নবম শ্রেণীর ভূগোল সপ্তম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর : উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ শিলাস্তরের মধ্যে চাপা পড়ে প্রস্তরীভূত হলে, তাকে জীবাশ্ম বলা হয়। এই জীবাশ্ম সৃষ্টির সময় জীবদেহাবশেষ ভূঅভ্যন্তরের চাপ ও তাপে এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ায় পরিবর্তিত হয়ে যখন জ্বালানি খনিজে পরিণত হয়, তখন তাকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলে।
খনি থেকে তােলা আকরিক লােহায় যে অপ্রয়ােজনীয় পদার্থ মিশে থাকে তা বাদ দেওয়ার জন্য এর সঙ্গে চুনাপাথর ও ডলােমাইট মিশিয়ে বাতচুল্লিতে গলানাে হয় এবং পরিসুত গলিত তরল লােহা ছাঁচে ফেলে যে লৌহপিণ্ড প্রস্তুত করা হয়, তাকে পিগ আয়রন বলে।
নবম শ্রেণীর ভূগোল সপ্তম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো
১. গবাদিপশুর সংখ্যার বিচারে ভারতের স্থান –
ক. প্রথম
খ. দ্বিতীয়
গ. তৃতীয়
ঘ. চতুর্থ
২. পূর্ব ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হল-
ক. মাইথন
খ. হিরাকুঁদ
গ. ফারাক্কা
ঘ. নেপ্লোর
৩. শিক্ষা একটি-
ক. অবস্তুগত সম্পদ
খ. বস্তুগত সম্পদ
গ. মানবিক সম্পদ
ঘ. জৈবিক সম্পদ
৪. একটি অপ্রচলিত শক্তির উৎস-
ক. খরস্রোতা নদী
খ. সূর্যালোক
গ. কয়লা
ঘ. খনিজ তেল
৫. ভারতের ভূতাপ শক্তিকেন্দ্র গড়ে উঠেছে-
ক. ভিজিনজামে
খ. মণিকরণে
গ. জালখেড়িতে
ঘ. চিকমাগালুরে
৬. ভারতে ভারতের প্রথম পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র –
ক. ট্রম্বে
খ. কালপক্কম
গ. তারাপুর
ঘ. শোলাপুর
৭. রাজস্থানের একটি পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র হল-
ক. ট্রম্বে
খ. তারাপুর
গ. কোটা
উত্তর : গ. কোটা
৮. অরণ্য একটি-
ক. সাংস্কৃতিক সম্পদ
খ. প্রাকৃতিক সম্পদ
গ. মানবিক সম্পদ
উত্তর : খ. প্রাকৃতিক সম্পদ
৯. সমুদ্রের মাছ-
ক. স্থায়ী সম্পদ
খ. পূরণশীল সম্পদ
গ. সাংস্কৃতিক সম্পদ
ঘ. মানবিক সম্পদ
১০. একটি অন্যতম সাংস্কৃতিক সম্পদ হল-
ক. শিক্ষা
খ. জনসংখ্যা
গ. জল
ঘ. মাটি
১১. ভারতের বৃহত্তম কয়লাখনি অঞ্চল-
ক. রানিগঞ্জ
খ. ঝরিয়া
গ. সিগারেনি
ঘ. বাদামপাহাড়
১২. ভারতে ভারতের প্রথম পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র –
ক. ট্রম্বে
খ. কালপক্কম
গ. তারাপুর
ঘ. শোলাপুর
১৩. অসমের একটি গুরুত্বপূর্ণ পেট্রোলিয়াম উত্তোলন কেন্দ্র
ক. নুনমাটি
খ. নাহারকাটিয়া
গ. ট্রম্বে
ঘ. লুনেজ
১৪. একটি অপুনর্ভব সম্পদ হল-
ক. সূর্যালোক
খ. সোনা
গ. বায়ু
ঘ. ভূতাপ
১৫. একটি জৈব খনিজের উদাহরণ—
ক. কয়লা
খ. লোহা
গ. তামা
ঘ. থোরিয়াম
১৬. কোক কয়লা প্রস্তুত করা হয়-
ক. বিটুমিনাস থেকে
খ. লিগনাইট থেকে
গ. অ্যানথ্রাসাইট থেকে
ঘ. পিট থেকে
১৭. একটি আন্তর্জাতিক সম্পদের উদাহরণ হল—
ক. বিদ্যালয়
খ. জল
গ. মাটি
ঘ. ওজোনস্তর
১৮. ভারতের প্রথম কয়লা খনি-
ক. কোরবা
খ. বরাকর
গ. তালচের
