নবম শ্রেণীর ভূগোল তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর : উভয় গোলার্ধে নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে বা দক্ষিণে পৃথিবীর কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের অক্ষাংশ বলে। অর্থাৎ,নিরক্ষরেখার উত্তর বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থান পৃথিবীর নিরক্ষরেখাকেন্দ্রে নিরক্ষীয় তলের সঙ্গে যে কোণ উৎপন্ন করে, তাকে অক্ষাংশ বলে। উদাহরণস্বরূপ- কলকাতার অক্ষাংশ ২২°৩৪’ উত্তর বলতে বোঝায় কলকাতা নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে ২২ক্ক৩৪’ কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত।
নবম শ্রেণীর ভূগোল তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর
১. পৃথিবীতে 1° অন্তর অক্ষরেখার সংখ্যা হল-
ক. 180টি
খ. 177টি
গ. 178টি
ঘ. 181টি
২. দ্রাঘিমারেখার সর্বোচ্চ মান-
ক. 90°
খ. 100°
গ. 180°
ঘ. 360°
৩. কানাডার সময় অঞ্চল-
ক. 6টি
খ. 7টি
গ. 8টি
ঘ. 4টি
৪. 45° উত্তর অক্ষরেখায় অবস্থিত স্থানের প্রতিপাদ স্থানের অক্ষাংশ-
ক. 180°
খ. 0°
গ. 45° দক্ষিণ
ঘ. 45°30″ পশ্চিম
৫. রাত্রে কর্কটক্রান্তিরেখায় ধ্রুবতারার উন্নতিকোণ-
ক. 0°
খ. 23.5°
গ. 66.5°
ঘ. 90°
৬. সুমেরুতে ধ্রুবতারার উন্নতি কোণ-
ক. 0°
খ. 90° উত্তর
গ. 90° দক্ষিণ
ঘ. 180°
৭. দ্রাঘিমারেখার সর্বোচ্চ মান-
ক. 90°
খ. 100°
গ. 180°
ঘ. 360°
৮. কলকাতা ও এলাহাবাদের মধ্যে স্থানীয় সময়ের পার্থক্য হয়-
ক. 20 মিনিট
খ. 22 মিনিট
গ. 24 মিনিট
ঘ. 26 মিনিট
৯. কোনো স্থানের দ্রাঘিমাংশ নির্ণয় করার জন্য যে রেখার সাহায্য নেওয়া হয়, সেটি হল-
ক. মূলমধ্যরেখা
খ. 180° দ্রাঘিমারেখা
গ. নিরক্ষরেখা
ঘ. কোনোটাই নয়
১০. দুপুর 12 টাকে প্রকাশ করা হয়-
ক. 12 pm
খ. 12 am
গ. 12
ঘ. কোনোটিই নয়
১১. কলকাতা ও গ্রিনিচের প্রমাণ সময়ের পার্থক্য-
ক. 5 ঘণ্টা
খ. 5 ঘণ্টা 30 মিনিট
গ. 6 ঘণ্টা
ঘ. 6 ঘণ্টা 30 মিনিট
১২. নিরক্ষরেখায় 1° অন্তর দুটি দ্রাঘিমারেখার রৈখিক ব্যবধান-
ক. 110.3 কিমি
খ. 111.3 কিমি
গ. 113.3 কিমি
ঘ. 114.3 কিমি
১৩. উত্তর অক্ষরেখায় অবস্থিত স্থানের প্রতিপাদ স্থানের অক্ষাংশ-
ক. 180°
খ. 0°
গ. 45° দক্ষিণ
ঘ. 45°30″ পশ্চিম
১৪. দিন ও রাতের মধ্যে উষ্ণতার প্রসর সর্বাপেক্ষা কম যে অক্ষরেখা বরাবর-
ক. নিরক্ষরেখা
খ. কর্কটক্রান্তিরেখা
গ. মকরক্রান্তিরেখা
ঘ. কুমেরুবৃত্তরেখা
১৫. আন্তর্জাতিক তারিখরেখা অ্যালুসিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কাছে বাঁকানো হয়েছে-
ক. 11° পূর্বে
খ. 11° পশ্চিমে
গ. 7° পূর্বে
ঘ. 7° পশ্চিমে
১৬. কোনো স্থানের দ্রাঘিমাংশ নির্ণয় করার জন্য যে রেখার সাহায্য নেওয়া হয়, সেটি হল-
ক. মূলমধ্যরেখা
খ. 180° দ্রাঘিমারেখা
গ. নিরক্ষরেখা
ঘ. কোনোটাই নয়
১৭. সর্বোচ্চ অক্ষাংশের মান-
ক. 90°
খ. 100°
গ. 175°
ঘ. 180°
১৮. একই অক্ষাংশবিশিষ্ট স্থানগুলিকে যে রেখার মাধ্যমে যোগ করা হয়, সেটি হল-
ক. দ্রাঘিমারেখা
খ. মূলমধ্যরেখা
গ. অক্ষরেখা
ঘ. বিষুবরেখা
১৯. ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থান থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত অঙ্কিত সরলরেখা নিরক্ষীয় তলের সাথে যে কোণ তৈরি করে তাকে বলে-
ক. দ্রাঘিমারেখা
খ. প্রতিপাদ স্থান
গ. অক্ষাংশ
ঘ. অক্ষরেখা
২০. 180° দ্রাঘিমারেখার ওপর অবস্থিত কোনো স্থানের প্রতিপাদ স্থান হবে-
ক. 18°পূর্ব
খ. 18° পশ্চিম
গ. 0°
ঘ. 90° পূর্ব
২১. সুমেরুবৃত্তরেখার অক্ষাংশ হল-
ক. 60° উত্তর
খ. 60° দক্ষিণ
গ. 66°30″ উত্তর
ঘ. 66°30″ দক্ষিণ
