পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র ২য় অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : সুশাসন হলো এক ধরনের শাসন প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ক্ষমতার সুষ্ঠু চর্চা হয়। এই শাসন প্রক্রিয়ায় জনগণ স্বাধীনভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সরকারের নীতি ও কর্মকান্ড সম্পর্কে অবগত থাকে এবং নারী-পুরুষ স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারে। এটি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করে।
সুশাসনের ধারণা
সাধারণত শাসন হচ্ছে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ও তা বাস্তবায়নের একটি প্রক্রিয়া। শাসনের ধারণা কোন নতুন বিষয় নয় বরং এটা মানব সভ্যতার মতোই পুরাতন। শাসন ব্যবস্থার অর্থ ও মাত্রা সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন আলোচনা ও বিতর্ক রয়েছে।
সুশাসন শব্দটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন: আন্তর্জাতিক শাসন, জাতীয় শাসন, স্থানীয় শাসন, যৌথশাসন ইত্যাদি হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। বর্তমানে সুশাসনকে একটি দেশের উন্নয়নের দিক নির্দেশনা প্রদানকারী হিসেবে দেখা হয়।
শাসন বলতে বুঝায় ক্ষমতাকে কিভাবে প্রয়োগ করা হয়, কিভাবে জনগণের দাবি-দাওয়ার প্রতি সাড়া প্রদান করা হয় কিংবা কিভাবে একটি জনসমষ্টি শাসিত ও পরিচালিত হয়।
সাধারণ অর্থে সুশাসন হলো এমন এক প্রক্রিয়া যা একটি দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এই শাসন প্রক্রিয়ায় জনগণের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পায়। সরকারের স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার সঙ্গে নিশ্চিত হয় সামাজিক ন্যায় বিচার ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ। সুশাসনের মূল ভিত্তি হলো মূল্যবোধ।
বিভিন্ন প্রকার সুশাসন:
ক. রাজনৈতিক সুশাসন
খ. সামাজিক সুশাসন
গ. অর্থনৈতিক সুশাসন
ঘ. সাংস্কৃতিক সুশাসন
তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়ন ও শাসন প্রক্রিয়ায় সুশাসন এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, সরকারের জবাবদিহিতা, নারীর ক্ষমতায়ন, দুর্নীতি দূরীকরণ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিল্পায়ন সব ক্ষেত্রেই সুশাসন জরুরি। তৃতীয় বিশ্বে সুশাসনের সমস্যাকে সব সমস্যার মূল কারণ হিসাবে সনাক্ত করেছে দাতারা।
তাদের মতে, এসব রাষ্ট্রে সম্পদের স্বল্পতা রয়েছে। তবে এর থেকেও বড় সমস্যা হলো সম্পদের ব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি। একটি বহুমুখী ধারণা হিসাবে multi-dimensional সুশাসনের উদ্ভব হয় মূলত ১৯৮৯ সালে। বিশ্বব্যাংক প্রথম এই ধারণা উপস্থাপন করে। ‘সবুজ বিপ্লব’ আর ‘কাঠামো সমন্বয় কর্মসূচি’র ব্যর্থতার পর বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল IMF উন্নয়নের শর্ত হিসাবে এ ধারণার অবতারণা করে।
সুশাসনের উপাদান
১. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা হচ্ছে সুশাসনের প্রধান উপাদান। এটি সরকারের স্বচ্ছতা ও আইনের শাসনের উপর নির্ভর করে। জবাবদিহিতার মাধ্যমেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা পায়। শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেই নয় বরং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সুশীল সমাজের জবাবদিহিতাও আবশ্যক। দুর্নীতি কমাতে ও রাজনৈতিক উন্নয়নে জবাবদিহিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অন্যদিকে, আইন ও নীতি মান্য করে যখন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন করা হয় তখন তাকে স্বচ্ছতা বলে। সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনা প্রণয়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হলে সহজেই সঠিক তথ্য পাওয়া যায়। স্বচছতা প্রতিষ্ঠা পেলে সরকারি অর্থ ব্যয়ে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যায়।
২. অংশগ্রহণ: পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে প্রত্যেক নাগরিকের অংশগ্রহণ সুশাসনের অন্যতম একটি উপাদান। সুশাসনের মূল ভিত্তি নারী এবং পুরুষ উভয়রেই অংশগ্রহণ। বিশ্বব্যাংক মনে করে, সকলের অংশগ্রণের মাধ্যমেই কার্যকরী উন্নয়ন সম্ভব। অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণকে অধিক ক্ষমতাশীল করা। রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে ভোটদান।