ঘ. রানিগঞ্জ
১৯. অভ্যন্তরীণ মৎস্য উৎপাদনে ভারতের স্থান—
ক. প্রথম
খ. দ্বিতীয়
গ. তৃতীয়
ঘ. চতুর্থ
২০. মহারাষ্ট্রের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ
ক. তারাপুর
খ. কৈগা
গ. কাকরাপাড়
ঘ. নারোরা
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. দামোদর অববাহিকায় প্রচুর কয়লা পাওয়া যায়। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
উত্তর : সত্য
২. পেট্রোলিয়ামের অপর নাম কী? (এক কথায় উত্তর দাও)
উত্তর : হাইড্রোকার্বন।
৩. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ কী ধরনের সম্পদ? (এক কথায় উত্তর দাও)
উত্তর : আন্তর্জাতিক সম্পদ।
৪. ম্যাগনেটাইট একধরনের উন্নতমানের কয়লা। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
উত্তর : মিথ্যা
৫. ______ ভারতের বৃহত্তম কয়লাখনি অঞ্চল । (শূন্যস্থান পূরন করো)
উত্তর : ঝরিয়া
৬. গুজরাতের ______ একটি বিখ্যাত বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। (শূন্যস্থান পূরন করো)
উত্তর : লামডা
৭. স্যাকারিন কয়লার একটি ______ দ্রব্য। (শূন্যস্থান পূরন করো)
উত্তর : উপজাত
৮. সম্পদের ধারণা স্থিতিশীল। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
উত্তর : মিথ্যা
৯. ভারতের বৃহত্তম খনিজ তেল উত্তোলক অঞ্চল মুম্বাই হাই। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
উত্তর : সত্য
১০. প্রকৃতি, মানুষ ও ______ সম্পদ সৃষ্টির প্রধান তিনটি উপাদান। (শূন্যস্থান পূরন করো)
উত্তর : সংস্কৃতি
১১. খনিজ তেলে কোন্ উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে? (এক কথায় উত্তর দাও)
উত্তর : হাইড্রোকার্বন।
১২. দক্ষিণ ভারতের প্রধান লিগনাইট খনির নাম ______। (শূন্যস্থান পূরন করো)
উত্তর : নেয়ভেলি
১৩. কয়লাতে কার্বনের পরিমাণ খুব বেশি থাকলে তাকে কী বলে? (এক কথায় উত্তর দাও)
উত্তর : গ্রাফাইট।
১৪. পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয় এরূপ জ্বালানিকে কী বলে? (এক কথায় উত্তর দাও)
উত্তর : সবুজ জ্বালানি।
১৫. পেট্রোলিয়ামের অপর নাম কী? (এক কথায় উত্তর দাও)
উত্তর : হাইড্রোকার্বন।
১৬. ভারতের ______ শতাংশ কয়লা টার্শিয়ারি যুগের। (শূন্যস্থান পূরন করো)
উত্তর : 1
১৭. সৌরশক্তি হল একটি গুরুত্বপূর্ণ ______ শক্তির উৎস। (শূন্যস্থান পূরন করো)
উত্তর : অফুরন্ত
১৮. ONGC ভারতের খনিজতেল অনুসন্ধানের একটি সরকারি সংস্থা। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
উত্তর : সত্য
১৯. ভারতে কয়লা উত্তোলনে পশ্চিমবঙ্গের স্থান কততম? (এক কথায় উত্তর দাও)
উত্তর : চতুর্থ।
২০. গুজরাতের মডাতে ভারতের সর্ববৃহৎ সৌরশক্তি কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
উত্তর : মিথ্যা
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর
১. জৈব সম্পদ (Biotic Resource) কাকে বলে?