২২. পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে ভাগ করেছে-
ক. নিরক্ষরেখা
খ. কর্কটক্রান্তিরেখা
গ. মকরক্রান্তিরেখা
ঘ. মেরুবৃত্তরেখা
২৩. দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্যরশ্মির লম্বভাবে পড়ার শেষ সীমা-
ক. নিরক্ষরেখা
খ. কর্কটক্রান্তিরেখা
গ. মকরক্রান্তিরেখা
ঘ. কুমেরুবৃত্তরেখা
২৪. সুমেরুবৃত্তরেখার অক্ষাংশ হল-
ক. 60° উত্তর
খ. 60° দক্ষিণ
গ. 66° 30″ উত্তর
ঘ. 66° 30″ দক্ষিণ
২৫. সর্বনিম্ন অক্ষাংশের মান-
ক. 90°
খ. 0°
গ. 45°
ঘ. 66.5°
উত্তর : খ. 0°
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. কোনো স্থান এবং তার প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে দ্রাঘিমার পার্থক্য কত? (এক কথায় উত্তর দাও)
উত্তর : 180°
২. ______ রেখাগুলি প্রত্যেকে দৈর্ঘ্যে সমান। (শূন্যস্থান পূরন করো)
উত্তর : দ্রাঘিমা
৩. মূলমধ্যরেখা কোন শহরের মধ্যে দিয়ে প্রসারিত? (এক কথায় উত্তর দাও)
উত্তর : গ্রিনিচ শহর।
৪. ______ পৃথিবীকে সমান দুই ভাগে ভাগ করেছে। (শূন্যস্থান পূরন করো)
উত্তর : নিরক্ষরেখা
৫. একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত বিভিন্ন স্থানের স্থানীয় সময় একই। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
উত্তর : সত্য
৬. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমের প্রমাণ দ্রাঘিমার মান ______ (শূন্যস্থান পূরন করো)
উত্তর : 120° পশ্চিম
৭. স্থানীয় সময় নির্ণয় করা হয় সমাক্ষরেখার সাহায্যে। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
উত্তর : মিথ্যা
৮. ক্রনোমিটার ঘড়ির আবিষ্কারক কে? (এক কথায় উত্তর দাও)
উত্তর : জন হ্যারিসন।
৯. পূর্ব ও পশ্চিম গোলার্ধের তারিখ বিভাজনকারী রেখা হল ______। (শূন্যস্থান পূরন করো)
উত্তর : আন্তর্জাতিক তারিখরেখা
১০. দক্ষিণ গোলার্ধে হ্যাডলির অকট্যান্ট নক্ষত্রের সাহায্যে দিক নির্ণয় করা হয়। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
উত্তর : সত্য
১১. মূলমধ্যরেখা কোন শহরের মধ্যে দিয়ে প্রসারিত? (এক কথায় উত্তর দাও)
উত্তর : গ্রিনিচ শহর।
১২. পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুর নাম কী? (এক কথায় উত্তর দাও)
উত্তর : কুমেরু।
১৩. কোনো স্থান এবং তার প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে দ্রাঘিমার পার্থক্য কত? (এক কথায় উত্তর দাও)
উত্তর : 180°
১৪. ______ পৃথিবীকে সমান দুই ভাগে ভাগ করেছে। (শূন্যস্থান পূরন করো)
উত্তর : নিরক্ষরেখা
১৫. দ্রাঘিমারেখাগুলি পরস্পর সমান্তরাল। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
উত্তর : মিথ্যা
১৬. মালাস্কা প্রণালীর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক তারিখরেখা গেছে। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
উত্তর : মিথ্যা
১৭. দক্ষিণ গোলার্ধে হ্যাডলির অকট্যান্ট নক্ষত্রের সাহায্যে দিক নির্ণয় করা হয়। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
উত্তর : সত্য
১৮. গ্রিনিচের সময় নির্ণয় করা হয় ক্রনোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
উত্তর : সত্য
১৯. ______ অক্ষাংশ দিয়ে কর্কটক্রান্তিরেখা আঁকা যায়। (শূন্যস্থান পূরন করো)
উত্তর : 23.5° উত্তর
২০. অক্ষাংশের মান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অক্ষরেখাগুলির পরিধি ______ পায়। (শূন্যস্থান পূরন করো)
উত্তর : হ্রাস
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন
১. নিরক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত (Great Circle) বলে কেন?