৩. আইনের শাসন: সুশাসনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে আইনের শাসন। এটি একটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও বৈধ উপকরণ। মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আইনের শাসন। প্রশাসনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আইনের শাসন থাকা দরকার। আইনের মাধ্যমেই স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা ও আধিপত্য রোধ করা যায়। আইন হতে হবে অবশ্যই নিরপেক্ষ। রাষ্ট্রের সংবিধান হচ্ছে একটি রাষ্ট্রের আইনের প্রধানতম উৎস।
৪. নিরপেক্ষতা ও দায়িত্বশীলতা: পক্ষপাতহীন অবস্থা বা নিরপেক্ষতাই পারে সুশাসন নিশ্চিত করতে। সুশাসন ততক্ষণ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠা পাবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা পালন করে। নিরপেক্ষতা আসতে হলে মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকুরি দিহে হবে। অন্যদিকে, দায়িত্বশীলতা না থাকলে কখনোই কোন কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যায় না। সরকারি, বেসরকারি এবং ব্যক্তিগত প্রত্যেকটি কাজের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল হতে হবে। একমাত্র দায়িত্বশীলতাই পারে সঠিকসময়ে কাজ সম্পন্ন করতে।
৫. জনপ্রশাসনের উৎকর্ষতা ও বিকেন্দ্রীকরণ: সুশাসন আনয়নের জন্য জনপ্রশাসনের উৎকর্ষ সাধন করতে হবে। এই উৎকর্ষ সাধন করার জন্য জনপ্রশাসনকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও গতানুগতিক ধারা থেকে বের হতে হবে। জনপ্রশাসনের উৎকর্ষতা সাধন বলতে বোঝায় জনপ্রশাসনে দক্ষতা আনয়ন, প্রযুক্তি ব্যবহারকরণ ও কার্যকর কৌশল গ্রহণ করা।
সুশাসনের আরেকটি উপাদান হচ্ছে বিকেন্দ্রীকরণ। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমেই সকল বিভাগ সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। এটি প্রশাসনের কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা কমিয়ে দেয় এবং প্রশাসনকে জনগণের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দেয়। তাই একটি রাষ্ট্রের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের প্রতিটি বিভাগে বিকেন্দ্রীকরণ অপরিহার্য।
পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র ২য় অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র সুমন এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ছাত্র সোহান একই হলে থাকে এবং তারা ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন.ও পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলছিল। সুমন বলল, বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতী, ছাড়া আমরা পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। এ প্রসঙ্তো সোহান বলল, যে উদ্দেশ্যে ১৯৪৪ সালে বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা অর্জিত হয়নি।
ক. সুশাসন কী?
খ. ডিজিটাল পদ্ধতি বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকের আলোকে বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যের বাস্তবতার তুলনা করো।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত সোহানের বন্তব্য কীভাবে যথার্থ? মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : প্রফেসর গোলাম রব্বানী সম্প্রতি ‘ক’ রাষ্ট্র সফর করেন। তিনি দেখতে পান, সেখানকার রাজনৈতিক ব্যবস্থায় জনগণের মতামত খুবই প্রাধান্য পায়। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে রাষ্ট্রের যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত হওয়ায় সরকারের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।
ক. জনমত কী?
খ. রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলতে কী বোঝায়?
গ. ‘ক’ রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় কীসের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত ব্যবস্থা অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে – তুমি কি একমত?
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : মি. আলম একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। সৎ ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে তার ব্যবসা দিন দিন বাড়তে থাকে । তিনি শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেন এবং তাদের কল্যাণে একটি তহবিলও গঠন করেন। আলম সাহেব তার এলাকার বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক। তিনি রাষ্ট্রী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং নিয়মিত কর দেন। সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যাপারেও তিনি বেশ আন্তরিক। এলাকায় তিনি একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত।
ক. কোন সালে মৌলিক মানবাধিকারসমূহ ঘোষিত হয়েছে?