উত্তর : জীবজগৎ অর্থাৎ প্রাণী ও উদ্ভিদ জগৎ থেকে যেসব সম্পদ পাওয়া যায়, সেগুলিকে জৈব সম্পদ বলে। উদাহরণ : মানুষ, অরণ্য সম্পদ, মৎস্য সম্পদ, পশুজাত দ্রব্য (যেমন দুগ্ধ, চর্ম, পশম প্রভৃতি)।
২. অজৈব সম্পদ (Abiotic Resource) কাকে বলে?
উত্তর : প্রাণহীন জড় বস্তু থেকে সৃষ্ট সম্পদগুলিকে বলা হয় অজৈব সম্পদ। উদাহরণ : জল, বায়ু, ধাতব খনিজ প্রভৃতি।
৩. বস্তুগত বা স্পর্শযােগ্য সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর : যেসব সম্পদের বস্তুগত অস্তিত্ব আছে এবং যাদের প্রত্যক্ষ করা যায় ও স্পর্শ করে অনুভব করা যায়, তাদের বস্তুগত বা স্পর্শযােগ্য সম্পদ বলে। উদাহরণ : সমস্ত খনিজ সম্পদ, কৃষিজ ফসল প্রভৃতি।
৪. অবস্তুগত বা অস্পর্শযােগ্য সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর : যেসব সম্পদের বস্তুগত অস্তিত্ব নেই এবং যাদের স্পর্শ করা যায় না, প্রত্যক্ষ করা যায় না, তাদের অবস্তুগত বা অস্পর্শযােগ্য সম্পদ বলে। উদাহরণ : শিক্ষা, বুদ্ধি, জ্ঞান, উদ্ভাবনী ক্ষমতা, আইন প্রভৃতি।
৫. সম্পদের বাধা কাকে বলে?
উত্তর : পৃথিবীর সমস্ত বস্তু ও অবস্তুকে সম্পদ, বাধা এবং নিরপেক্ষ উপাদান – এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে সম্পদ সৃষ্টির ক্ষেত্রে যারা বাধা দান করে, মানুষের ক্ষতিসাধন করে, তাদের সম্পদের বাধা (Resistance of Resources) বলে। যেমন – ঘূর্ণিঝড়, যুদ্ধ, ধর্মীয় কুসংস্কার প্রভৃতি।
৬. সম্পদের উপযােগিতা (Utility) কাকে বলে?
উত্তর : মানুষের অভাব মােচন বা চাহিদা পূরণ করার ক্ষমতাকে সম্পদের উপযােগিতা (Utility) বলে। সম্পদের উপযােগিতা মানুষের অভাব মিটিয়ে পরিতৃপ্তি দান করে। সম্পদের কার্যকারিতা বাড়লে সম্পদের উপযােগিতা বৃদ্ধি পায়। যেমন – এক গ্লাস ঠান্ডা জল তৃষার্ত মানুষের পিপাসা মিটিয়ে তাকে তৃপ্ত করে, এটাই জলের উপযােগিতা।
৭. প্রবহমান বা অফুরন্ত সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর : যে-সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদ ক্রমাগত ব্যবহারের পরও নিঃশেষিত হয় না কিংবা যাদের জোগান অব্যাহত থাকে, তাদের প্রবহমান বা অফুরন্ত সম্পদ (Flow or Inexhaustible Resources) বলা হয়। যেমন – বাতাস, জল, সূর্যালােক প্রভৃতি।
৯. পুনর্ভব সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর : যে সম্পদ ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে ও সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে যায় না বা j সম্পদ সাময়িকভাবে কমে গেলেও মানুষের চেষ্টাও সদিচ্ছায় পুনরায় ফিরিয়ে আনা যায় তাকে পুনর্ভব সম্পদ বলে
১০. সম্পদের ব্যবহারযােগ্যতা বা সুগমতা (Accessibility) বলতে কী বােঝাে?