উত্তর : পৃথিবীর ওপর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর মাঝ বরাবর ও সমদূরত্বে পূর্ব-পশ্চিমে যে রেখাটি কল্পনা করা হয়েছে, তাকে রক্ষরেখা বলে। এটি একটি পূর্ণবৃত্ত এবং সবচেয়ে বড়াে পরিধির বৃত্ত। সেইজন্য নিরক্ষবৃত্তকে মহাবৃত্ত বলে। মহাবৃত্ত বরাবর পৃথিবীকে কাল্পনিকভাবে কাটলে পৃথিবী সমান দুইভাগে বিভক্ত হবে।
২. নিরক্ষরেখার অপর নাম বিষুবরেখা কেন?
উত্তর : বিষুব’ কথাটির অর্থ সমান। নিরক্ষরেখার ওপর বছরের প্রতিটি দিন সূর্যরশ্মি লম্বভাবে বা প্রায় লম্বভাবে পড়ে বলে।দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয়। তার্থাৎ, 12 ঘণ্টা দিন ও 12 ঘণ্টা রাত্রি সেই কারণে এই রেখাটির অপর এক নাম বিষুবরেখা।
৩. সমাক্ষরেখা কাকে বলে?
উত্তর : ভূগােলকের ওপর একই অক্ষাংশবিশিষ্ট স্থান বিন্দুগুলিকে পরপর যুক্ত করে যে রেখাটির সৃষ্টি হয়, তাকে সমাক্ষরেখা বলে। অর্থাৎ, সমান অক্ষাংশবিশিষ্ট রেখাকে সমাক্ষরেখা বলা হয় এবং একই সমাক্ষরেখার ওপর অবস্থিত প্রতিটি স্থানের অক্ষাংশ একই (সমান)।
৪. অক্ষাংশ (Latitude) কাকে বলে?
উত্তর : উভয় গােলার্ধে নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে বা দক্ষিণে পৃথিবীর কোনাে স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের অক্ষাংশ বলে। অর্থাৎ,নিরক্ষরেখার উত্তর বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনাে স্থান পৃথিবীর নিরক্ষরেখাকেন্দ্রে নিরক্ষীয় তলের সঙ্গে যে কোণ উৎপন্ন করে, তাকে অক্ষাংশ বলে।
উদাহরণস্বরূপ-কলকাতার অক্ষাংশ 22°34’উত্তর বলতে বােঝায় কলকাতা নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে 22°34′ কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত।
৫. দ্রাঘিমা (Longitude) কাকে বলে?
উত্তর : মূলমধ্যরেখা থেকে পূর্ব ও সুমেরু পশ্চিমে কোনাে স্থানের নিরক্ষীয়তল বরাবর কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের দ্রাঘিমা (Longitude) বলে। তার্থাৎ, পৃথিবীর কেন্দ্রে মূলমধ্যরেখা থেকে পূর্বে ও পশ্চিমে কোনাে স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের দ্রাঘিমা বলে। উদাহরণস্বরূপ- কুমেরু কলকাতার দ্রাঘিমাংশ ৪৪°30′ পূর্ব চিত্র 3.27° কৌণিক দূরত্বের বলতে বােঝায় কলকাতা নিরক্ষীয় সাহায্যে দ্রাঘিমা নির্ণয় তল বরাবর মূলমধ্যরেখা থেকে পূর্বে ৪৪°30′ কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত।
৬. 180° পূর্ব ও 180° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখাকে কেন একই দ্রাঘিমারেখা বলা হয়?