খ. রাজনৈতিক অধিকার বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকে মি. আলমের ভূমিকা কোন ধরনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত শাসনের প্রতিবন্ধকতাসমূহ বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : জনাব রহমান একজন প্রবীণ সংবাদকর্মী। তিনি একদিন একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধ পাঠ করছিলেন। প্রবন্ধটিতে দেখা যায় ‘ক’ নামক রাষ্ট্রের রাজধানীতে কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও দেশটিতে আইনের শাসনের অনুপস্থিতি, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, যথাযথ শিক্ষার অভাব ও স্বজনগ্রীতি ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হয়। অন্যদিকে, ‘খ’ নামক রাষ্ট্রে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি আইনের শাসন বিদ্যমান।
ক. সুশাসন কী
খ. সুশাসন গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত যুক্তি দাও।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ‘ক’ রাষ্ট্রে কোন ধরনের শাসনের অভাব রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত রাষ্ট্র দুটির -শাসনব্যবস্থার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : রাজু একটি-উন্নয়নশীল দেশের নাগরিক। দীর্ঘদিন তার দেশে রাজনৈতিক অস্থিশীলতার কারণে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ যথাযথভাবে বিকশিত হয়নি। সেখানে আইনের শাসন ছিল না। কিন্তু গত, নির্বাচনে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। বর্তমান সরকার অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে সাথে নিয়ে অনিয়ম দূর এবং প্রশাসনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ক. স্বজনপ্রীতি কী?
খ. আইনের শাসন বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত রাজুর দেশের সমস্যাগুলো তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত রাজুর দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গৃহিত পদক্ষেপ ছাড়া আর কী করণীয় আছে? বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : রহিম বিদেশ যাওয়ার লক্ষ্যে পাসপোর্ট করার জন্য পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী ফারুকের শরণাপন্ন হন। তার কাছে অনেক ঘোরাঘুরি করেও পাসপোর্ট পান নি। প্রদেয় টাকাও ফেরত পাননি। পরে প্রতিবেশী একজন স্কুল শিক্ষকের পরামর্শে তিনি ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রে যান এবং অনলাইনে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই তিনি স্বল্প সময়ে পাসপোর্ট পেয়ে যান।
ক. মূল্যবোধ কী?
খ. পৌরনীতি ও সুশাসনের সাথে কোন বিষয়ের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত ফারুকের আচরণ কিসের পরিচয় বহন করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. সুশাসন প্রতিষ্ঠায় উদ্দীপকে উল্লেখিত সেবার গুরুত্ব আছে কি না মূল্যায়ন করো।
►► পৌরনীতি ১ম পত্র – ১ম অধ্যায়: পৌরনীতি ও সুশাসন পরিচিতি
►► পৌরনীতি ১ম পত্র – ২য় অধ্যায়: সুশাসন
►► পৌরনীতি ১ম পত্র – ৩য় অধ্যায়: মূল্যবোধ, আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য
►► পৌরনীতি ১ম পত্র – ৪র্থ অধ্যায়: ই-গভর্নেন্স ও সুশাসন
►► পৌরনীতি ১ম পত্র – ৫ম অধ্যায়: নাগরিক অধিকার, কর্তব্য ও মানবাধিকার
►► পৌরনীতি ১ম পত্র – ৬ষ্ঠ অধ্যায়: রাজনৈতিক দল, নেতৃত্ব ও সুশাসন
►► পৌরনীতি ১ম পত্র – ৭ম অধ্যায়: সরকার কাঠামো ও সরকারের অঙ্গসমূহ
►► পৌরনীতি ১ম পত্র – ৮ম অধ্যায়: জনমত ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি
►► পৌরনীতি ১ম পত্র – ৯ম অধ্যায়: জনসেবা ও আমলাতন্ত্র
►► পৌরনীতি ১ম পত্র – ১০ম অধ্যায়: দেশ প্রেম ও জাতীয়তা
এইচএসসি শিক্ষার্থীরা তোমাদের অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে এখানে ক্লিক করো। নতুন সাজেশন পেতে জয়েন করো SSC and HSC Candidates, Bangladesh ফেসবুক গ্রুপে। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post