উত্তর : কোনাে বস্তুর ব্যবহারযােগ্যতা না থাকলে তাকে সম্পদ বলা হয় না। দুর্গম এবং বিপদসংকুল মরু অঞ্চল ও পার্বত্য অঞ্চলের খনিজদ্রব্য, দুর্ভেদ্য অরণ্যের কাঠ এবং জনহীন সমুদ্র উপকূলের জলসম্পদ ব্যবহার করা যায় না বলে তাদের সম্পদ বলা হয় না। কাজেই, সম্পদ হতে হলে তার ব্যবহারযােগ্যতা বা সুগমতা থাকা প্রয়ােজন।
১১. সংস্কৃতির শ্রেণিবিভাগ করাে।
উত্তর : সংস্কৃতিকে দুটি পৃথক ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- বস্তুগত সংস্কৃতি এবং গু ভাবগত সংস্কৃতি। নানারকম কলকবজা, মেশিনপত্র, যন্ত্রপাতি, যানবাহন ইত্যাদি হল বস্তুগত সংস্কৃতি (Material Culture)। আর বিজ্ঞান, প্রযুক্তিবিদ্যা, উন্নত কলা-কৌশল, ভাবনা-চিন্তা ইত্যাদিকে ভাবগত সংস্কৃতি (Thematic Culture) বলা হয়।
১২. ধাতব খনিজ কাকে বলে?
উত্তর : যেসব খনিজ দ্রব্য গলালে ধাতু পাওয়া যায়, তাদের। ধাতব খনিজ বলে। উদাহরণ : আকরিক লােহা, তামা, বক্সাইট, ম্যাঙ্গানিজ প্রভৃতি। বৈশিষ্ট্য : ধাতব খনিজ অবিশুদ্ধ প্রকৃতির; ধাতব খনিজ ওজন হ্রাসশীল কাচামাল রূপে শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
১৩. অধাতব খনিজ কাকে বলে?
উত্তর : যেসব খনিজ গলানাে বা শােধন করার সময় নানা অধাতব পদার্থ বা উপজাত দ্রব্য পাওয়া যায়, তাকে অধাতব খনিজ বলে। উদাহরণ : কয়লা, খনিজ তেল, চুনাপাথর, গন্ধক, ইউরেনিয়াম প্রভৃতি। বৈশিষ্ট্য : অধাতব খনিজ সাধারণত বিশুদ্ধ প্রকৃতির হয়; এই খনিজ সরাসরি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়।
১৪. জ্বালানি খনিজ কাকে বলে?
উত্তর : যেসব খনিজ দহন করলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয় বা যার থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বের হয়, তাকে জ্বালানি খনিজ বলে। উদাহরণ : কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, ইউরেনিয়াম প্রভৃতি।
১৫. আকরিক কাকে বলে?
উত্তর : যেসব খনিজে অপ্রয়ােজনীয় অপদ্রব্যের তুলনায়। ধাতব মৌলের পরিমাণ বেশি থাকে এবং যেগুলি থেকে সহজেই ধাতু। নিষ্কাশন করা যায়, তাদের আকরিক বলে। উদাহরণ : হেমাটাইট, ম্যাগনেটাইট প্রভৃতি।
১৬. পিগ আয়রন (Pig Iron) কাকে বলে ?
উত্তর : খনি থেকে তােলা আকরিক লােহায় যে অপ্রয়ােজনীয় পদার্থ মিশে থাকে তা বাদ দেওয়ার জন্য এর সঙ্গে চুনাপাথর ও ডলােমাইট মিশিয়ে বাতচুল্লিতে গলানাে হয় এবং পরিসুত গলিত তরল লােহা ছাঁচে ফেলে যে লৌহপিণ্ড প্রস্তুত করা হয়, তাকে পিগ আয়রন বলে।
১৭. স্পঞ্জ আয়রন (Sponge Iron) কাকে বলে?
উত্তর : ছাঁট লােহা (Scrap) থেকে ইলেকট্রিক আর্ক ফার্নেস (Electric Arc Furnace) ও ইনডাকশন ফার্নেস (InductionFurnace)-এর মাধ্যমে সরাসরি যে লােহা উৎপাদন করা হয়,তাকে স্পঞ্জ আয়রন বলে। স্পঞ্জ লােহা উৎপাদনে ভারত পৃথিবীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
১৮. জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে?