উত্তর : 180° পূর্ব ও 180° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখা দুটি একই স্থানে অবস্থিত বলে এই দ্রাঘিমারেখা দুটিকে একই দ্রাঘিমারেখা বলে।পৃথিবীর আয়তাকার মানচিত্রে এই রেখা দুটি অঙ্কন করা যায়, কিন্তু ভূ-গােলকে একটি দ্রাঘিমারেখার দ্বারাই উভয় রেখাদ্বয়কে বােঝানাে হয়।
৭. রৈখিক দূরত্ব (Linear Distance) কাকে বলে?
উত্তর : কোনাে সমতল জায়গায় দুটি স্থানের দূরত্ব সােজাসুজি ফিতে বা দড়ি দিয়ে মাপার পর ওই মাপটিকে সেন্টিমিটার, মিটার,কিলােমিটার ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এইভাবে দূরত্ব প্রকাশ করাকে রৈখিক দূরত্ব (Linear Distance) বলে।
৮. কলকাতার অক্ষাংশ 22°34’ উত্তর বলতে কী বােঝায়?
উত্তর : কলকাতার অক্ষাংশ 22°34′ উত্তর বলতে বােঝায় কলকাতা পৃথিবীর কেন্দ্র ও নিরক্ষীয় তলের সঙ্গে 22°34′ কোণ উৎপন্ন করে এবং কলকাতা উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত।
৯. কলকাতার দ্রাঘিমা ৪৪°30° পূর্ব বলতে কী বােঝায়?
উত্তর : কলকাতা থেকে নিরক্ষীয় তল বরাবর পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত অঙ্কিত সরলরেখা, মূলমধ্যরেখা থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত বিস্তৃত সরলরেখার সঙ্গে ৪৪°30′ কোণ উৎপন্ন করে এবং কলকাতা পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত।
১০. ভৌগােলিক জালক (Grid) কাকে বলে?
উত্তর : দুটি স্থির মেরুবিন্দু (উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু) সংযােগকারী কাল্পনিক রেখাটিকে অক্ষ বলে। গ্লোবের মধ্যে পূর্ব থেকে পশ্চিমে কাল্পনিক অক্ষরেখা এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে কাল্পনিক দ্রাঘিমারেখা জালের মতাে বেষ্টন করে থাকে, একে ভৌগােলিক জালক (Grid) বলে। এই রেখাগুলির মাধ্যমে কোনাে স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা যায়।
টিকা লিখ
১. মূলমধ্যরেখা (Prime Meridian)
উত্তর : ভূগােলকের অন্তর্গত 0° দ্রাঘিমারেখাটি মূলমধ্যরেখা (Prime Meridian) নামে পরিচিত।
কাল্পনিক অবস্থান: এই রেখাটি লন্ডনের গ্রিনিচ মানমন্দিরের উপর দিয়ে কল্পনা করা হয়েছে।
বৈশিষ্ট্য : মূলমধ্যরেখাটি উত্তরে সুমেরু থেকে দক্ষিণে কুমেরু পর্যন্ত বিস্তৃত। ও এই রেখাটি অর্ধবৃত্তাকার। প্রতিটি অক্ষরেখাকে মূলমধ্যরেখা প্রায় লম্বভাবে ছেদ করেছে।
গুরুত্ব : পৃথিবীকে পূর্ব ও পশ্চিম গােলার্ধে বিভক্ত করেছে। মূলমধ্যরেখার স্থানীয় সময়কে সারা পৃথিবীর প্রমাণ সময় হিসাবে ধরা হয়।
২. স্থানীয় সময় (Local Time)
উত্তর : পৃথিবীর পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তনের ফলে পৃথিবীর কোনাে-না-কোনাে দ্রাঘিমারেখা সূর্যের সামনে আসে, অর্থাৎ সূর্যরশ্মি প্রতিটি দ্রাঘিমারেখার উপর লম্বভাবে পতিত হয়। এইভাবে কোনাে দ্রাঘিমারেখায় সূর্যের সর্বোচ্চ উন্নতির সময় দুপুর 12টা ধরে দিনের বাকি সময়ের হিসাব করা হয়। এইভাবে আকাশে সূর্যের অবস্থান অনুসারে যে সময় নির্ধারণ করা হয়, তাকে স্থানীয় সময় বলে।
উদাহরণ : কলকাতায় (88°30′ পূর্ব) যখন সূর্যের উন্নতি সর্বোচ্চ তখন কলকাতার স্থানীয় সময় দুপুর 12টা। ঠিক সেই মুহূর্তে দিল্লির (77°12′ পশ্চিম) স্থানীয় সময় হবে সকাল 11টা 14 মিনিট 36 সেকেন্ড।
৩. প্রমাণ সময় (Standard Time)
