn bangla translation
রোমানন্টিক যুগের (১৭৯৮-১৮৩০) একজন খ্যাতনামা কবি হচ্ছেন জন কীটস। তাঁর জীবনকাল স্বল্পস্থায়ী। এই স্বল্পস্থায়ী জীবনে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে তথা বিশ্বসাহিত্যে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছেন। উজ্জ্বল আভায় আভাসিত উদ্ভসিত করেছেন সাহিত্য কানন। সারা জীবন চরম দুর্ভোগের সাথে বসবাস করে আমাদের জন্য গেঁথে গেছেন পরম সৌন্দর্যের মালিকা।
কীটস জন্মগ্রহণ করেন ৩১ শে অক্টোবর, ১৭৯৫ সালে। জন্মস্থান লন্ডনের মুরফিল্ডস। তাঁর বাবার নাম টমাস (কীটস এবং মায়ের নাম ফ্রান্সিস জেনিংস। কীটসেরা পাঁচ ভাই বোন। চার ভাই, এক বোন। কীটস বড়। পরের ভাই জর্জ কীটস। জর্জের জন্ম হয় ১৭৯৭ সালে এবং মৃত্যু হয় ১৮৪১ সালে।
তার পরের ভাই এর নাম হচ্ছে টম কীটস, যার জন্ম ১৭৯৯ তে এবং মৃত্যু ১৮১৮ তে। ছোট ভাইটির নাম হচ্ছে এডওয়ার্ড কীটস, ১৮০১ সালে জন্মগ্রহণ করে এবং কিছুদিনের মধ্যেই সে মৃত্যুর কোলে নেতিয়ে পড়ে। আর সবার ছোট হচ্ছে বোনটি। নাম তার ফ্রান্সিস মেরী। জন্ম ১৮০৩ সালে আর মৃত্যু ১৮৮৯ সালে।
আট বছর বয়সে, ১৮০৩ সালে কীটসকে ভর্তি করা হয় লন্ডন শহরের এনফিল্ড এ জন ক্লাক এর স্কুলে। কিন্তু তার পরের বছরই অর্থাৎ ১৮০৪ সালের এপ্রিলে ঘোড়ার উপর থেকে পড়ে মারা গেলেন কীটসের বাবা। তাঁর বাবার মৃত্যুর মাত্র দু‘মাসের মাথায়, জুন মাসে তাঁর মা বিয়ে করলেন উইলিয়াম রাওলিং নামের এক ব্যক্তিকে। কিন্তু এ বিয়ে সুখের হয়নি।
তিনি ফিরে আসেন স্বামীর বাড়ি থেকে। ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হয়। শরীর ভেঙে পড়ে। চরম অসহায় ও অসুস্থ থাকাকালীন এ সময়ে কীটসহ তাঁর মায়ের শয্যাপাশে ছিলেন। পরম আন্তরিকতায় মায়ের সেবাযত্ন করলেন। জীবনের শেষ সময়টা তার মা সন্তানের সান্নিধ্যে কাটালেণ এবং ১৮১০ সালে তিনি আহলোক ত্যাগ করলেন। কীটস যখন তাঁর বাবাকে হারালেন তখন তাঁর বয়স মাত্র সাড়ে নয় বছর আর যখন মাকে হারালেন তখন তাঁর বয়স চৌদ্দ বছর।
এ দিকে জন ক্লাক- এর স্কুলে ভর্তি হয়েছিল ১৮০৩ সালে, সে স্কুলে তিনি পড়াশুনা করলেন ১৮১১ সাল পর্যন্ত। ১৮১১ সালে জন ক্লার্কের স্কুল থেকে তাঁর দিদি তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান এডমন্টন-এ মিঃ টমাস হ্যামন্ড নামে এক ডাক্তারের কাছে চিকিৎসাবিদ্যা শিখাতে। এ ডাক্তারের কাছে তিনি শিক্ষানবিশ হিসাবে থাকলেন ১৮১৪ সাল পর্যন্ত। অর্জন করেন চিকিৎসা বিদ্যায় ডিপ্লোমা। ১৮১৬ সালের জুলাই মাসে তিনি চিকিৎসাবিদ্যায় প্রশংসাপত্র নিয়ে বের হলেন। তাঁর কাছে সে জগৎ ভাল লাগেনি।
কাব্য কবিতার সৌন্দর্যলক্ষ্মী তাঁকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। ১৮১৭ সালে তিনি ফিরে গেলেন তাঁর নিজের কাব্যকুঞ্জে, সৌন্দর্যপিপাসু আত্মার আহার সন্ধানে। কীটসের অন্য ভাইয়েরা তাঁকে উৎসাহ দিল যদিও তাঁর এক সময়ের অভিভাবক অ্যাবে এতে সমর্থন দিলেন না। কীটস- এর জীবনে প্রেমও এসেছিল নীরব পায়ে।
তিনি তখন স্কটল্যান্ডে বেড়াতে গেলেন আগে তখন পরিচয় ঘটল মিঃ ব্রাউন এর সাথে। আর সে সূত্র ধরে পরিচয় হয় ফ্যানি ব্রাউন এর সাথে। ফ্যানি ব্রাউন এক অপরূপা, অম্পরা অষ্টাদশী। কিন্তু ফ্যানির বাবা নেই। ফ্যানি এবং তার মা থাকতো মিঃ ব্রাউন- এর বাড়ির এক অংশ নিয়ে। বাবা না থাকায় মাত্রই কর্ত্রী।