উত্তর : উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ শিলাস্তরের মধ্যে চাপা পড়ে প্রস্তরীভূত হলে, তাকে জীবাশ্ম বলা হয়। এই জীবাশ্ম সৃষ্টির সময় জীবদেহাবশেষ ভূঅভ্যন্তরের চাপ ও তাপে এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ায় পরিবর্তিত হয়ে যখন জ্বালানি খনিজে পরিণত হয়, তখন তাকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলে।
১৯. ভারতের প্রধান চারটি কালাখনি অঞ্চল ও তাদের একটি করে খনির নাম লেখাে।
উত্তর : ভারতের চারটি কয়লা খনি অঞ্চল হল –
i. দামােদর উপত্যকা অঞ্চল। পশ্চিমবঙ্গের রানিগঞ্জ।
ii. শােন উপত্যকা অঞ্চল – ছত্তিশগড়ের ঝিলিমিলি।
iii. মহানদী উপত্যকা অঞ্চল ওড়িশার তালচের।
iv.গােদাবরী উপত্যকা অঞ্চল অপ্রদেশের তাণ্ডুর।
২০. কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড (Coal India Limited) কী ?
উত্তর : কয়লা উত্তোলনের ক্ষেত্রে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হল কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড। 1975 সালে বিশ্বের বৃহত্তম এই কয়লা উৎপাদনকারী সংস্থাটি স্থাপিত হয়, এর সদর দপ্তর কলকাতায় অবস্থিত। বর্তমান ভারতে এই সংস্থার অধীনে মােট 18টি সংস্থা কয়লা উত্তোলনে। নিযুক্ত আছে। যেমন – সেন্ট্রাল কোল ফিল্ডস্ লিমিটেড (CCL), ভারত কোকিং কোল লিমিটেড (BCCL) প্রভৃতি।
২১. ভারতের চারটি লিগনাইট কয়লা খনির নাম লেখাে।
উত্তর : ভারতের চারটি লিগনাইট কয়লা খনি হল
i. তামিলনাড়ুর নেভেলি (ভারতের বৃহত্তম লিগনাইট কয়লা খনি)
ii. রাজস্থানের পালানা,
iii. কেরালার ওয়ারকালা,
Iv. গুজরাটের উমরসর।
২২. ক্রুড অয়েল (Crude Oil) ও অয়েল ট্র্যাপ (Oil Trap) কী ?
উত্তর : ভূগর্ভের শিলাস্তর থেকে যে তেল উত্তোলন করা হয়, তা ঘন, ভারী ও মালিন্যযুক্ত, একে ক্রুড অয়েল বা অপরিশােধিত তেল বলে। এই তেল শােধন করে ব্যবহার করা হয়। বাণিজ্যিক তেল উত্তোলনের উপযােগী তেল ভাণ্ডারকে অয়েল ট্র্যাপ বলে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (নিজে চেষ্টা করো)
১. সম্পদ উপলদ্ধি কী?
২. পুনর্ভব সম্পদ কী?
৩. খনিজ তেলের উপজাত দ্রব্যগুলি কী কী?
৪. সম্পদের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।
৫. সাংস্কৃতিক সম্পদ কী?
৬. খনিজ তেলের উপজাত দ্রব্যগুলি কী কী?
৭. আঞ্চলিক সম্পদ কী?
৮. সম্পদ সংরক্ষণের উদ্দেশ্য কী?
৯. ভারতের তিনটি কয়লাখনি অঞ্চলের নাম লেখো।
১০. সম্পদের বাধা কী?
১১. ভারতের তিনটি কয়লাখনি অঞ্চলের নাম লেখো।
১২. সম্পদ সংরক্ষণের উদ্দেশ্য কী?
১৩. পুনর্ভব সম্পদ কী?
১৪. সম্পদ সৃষ্টির উপাদানগুলি কী কী?
১৫. আকরিক লোহাকে কী কী ভাগে ভাগ করা যায়?
১৬. পশ্চিমবঙ্গের দুটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম লেখো।
১৭. খনিজ সম্পদ কী?
১৮. প্রাকৃতিক সম্পদ কী?
১৯. খনিজ সম্পদ কী?
২০. সম্পদ উপলদ্ধি কী?
►► আরো দেখো: ভুগোল সকল অধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তর
পশ্চিমবঙ্গের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, এখানে আমরা শুধু প্রশ্নগুলো আলোচনা করেছি। তোমরা চাইলে পিডিএফ ফাইলে নবম শ্রেণীর ভূগোল সপ্তম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর সহ ডাউনলোড করতে পারো। এজন্য ওপরে দেওয়া Answer Sheet বাটনে ক্লিক করো।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post