উত্তর : পৃথিবীর একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত স্থানগুলির স্থানীয় সময় এক হলেও 1° দ্রাঘিমার পার্থক্যে 4 মিনিট সময়ের পার্থক ঘটে। ফলে কোনাে দেশে বহুসংখ্যক দ্রাঘিমারেখার উপস্থিতির দরুন বিভিন্ন স্থানীয় সময় থাকলে রেল, ডাক, বেতার এবং প্রশাসনিক কাজ চালানাে অসুবিধাজনক হয়ে পড়বে।
এই অসুবিধা যাতে না হয়, সেজন্য কোনাে দেশের প্রায় মধ্যাঞ্চল দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে প্রসারিত দ্রাঘিমাকে প্রমাণ দ্রাঘিমা ধরা হয় এবং এই দ্রাঘিমার ওপর। নির্ভর করে যখন দেশের বা ওই ভূখণ্ডের সময় নির্ণীত হয়, তখন তাকে ওই দেশ বা ভূখণ্ডের প্রমাণ সময় বলে।
উদাহরণ : ভারতের প্রায় মাঝামাঝি স্থানে এলাহাবাদের কাছে অবস্থিত 82°30′ পূর্ব দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময়কে ভারতের প্রমাণ সময় হিসাবে ধরা হয়।
৪. am ও pm
উত্তর : পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে কোনাে দ্রাঘিমারেখা যখন সূর্যের সামনে আসে তখন সূর্যকে সেই স্থানের মধ্যাকাশে দেখা যায় এবং তখন সেখানের স্থানীয় সময় হয় মধ্যাহ্ন বা বেলা 12টা। বিপরীত দ্রাঘিমারেখায় তখন সময় হয় মধ্যরাত্রি বা রাত্রি 12টা। অর্থাৎ, কোনাে জায়গায় মধ্যরাত্রি 12টার পর থেকে পরদিন মধ্যাহ্ন অর্থাৎ দুপুর 12টার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সময়কে Ante (Before) Meridian বা am এবং মধ্যাহ্ন বা দুপুর 12টার পর থেকে মধ্যরাত্রি 12টার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সময়কে Post (After) Meridian বা pm বলে।
অর্থাৎ, কোনাে জায়গার দ্রাঘিমা বা Meridian-এর উপর সূর্য পৌঁছানাের আগের সময় বােঝাতে Ante Meridian এবং সূর্য পৌঁছানাের পরের সময় বােঝাতে Post Meridian ব্যবহার করা হয়। আর রাত্রি 12টা এবং দুপুর 12টাকে am বা pm না বলে যথাক্রমে মধ্যরাত্রি 12টা এবং মধ্যাহ্ন 12টা বলা হয়ে থাকে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (নিজে চেষ্টা করো)
১. সুমেরুবৃত্তরেখা ও কুমেরুবৃত্তরেখা কাকে বলে?
২. দ্রাঘিমারেখা কী?
৩. কোনো দেশ স্থানীয় সময়ের পরিবর্তে প্রমাণ সময়কে কি বলে?
৪. নিরক্ষীয় তল কী?
৫. অক্ষাংশ কী?
৬. কৌণিক দূরত্ব কাকে বলে?
৭. কোনো দেশ স্থানীয় সময়ের পরিবর্তে প্রমাণ সময়কে কি বলে?
৮. মহাবৃত্ত ও ক্ষুদ্রবৃত্তের মধ্যে প্রভেদ কী?
৯. মূলমধ্যরেখা কী?
১০. নিরক্ষরেখা কী?
১১. প্রমাণ সময় কী?
১২. দ্রাঘিমাংশ কী?
১৩. অক্ষরেখাগুলিকে সমাক্ষরেখা বলে কেন?
১৪. উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ বলতে কী বোঝ?
১৫. সুমেরুবৃত্তরেখা ও কুমেরুবৃত্তরেখা কাকে বলে?
১৬. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কী?
১৭. অক্ষরেখাগুলিকে সমাক্ষরেখা বলে কেন?
►► আরো দেখো: ভুগোল সকল অধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তর
পশ্চিমবঙ্গের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, এখানে আমরা শুধু প্রশ্নগুলো আলোচনা করেছি। তোমরা চাইলে পিডিএফ ফাইলে নবম শ্রেণীর ভূগোল তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর সহ ডাউনলোড করতে পারো। এজন্য ওপরে দেওয়া Answer Sheet বাটনে ক্লিক করো।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post