সুন্দরী ফ্যানি ব্রাউনের কমনীয় স্নিগ্ধ রূপ মন হরণ করল কীটসের। প্রস্তাব করলেন ফ্যানিকে বিয়ে করবেন। ফ্যানি রাজি কিন্তু তাঁর মা রাজি হচ্ছেন না। কারণ কীটস রোগা এবং তার আর্থিক সচ্ছলতা নেই। তা সত্বেও ১৮১৯ সালে ফ্যানির মায়ের সম্মতিতেই বাকদান পর্ব সম্পন্ন হয় ওদের। কিন্তু কপালে সুখ সইলো না।
ফ্যানীকে পরিনীতা বধূ হিনাবে কীটস কখনোই তাঁর পাশে পাননি। ফ্রানিকে না পাওয়ার এই তৃষ্ণা কীটসের কাব্যে প্রভাব ফেলেছে। জগৎকে কীটস যেভাবে সৌন্দর্যমাখা চোখ দিয়ে গ্রহণ করলেন জগৎ তাঁকে যেভাবে গ্রহণ করেনি। এটা জগতের ব্যর্থতা, তাঁর ব্যর্থতা নয়। ‘এ পৃথিবী ভালবাসিতে জানে না’। মাকে হারালেন, বাবাকে হারালেন, ছোট ভাইটিকে হারালেন, আর এক ভাই তাঁকে ছেড়ে চলে গেল। তাঁর দারূণ অর্থকষ্ট।
এ মাঝেও আমেরিকা প্রভাসী ভাই তাঁর কাছে অর্থ চেয়ে বসলেন। ফ্যানি ব্রাউন কর্তৃক নির্দয়ভাবে প্রত্যাখান হলেন। নিজের বুকে বাসা বাঁধল যক্ষা। ১৮২১ সালে ২৩ শে ফেব্রুয়ারি এই সৌন্দর্যপিপাসু কবি মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে অকালে ঝরে পড়েন ধরিত্রীর মাতৃক্রোড় হতে।
জন কীটসের বিখ্যাত কিছু কবিতা
- Fancy (1818)
- Ode on a Grecian Urn (1819)
- To Lord Byron (1814)
- La Belle Dame Sans Merci (1819)
- Ode on Melancholy (1819)
- Ode to a Nightingale (1819)
- To Sleep (1816)
- On Seeing the Elgin Marbles (1817)
- To Autumn (1819)
- Bright star, would I were stedfast as thou art (1819)
to autumn bangla translation
Season of mists and mellow fruitfulness,
Close bosom-friend of the maturing sun;
Conspiring with him how to load and bless
With fruit the vines that round the thatch-eves run;
To bend with apples the moss’d cottage-trees,
And fill all fruit with ripeness to the core;
To swell the gourd, and plump the hazel shells
With a sweet kernel; to set budding more,
And still more, later flowers for the bees,
Until they think warm days will never cease,
For summer has o’er-brimm’d their clammy cells.
কুয়াশার ঋতু পরিপক্ব করে তোলে ফলগুলো;
পূর্নবয়স্ক সূর্যের পরম বন্ধু
দুজনের মিলিত প্রচেষ্টায় ধন্য হয় পুষ্টতায়
ফলভারানত আঙুরলতা খড়ের চাল বেয়ে বেড়ে ওঠে দ্রুত;
ফলভারে নত হয় কুটিরলগ্ন শেওলা ধরা আপেলবৃক্ষ,
পরিপক্ব ফল পূর্ণ হয় দানার পুষ্টতায়
পুষ্ট হয় লাউগুলো, টুপ করে ঝরে পড়ে পুষ্ট কাঠবাদাম
মিষ্টি শস্যদানা; আরো পৌছে পূর্ণতায়,
তখনো বিদায়ী ফুলের মৌমাছিরা ভাবে,
কখনো যাবে না ফুরিয়ে গ্রীষ্মের এই দিন
গ্রীষ্ম তাদের মৌচাক পূর্ণ করেছে আঠালো মধুর রসে।
Who hath not seen thee oft amid thy store?
Sometimes whoever seeks abroad may find
Thee sitting careless on a granary floor,
Thy hair soft-lifted by the winnowing wind;
Or on a half-reap’d furrow sound asleep,
Drows’d with the fume of poppies, while thy hook
Spares the next swath and all its twined flowers:
And sometimes like a gleaner thou dost keep
Steady thy laden head across a brook;
Or by a cyder-press, with patient look,
Thou watchest the last oozings hours by hours.
কে দেখেনি তোমায় মজুদ শস্যের গোলায়?
ক্ষণে ক্ষণে তোমায় দেখা যায় মাঠে
বসে থাকো উদাসীন শস্য মাড়ানোর উঠোনে
এলোচুল তোমার দুলে ওঠে কুলার বাতাসে;
কিংবা অর্ধকর্ষিত জমিতে তুমি থাকো গভীর ঘুমে,
অকর্তিত শস্যগোছার পানে হাত বাড়াতেই
শস্য আকড়ে ধরা পপি ফুলের মদির সুবাসে তুমি ঢলে পড়ো;
মাঝে মধ্যে তোমায় দেখি ধানকুড়োনি মেয়েদের মাঝে
মাথা উঁচু করে পার হয়ে যাও ছোটো নদী;
কিংবা আপেল পিষে রস করা যন্ত্রের পাশে বসে থাকো পরম নিষ্ঠায়,
ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকো আপেলের শেষ ফৌটা ঝরা দেখতে।
Where are the songs of spring? Ay, Where are they?
Think not of them, thou hast thy music too,—
While barred clouds bloom the soft-dying day,
And touch the stubble-plains with rosy hue;
Then in a wailful choir the small gnats mourn
Among the river sallows, borne aloft
Or sinking as the light wind lives or dies;
And full-grown lambs loud bleat from hilly bourn;
Hedge-crickets sing; and now with treble soft
The red-breast whistles from a garden-croft;
And gathering swallows twitter in the skies.
কোথা সে বসন্ত সঙ্গীত? আহা! কোথা সে?
ভেবো না ওদের কথা, তোমারও তো আছে তেমন সঙ্গীত
যখন জেগে ওঠে মেঘ ঝলমলে দিনের বেলায়
আর মাঠের খড়ে স্পর্শ দেয় গোলাপি আভা;
তখন ডাশ পতঙ্গের গুন গুন ঐকতান শোনা যায়
নদীর কিনারে ছোটো ঝোপঝাড়ে সেই সুর
মৃদুমন্দ হাওয়ায় কখনো জেগে ওঠে কখনো থেমে যায়;
অথবা দূর পাহাড় থেকে ভেসে আসা নবীন মেষের ডাক;
অথবা ঝোপের ঝিঁঝির গান, কখনো তুমি বাগান
থেকে ভেসে আসা লাল চিলের তীক্ষু চিৎকার
অথবা আকাশে উড়াল দেয়া একঝাক চড়ুইয়ের চেঁচামেচি।
to autumn bangla summery
John Keats এর To Autumn একটি শৈল্পিক কবিতা। এই কবিতায় কবি প্রথমে শরৎকালকে ফলফলাদি পাকার ঋতু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ শরৎকাল সূর্যের সাথে মিলে আঙ্গুর ও আপেলকে পাকায়, লাউকে ও হিজল ফলগুলাে মিষ্টি শীস দ্বারা পুষ্ট করে এবং অসংখ্য ফুল ফোটায়। যাতে মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে মৌচাককে কানায় কানায় পূর্ণ করতে পারে।
দ্বিতীয় অংশে কবি শরৎকালকে নারীরূপে বর্ণনা করেছেন। নারীরূপী শরৎকাল শস্য গােলাজাত করার কাজে ব্যস্ত ধান মাড়াই-এর কলের কাছে। তাকে উদাসচিত্তে বসে থাকতে দেখা যায়। শস্য ঝাড়াই করার যন্ত্রের বাতাসে তার চুল উড়তে দেখা যায়। সে শস্যকর্তনীরূপে অধকর্তিত শস্যক্ষেত্রে পপি ফুলের গন্ধে ঘুমিয়ে থাকে। আবার কখনাে তাকে দেখা যায় শস্যের বােঝা কাঁধে নিয়ে চলতে কিংবা আপেল থেকে রস বের করা যন্ত্রের পাশে ধৈর্য ধরে বসে থাকতে।
শেষ পর্বে কবি শরকালকে বসন্তকালের সাথে তুলনা করে বলেছেন যে, বসন্তকালের মতাে তােমারও নিজস্ব সংগীত আছে। উঁশদের গুঞ্জনধ্বনি, চড়ুই পাখিদের কিচিরমিচির, ভেড়ার কণ্ঠের ধ্বনি, ঝােপঝাড়ে ঝিঝি পােকার চিৎকার—এগুলাে তাঁর নিজস্ব সুর। নীলাকাশে সাদা সাদা খণ্ড মেঘ এবং বিকেলের সূর্যের আলােতে ঘড়ের মাঠের গােলাপি আভা হলাে শরতের নিজস্ব রং। এভাবে কবি এই কবিতায় শরৎকালকে বিচিত্র চিত্রে চিত্রায়িত করেছেন।
Download This Poem Bangla Summery
Others Poem Bangla Summery
উপরে দেয়া লিংকে ক্লিক করে to autumn bangla translation সারাংশ PDF ফাইলে ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post